সুনামগঞ্জে মাদকাসক্ত এক যুবককে হত্যা করিয়ে অন্যের নামে বাবা মামলা দিয়েছিলেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
বৃহষ্পতিবার বিকালে সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে একথা জানান।
এই ঘটনায় নিহত যুবকের বাবা মোহাম্মদ আলীকে ছেলে জাহাঙ্গীর আলম (২৮) খুনের ঘটনায় আসামি করে মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে এসপি মিজানুর জানান।
গত ২১ মে রাতে সুনামগঞ্জের তাহিরপুর উপজেলার উত্তর বড়দল ইউনিয়নের মোহাম্মদ আলীর ছেলে জাহাঙ্গীর আলম খুন হন।
এ ঘটনায় দুই ‘ভাড়াটে খুনি’ সুরুজ মিয়া ও সেকানদার আলীকে গ্রেপ্তারের পর তারা আদালতে স্বীকারোক্তি দিয়েছেন বলে এসপি মিজানুর রহমান জানান।
পুলিশের প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানায়, জাহাঙ্গীর আলমকে ভাড়াটে খুনি দিয়ে হত্যার পর বাবা মোহাম্মদ আলী তাহিরপুর থানায় একই এলাকার আহসান হাবিব, মো. সোলায়মান ও তৌফিকুল ইসলাম ভূঁইয়াকে আসামি করে হত্যা মামলা দায়ের করেন। ঘটনার পরই পুলিশ তিন আসামিকে গ্রেপ্তার করে।
বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, নানাভাবে জিজ্ঞাসাবাদ করার পর বেরিয়ে আসে খুনের লোমহর্ষক ঘটনা। এক পর্যায়ে এলাকার সুরুজ মিয়াকে আটক করার পর কীভাবে তিনি ও সেকানদার মিলে জাহাঙ্গীর আলমকে খুন করেন তার বিবরণ দিয়ে স্বীকারোক্তি দেন।
পুলিশ সুপার মিজানুর রহমান বলেন, “জাহাঙ্গীর মাদকাসক্ত ছিলেন। তার কারণে অতীষ্ঠ ছিলেন পরিবারের সবাই। এক পর্যায়ে ছেলেকে হত্যার সিদ্ধান্ত নেন তার বাবা। তিনি এলাকার সুরুজ মিয়া ও সেকান্দর আলীকে ২০ হাজার টাকা দিয়ে ছেলেকে খুন করার পরিকল্পনা করেন।
“সুরুজ মিয়া মাদকের জন্য গত ২১ মে রাতে জাহাঙ্গীরকে ৫০০ টাকা দেওয়ার কথা বলে মাহারাম নদীর তীরে নিয়ে যান। পরে তাকে নদীতেই কুপিয়ে হত্যা করে লাশ ফেলে তারা চলে আসেন।”
পুলিশ সেকানদার আলীকে গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে আটক করেছে; এবং সুরুজ ও সেকান্দর দুজনই আদালতে ১৬৪ ধারায় খুনের কথা স্বীকার করেছেন বলে এসপি জানান।