হাওর ডেস্ক ::
আগামীকাল আন্তর্জাতিক যুব দিবস ২০২১। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য হল ‘খাদ্য ব্যবস্থার রূপান্তর: মানুষের জন্য যুব উদ্ভাবন’।
প্রতি বছরের ১২ আগস্ট আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালিত হয়ে থাকে। ১৯৯৯ সালের ১৭ ডিসেম্বর জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদে আন্তর্জাতিক যুব দিবস পালনের প্রস্তাবটি অনুমোদিত হয়েছিল। দিনটি প্রথম পালিত হয় ২০০০ সালে।
বিশ্বের সব দেশের সরকারের মধ্যে তাদের দেশের যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেওয়া এবং তাদের প্রয়োজনীয়তা পূরণের জন্য সচেতনতা তৈরি করা এই দিবসের লক্ষ্য। বিশে^র সব দেশকে সচেতন করা যে , যুবকদের প্রতি মনোযোগ দেয়ার প্রয়োজন আছে। তাদের শিক্ষা থেকে স্বনির্ভর হওয়ার পথে তাদের সাহায্য করা সরকারের কর্তব্য । এই উপলব্দি করতে প্রতিবছর যুব দিবস পালিত হয়।
বাংলাদেশের জন্য দিবসটি বিশেষভাবে তাৎপর্যপূর্ণ। কারণ বর্তমানে বাংলাদেশের প্রায় অর্ধেক জনগোষ্ঠিই তরুণ ও যুবক। তারাই উন্নত বাংলাদেশ বিনির্মাণের প্রকৃত কারিগর। এ প্রেক্ষাপটে দিবসটি উপলক্ষে তরুন ও যুব সমাজকে তামাকমুক্ত রাখতে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন শক্তিশালীকরণের জন্য বিদ্যমান আইন সংশোধনের দাবি জানিয়েছে তামাকবিরোধী গবেষণা ও অ্যাডভোকেসি প্রতিষ্ঠান প্রজ্ঞা (প্রগতির জন্য জ্ঞান)।
প্রজ্ঞা’র নির্বাহী পরিচালক এবিএম জুবায়ের আজ এক প্রতিক্রিয়ায় বলেন, ‘একটি সুস্থ প্রজন্ম গড়ে তুলতে তামাক একটি বড় বাধা। তরুণ সমাজকে তামাক ব্যবহারে নিরুৎসাহিত করতে দ্রুততম সময়ের মধ্যে তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সংশোধন করে আরো শক্তিশালী এবং যুগোপযোগী করতে হবে।’
তিনি বলেন, তরুণদের সুরক্ষায় সংশোধনীতে বিক্রয়স্থলে তামাকজাত দ্রব্য প্রদর্শন নিষিদ্ধ, বিড়ি-সিগারেটের সিঙ্গেল স্টিক বা খুচরা শলাকা বিক্রয় নিষিদ্ধ, ই-সিগারেট এবং হিটেড টোব্যাকো প্রোডাক্টস (এইচটিপি) এর মতো ইমার্জিং টোব্যাকো প্রোডাক্টসমূহ আমদানি ও বিক্রয় নিষিদ্ধ, তামাকপণ্যের মোড়কে সচিত্র স্বাস্থ্য সতর্কবার্তার আকার বাড়িয়ে ৯০ভাগ এবং পাবলিক প্লেস ও পরিবহনে ‘ধূমপানের জন্য নির্ধারিত স্থান’ বিলুপ্ত প্রভৃতি বিষয়গুলো অন্তর্ভুক্ত করতে হবে।