বিশেষ প্রতিনিধি::
দুর্গম ও পিছিয়েপড়া অঞ্চল হিসেবে বিশেষ বিবেচনায় সুনামগঞ্জ জেলার সকল ছাত্রীদের শতভাগ উপবৃত্তি প্রদানের দাবি জানিয়েছেন জেলা শিক্ষাবিদগণ। ৩০ জুন বুধবার দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত ভার্চুয়াল এই কমর্শালাটির আয়োজন করে প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট। এতে জেলার নির্বাচিত কয়েকটি কলেজ, বিদ্যালয়ের প্রতিনিধি, সরকারি বিভিন্ন দফতরের প্রতিনিধিসহ কয়েকজন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্বও অংশ নেন। আলোচনার উন্মুক্ত পর্বে পিছিয়েপড়া অঞ্চল হিসেবে সুনামগঞ্জ জেলার ছাত্রীদেরকে শতভাগ উপবৃত্তির আওতায় নেওয়ার দাবি জানান। জেলার উল্লেখযোগ্য মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান, সরকারি কর্মকর্তা ও গণমাধ্যম কর্মীদের নিয়ে ‘প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের বর্তমান কার্যাবলী’ বিষয়ক এই অবহিতকরণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়।
কর্মশালায় প্রধান আলোচক হিসাবে আলোচনা করেন, যুগ্মসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন। কর্মশালার সূচনা পর্বে সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক মো. জাহাঙ্গীর হোসেন। সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক আনোয়ার হোসেন সোহাগ।
কর্মশালায় অংশ নেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ, সুনামগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পরাগ কান্তি দে, বিশ^ম্ভরপুর ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ বিমলাংশু রায়, জেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এমরান শাহ্রিয়ার, সহকারি কমিশনার শিল্পী রানী মোদক, উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন রায়, মিজানুর রহমান, সৈয়দপুর আলীয়া মাদ্রাসার অধ্যক্ষ সৈয়দ রেজোয়ান আহমেদ, ষোলঘর দ্বীনি সিনিয়র মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আলী নূর, অধ্যক্ষ আব্দুল গফ্ফার, সুনামগঞ্জ উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নাসিমা রহমান প্রমুখ।
কমর্শালার উন্মুক্ত পর্বে প্রফেসর নীলিমা চন্দ বলেন, দুর্গম ও পিছিয়েপড়া এলাকা হাওর। এখনো অনেক মেয়েদের নানাভাবে পড়ালেখা ব্যহত হচ্ছে। তাই এই অবস্থা বিবেচনা করে এই অঞ্চলের মেয়েদের শতভাগ উপবৃত্তির আওতায় নিয়ে আসার দাবি জানাই। তার এই দাবির প্রতি সংহতি জানান উপস্থিত অংশগ্রহণকারীগণ। এসময় সঞ্চালক যুগ্মসচিব ও প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের পরিচালক দেলোয়ার হোসেন এই দাবি প্রধানমন্ত্রীর কানে পৌছে দেওয়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
কর্মশালার মুখ্য আলোচক হিসেবে দেলোয়ার হোসেন প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের নানা কার্যক্রম তুলে ধরে বলেন,‘কেবল উপবৃত্তি নয়, মাননীয় প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু কন্যা শেখ হাসিনার বদান্যতায় ষষ্ট শ্রেণির শিক্ষার্থী ভর্তি থেকে শুরু করে এমফিল-পিএইচডি গবেষণায় এই সহায়তা ট্রাস্ট থেকে সহায়তা দেওয়া হচ্ছে যা অনেক শিক্ষার্থী অভিভাবকই এটি জানেন না। অনেকেই জানেন না দুর্ঘটনায় আহত মেধাবী শিক্ষার্থী এবং দুরারোগ্য ব্যাধিতে আক্রান্ত মেধাবী শিক্ষার্থীকে এই ট্রাস্ট থেকে এককালীন সহায়তা দেওয়া হয়। না জানার কারণে কোন মেধাবী শিক্ষার্থী যাতে ঝড়ে না পরে সেই বিষয়টি সকল প্রতিষ্ঠান প্রধানকে খেওয়াল রাখার অনুরোধ জানান তিনি। তিনি প্রত্যেক প্রতিষ্ঠানে একজন জনপ্রিয় ও মানবিক শিক্ষককে এই বিষয়ে দায়িত্ব দিয়ে তাঁর নাম মোবাইল নম্বর সকল শিক্ষার্থী অভিভাবককে পৌঁছে দেবার আহ্বান জানান।