বৃন্দস্বররত্ন কবি শামসুল আলম সেলিম ও কবি পুলিন রায়ের সঙ্গে গতরাতে আড্ডা দিচ্ছিলাম। হঠাৎ সহাস সেলিমভাই মুখখানা বেজার করে বললেন, বড়ো ঝামেলায় আছি। কী বলেন—প্রশ্নকর্তা পুলিনদা। আমিও উত্তরের অপেক্ষায়। বললেন, ৬০০ গ্রুপের সদস্য আমি। দু-একটি ছাড়া কাউকে চিনি না। পুলিনদা বললেন, তাহলে আমরাও নিশ্চয় এদের কবলে? হ্যাঁ, না উত্তর না দিয়ে সেলিমভাই বললেন, মোবাইল বের করুন, আবিদও। আমরা দুজনই তাঁর কথামতো মোবাইল হাতে নিয়ে ফেসবুক খুলে প্রোফাইলে যাই। আমি গ্রুপ শব্দে আঙুলের ডগা স্পর্শ করতেই আমার চক্ষু চড়ক নয়—মান্দাইলগাছ! ২৮৯টি কাঁটা দুচোখে বিঁধে আছে! পুলিনদা বললেন, ও সেলিমভাই আমি কী করি? ৩০০র অধিক গ্রুপ অনুমতি ছাড়াই আমাকে সদস্য করে ফেলেছে?
হরফুন মওলার মতো সেলিমভাই বাতলে দিলেন কীভাবে এই ইতরজনদের গ্রুপ থেকে বেরোনো যায়। সেই চেষ্টায় লেগে গেলেন পুলিনদা। আমি ব্যর্থ হচ্ছি। নেটে কাজ করছে না। একটা উটকো শঙ্কায় মনটা বিষিয়ে উঠছে : ‘বাঁশের কেল্লা, মানুষের কল্লা ‘জাতীয় কোনও গ্রুপভুক্ত নই তো!
এরই মধ্যে চোরে যাওয়া মোবাইল হারানোর কষ্টের মধ্যেও মিলু কাশেম হাসিমুখে উপস্থিত হয়েছেন, অন্য কবিরাও বৃন্দস্বর আড্ডাঘরে। আড্ডায় আমার আর মন নেই। সবার কাছে বিদায় নিয়ে বাসায় চলে এলাম। তারপর অনেকটা রাত জেগে এই মলম গ্রুপের বন্ধুতালিকা থেকে নিজেকে বিচ্ছিন্ন করলাম।
কিন্তু ঘুম ভেঙে সকালে দেখি আবারও সাবেকি ঝামেলা! আরও আরও গ্রুপ এরই মধ্যে আমাকে যুক্ত করে ফেলেছে। এখন আর কী বলবো?
তারপরও ফরিয়াদের ভাষায় বলছি, দরবার দূরত্বে আছি। দয়া করে আপনাদের মলম গ্রুপে আমার নামটি অন্তর্ভুক্তি করবেন না। ট্যাগও না। দূরে থাকো যতসব বলা।
লেখক: কবি ও সাংস্কৃতিক সংগঠক।
(লেখকের ফেইসবুক থেকে নেয়া)