হাওর ডেস্ক::
যুক্তরাজ্যে অভিবাসন আইনের পরিবর্তন আনা হয়েছে। যেখানে বলা হয়েছে, অবৈধভাবে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ হচ্ছে আইন লঙ্ঘন। তাদের জন্য শাস্তির বিধানও রাখা হয়েছে দেশটির নতুন আইনে।
সম্প্রতি দেশটিতে নানা বিষয় যুক্ত করে এই অভিবাসন আইনের পরিবর্তন করা হয়।
স্কাই নিউজের করা এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, যুক্তরাজ্যে শরনার্থী হিসেবে থাকতে হলে অ্যাসাইলেম আবেদন করতে হবে। আর এই আবেদন সেই সব মানুষরা করতে পারবেন যাদের জন্য তাদের দেশ নিরাপদ নয়।
এছাড়া, গোত্র, ধর্ম, জাতীয়তা ও রাজনৈতিক মতাদর্শের ভিন্নতা, একই সাথে সামাজিক, সংস্কৃতির পরিবর্তনের কারণেও যারা দেশে নিরাপদ নয় তারাও আবেদন করতে পারবেন। অর্থাৎ যে ব্যক্তি দেশে নিরাপদ নয় তারাই আবেদন করতে পারবেন। কিন্তু এই আবেদন সবাই করতে পারবেন না।
যুক্তরাজ্যে অনেকেই ইউরোপের বিভিন্ন দেশ থেকে প্রবেশ করেন। হোম অফিস থেকে বলা হয়েছে, যদি কোন ব্যক্তি নিরাপদ দেশ থেকে যুক্তরাজ্য প্রবেশ করেন আর তারপর যদি অ্যাসাইলেম আবেদন করেন তাহলে তাদের আবেদন গ্রহণ করা হবে না।
অনেকেই যুক্তরাজ্যে পরিবার নিয়ে এসে অ্যাসাইলেম আবেদন করেন আবার একজন এসে তার পরিবারের অন্য লোকদের নিয়ে আসেন। তাদের জন্য নিয়ম কি হবে তা জানিয়ে, হোম অফিস থেকে বলা হয়েছে, একসাথে যুক্তরাজ্যে প্রবেশ করলে ভিন্ন ভিন্ন অ্যাসাইলেম আবেদন করতে পারবেন। আবার একজনের অধীনে বাকিরা থাকতে পারবেন, তবে ‘নির্ভরশীল হয়ে’।
স্কাই নিউজের ওই প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মূলত একটি অ্যাসাইলেম আবেদন সম্পূর্ণ হতে ৬ মাস সময় লাগে। তবে কিছু কিছু আবেদন ব্যক্তিগত পরিস্থিতি ও যাচাই বাছাইয়ের উপর নির্ভর করে দেরি হয়। যদি হোম অফিসে আবেদন গ্রহণ হয় তাহলে পাঁচ বছরের থাকার অনুমতি, পরে দেশটিতে স্থায়ীভাবে থাকার অনুমতি মিলবে।
প্রসঙ্গত, যুক্তরাজ্যে গত বছর অর্থাৎ ২০২০ সালে থাকার জন্য অ্যাসাইলেম আবেদন করেছেন ৩৬ হাজার মানুষ। আর বর্তমানে ১ লাখ ৯ হাজার আবেদন নিয়ে কাজ করছে যুক্তরাজ্যের হোম অফিস।