আ স ম মাসুম, যুক্তরাজ্য থেকে::
২০১০ সালে সাদা অধ্যুষিত ইলিং কাউন্সিলের কাউন্সিলার নির্বাচিত হোন বাংলাদেশের পাবনার মেয়ে ড. রূপা হক। প্রথম জয়ের পরই তাকে ডেপুটি মেয়র হিসাবে দায়িত্ব দেয়া হয় । ২০১৫ সালের নির্বাচনে ইলিং সেন্ট্রাল ও এক্টন আসনের নির্বাচিত এমপি হয়ে ব্রিটিশ পার্লামেন্টের ২য় বাংলাদেশী বংশোদ্ভোত প্রার্থী হিসাবে পা রাখেন তিনি। ব্যাক্তিগত জীবনে একজন অধ্যাপিকা, লেখিকা, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনকে তিনি নিজের জন্য চ্যালেঞ্জ হিসাবে ভাবছেন। তিনি বলেন, আমার জন্য আবারো নির্বাচনে অংশ নেয়া এবং পূর্বের আসন ধরে রেখে পার্লামেন্টে য্ওায়া একটা চ্যালেঞ্জ। আমি সবার ইতিবাচক সারা পেয়ে বেশ আশাবাদী। নিজের আসনে তেমন বেশি বাংলাদেশী ভোটার না থাকলেও তিনি সারা দেশে বাংলাদেশীদেও বাসস্থান, শিক্ষা, চিকিতসা সুবিধা উন্নয়নে কাজ করার সুযোগ গ্রহন করতে চান বলে জানান।
১৯৭২ সালে জন্ম নেয়া রূপা হকের বাবা মোহাম্মদ হক এবং মা রওশন আরা হক। ১৯৬০ সালে রূপা’র বাবা মা ব্রিটেনে স্থায়ীভাবে বসবাসের জন্য পাড়ি জমান। ৩ বোনের মধ্যে সবার বড় বোন নূরা হক একজন স্থপতি, রূপা হক ছিলেন বিখ্যাত কিংসটন কলেজের সোশিওলজি ও ক্রিমিনোলোজির শিক্ষকতার পাশাপাশি মূলধারায় লেখালেখি করেন, ছোটবোন কনি হক বিবিসির বিখ্যাত ব্লু পিটার অনুষ্ঠানের উপস্থাপিকা ছিলেন।
২০১৩ সালে ইলিং সেন্ট্রাল ও একটন এর জন্য লেবার দলের মনোনয়ন পান ড. রূপা হক। ২০১৫ সালের নির্বাচনে চারদিকে কনজারভেটিভের জয়গান থাকলেও শেষ পর্যন্ত ব্রিটিশ পার্লামেন্টের টিকেট নিজের করে নেন তিনি। কনজারভেটিভ প্রার্থী ও ততকালীন এমপি এনগি ব্রে’কে মাত্র ২৭২ ভোটে পরাজিত করেন রুপা হক। কনজারভেটিভের নিশ্চিত এই আসনে তিনি ২২ হাজার ২টি ভোট পান।
২০১৫ সাল থেকে মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগ পর্যন্ত ইসলামোফোবিয়া, ব্রেক্সিট, বাসস্থান, চিকিতসা ইত্যাদি বিষয়ে পার্লামেন্টে বেশ সরব ছিলেন তিনি। রূপা ২০১৬ সালের অক্টোবরে লেবারের প্রথম সারির সংসদ সদস্যও তালিকাভুক্ত হোন। এছাড়া স্থানীয় সরকারের ক্রাইম প্রিভেনশন ছায়ামন্ত্রী হিসাবে যোগ দেন।
রূপা হকের লেখা ৩টি বই মূলধারায় বেশ আলোচিত হয়েছে। সুবক্তা এই রাজনীতিবিদেও প্রতি সম্মান জানিয়ে ইতিমধ্যে গ্রীন পার্টি এই আসনে কোন প্রাথী না দেয়ার ঘোষনা দিয়েছে। গ্রীন পার্টি এক স্টেইটমেন্টে বলেছে, পার্লামেন্টে রূপার মতো মেধাবী রাজনীতিবিদ দরকার। সে ইতিমধ্যে জলবায়ূ পরিবর্তন, পরিবেশগত সমস্যা, ব্রেক্সিট ইত্যাদি ইস্যুতে সরব ছিলো। আমরা আমাদের সমর্থক ভোটারকে বলবো না রূপাকে ভোট দিতে তবে আমরা রূপার বিরুদ্ধে কোন প্রার্থীও দিবো না! রূপা হক এর বিরুদ্ধে কনজরাভেটিভ কনজারভেটিভ নতুন প্রার্থী দিলেও লিবারেল ডেমোক্রেট দিয়েছে নতুন প্রার্থী। তাই রূপা হক ২০১৭ এর মধ্যবর্তী নির্বাচনকে ভাবছেন নিজেকে ছাড়িয়ে যাওয়ার নির্বাচন! নিজের প্রতি চ্যালেঞ্জ ছুড়ে সেই চ্যালেঞ্জে জয়ী হতে পারবেন কিনা এটার উত্তর ৮ জুনের নির্বাচনই দিতে পারবে!