বিশেষ প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের শাল্লা থানার বহুল আলোচিত এসআই শাহ আলীকে প্রত্যাহার করে সুনামগঞ্জ পুলিশ লাইন্সে নিয়ে আসা হয়েছে। সুনামগঞ্জ পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান সোমবার রাতে প্রত্যাহারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। গত ৩১ জুলাই তাকে প্রত্যাহারের আদেশ দেওয়া হয় বলে জানান তিনি।
গত ১৩ জুলাই শাল্লা উপজেলা আওয়ামী যুবলীগ নেতা ও উপজেলা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি অরিন্দম চৌধুরী অপুর বিরুদ্ধে এসআই শাহ আলী পুলিশ এসল্ট মামলা দায়ের করেছিলেন। অপুর পরিবার, প্রতিবেশি ও এলাকাবাসী ঘটনাটি সাজানো এবং সাম্প্রদায়িক ষড়যন্ত্র বলে অভিযোগ করে আসছিলেন। মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এ ঘটনায় সিলেট ও শাল্লায় প্রতিবাদ কর্মসূচি পালিত হয়েছিল। গত ২৯ জুলাই মামলাটিকে ষড়যন্ত্রমূলক আখ্যায়িত করে শাল্লা নাগরিক মঞ্চ ডিআইজি বরাবরে স্মারকলিপি প্রদান করেছিল।
জানা গেছে গত ১৩ জুলাই শাল্লা থানার এসআই শাহ আলী ওসির চার্জে ছিলেন। ওইদিন রাতে বাসায় ফেরার পথে তিনি আক্রান্ত হন মর্মে যুবলীগ নেতা অপুসহ ৫ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। এ ঘটনায় অপুসহ দুজনের বিরুদ্ধে মাদক আইনে আরেকটি পৃথক মামলা দায়ের করেন শাল্লা থানার এসআই আল মামুন। অপুর পরিবার ও স্থানীয়রা এ ঘটনাটিকে শুরু থেকেই সাজানো দাবি করে গভীর রাতে জিজ্ঞাবাদের জন্য বাসায় হানা দিয়ে তাকে ঘুম থেকে তুলে এনে গ্রেপ্তার দেখিয়েছিল বলে অভিযোগ করে আসছিল।
অরিন্দম চৌধুরী অপুর ছোট ভাই এডভোকেট অমিতাভ চৌধুরী রাহুল বলেন, গত ১৭ মার্চ শাল্লার নোয়াগাঁওয়ে যে সাম্প্রদায়িক হামলা ঘটেছিল তার বিরুদ্ধে সোচ্চার ছিলেন আমার ভাই। এই কারণে এলাকার ১১ জন সাম্প্রদায়িক ব্যক্তি আমার ভাই ও পরিবারকে হত্যার হুমকি দিয়েছিল। আমরা থানায় সাধারণ ডায়েরি করতে গেলে টালবাহানা করেন এসআই শাহ আলী। এক পর্যায়ে জিডি তুলে নিতেও চাপ দেন। আমরা তার বিরুদ্ধে পুলিশের উর্ধতন কর্তৃপক্ষের কাছে অভিযোগ করলে তিনি শোকজ পেয়েছিলেন। এ কারণে তিনি আমার ভাইয়ের উপর ক্ষুব্দ হয়ে মিথ্যা মামলা দায়ের করেছেন।
পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান বলেন, স্থানীয়দের সঙ্গে যেহেতু এসআই শাহ আলীর মামলা চলছে সেহেতু ঘটনার সুষ্টু তদন্তের জন্য তাকে পুলিশ লাইনে নিয়ে আসা হয়েছে। কোন স্থানে পুলিশ সদস্য বা সরকারি চাকুরিজীবীরা যদি পার্সোনাল গ্যাঞ্জামে লিপ্ত হয়ে যায় তখন আমরা সাধারণত সেখান থেকে তাদের সরিয়ে নেই। শাহ আলীর বেলায়ও সেটি হয়েছে।