স্টাফ রিপোর্টার::
শাল্লা উপজেলার আনন্দপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের দপ্তরি কাম প্রহরী প্রসেন রায় ওরফে গোপাল রায়কে সাময়িক বরখাস্ত করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ। ২১ জুন উপজেলা শিক্ষা অফিসার দ্বীন মোহাম্মদ মুঠোফোনে বলেন, গোপাল রায়কে আমরা সাময়িক বরখাস্ত করেছি। অন্যদিকে গত ১৫ জুন ৪লিটার চোলাই মদসহ স্কুল দপ্তরি গোপাল রায়কে আটক করে শাল্লা থানা পুলিশ। কিন্তু প্রভাবশালী গোপাল রায়ের খুঁটির জোর শক্ত হওয়ায় ১দিনের জন্যেও জেল খাটতে হয়নি তাকে! জামিনে বেরিয়ে এসে আবারো সগৌরবে মোটরসাইকেল নিয়ে রাস্তায় ঘুরতে দেখা যায় তাকে। এলাকার সাধারণ মানুষ ঘটনাটি নিয়ে হতাশা প্রকাশ করেছেন। অনেকই বলেছেন অদৃশ্য কোনো বৃহৎ শক্তির জোরেই এমন নাটকীয়তা! নয়তো এতো বিতর্কিত কর্মকাণ্ড করার পরও কেনো গোপাল রায় শুধুই সাময়িক বরখাস্ত? অনেকই বলাবলি করছেন গোপাল রায় তো উপজেলা পরিষদ নির্বাচনে আনন্দপুর ভোট কেন্দ্র দখল করার অপরাধে ৫ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। সেখানেই তো গোপাল রীয় দোষী! সেসময় কেনো গোপাল রায়কে বরখাস্ত করা হয়নি? ভোট কেন্দ্র দখল করায় এলাকার মানুষ চরমভাবে ক্ষুদ্ধ গোপালের প্রতি। কারণ, আনন্দপুর সেন্টারে এমন ঘটনা অতীতে কখনোই ঘটেনি। এখন এই সেন্টার ঝুঁকিপূর্ণ। এর জন্য দায়ি গোপাল রায় বলছেন একাবাসী।
এব্যাপারে ২নং ওয়ার্ড সদস্য সুব্রত সরকার বলেন, একটার পর একটা ঘটনা করেই যাচ্ছে গোপাল। স্কুল কমিটি সবকিছু বিবেচনায় নিয়ে সাময়িক বরখাস্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। প্রধান শিক্ষক অখিল চন্দ্র দাস বলেন শুনেছি আমাকে হুমকি দেওয়া হবে! আমিও অপেক্ষায় রইলাম। গোপাল রায়কে সাময়িক বরখাস্তের কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক।