অনলাইন ডেক্স::
রাজশাহীর দুর্গাপুর উপজেলার হাটকানপাড়া এলাকায় তানজিবুল কোরআন নুরানী হাফেজিয়া মাদ্রাসার ছাত্রকে বলাৎকার চেষ্টার অভিযোগে মাদ্রাসার শিক্ষককে আটক করেছে পুলিশ। আটককৃত শিক্ষক আরিফুল ইসলাম উপজেলার নান্দীগ্রামের আফছার আলীর ছেলে। তিনি হেফাজতে ইসলামের একজন সক্রিয় কর্মী বলে জানা গেছে।
শুক্রবার (৯ জুন) সকাল ১১টার দিকে এ ঘটনা ঘটে।
এ ঘটনায় মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন বাদী হয়ে শুক্রবার বিকেলে দূর্গাপুর থানায় একটি মামলা দায়ের করেন।
স্থানীয়রা জানান, উপজেলার হাট কানপাড়া কলেজ মোড়ে অবস্থিত তানজীমূল কুরআন নুরানী অ্যান্ড মডেল একাডেমি মাদ্রাসার মক্তব ও বাংলা বিভাগের শিক্ষক আরিফুল ইসলাম (৩০) মাদ্রাসার এক ছাত্রকে (৯) টয়লেটে নিয়ে গিয়ে দরজা লাগিয়ে দেন। এর কিছুক্ষণ পরে মাদ্রাসার অন্য ছাত্ররা বিষয়টি বুঝতে পেরে টয়লেটের দরজায় ধাক্কা দিলে দরজা খুলে ওই শিক্ষার্থীকে নিয়ে বেরিয়ে আসেন শিক্ষক আরিফুল। তাৎক্ষণিকভাবে বিষয়টি জানাজানি হয়ে গেলে স্থানীয় লোকজন উত্তেজিত হয়ে মাদ্রাসাটি ঘিরে রাখে। পরে পুলিশকে খবর দেয়া হলে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে।
ভিকটিম ছাত্রের বাবা জেবারুল ইসলাম জানান, তার ছেলে ওই মাদ্রাসায় ২ বছর ধরে আছে। মাদ্রাসার শিক্ষকরাই এ ধরনের জঘন্য ঘটনা ঘটাবে তিনি কখনো কল্পনাই করেননি। তিনি ওই মাদ্রাসায় আর তার ছেলেকে পড়াবেন না।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে মাদ্রাসার কয়েকজন ছাত্র জানান, শিক্ষক আরিফুল ইসলাম ২ মাস আগে ওই মাদ্রাসায় যোগদান করেছেন। ১৫/১৬ দিন আগেও এক ছাত্রকে এভাবে বলাৎকার করেন শিক্ষক আরিফুল। লজ্জায়-ভয়ে ওই ছাত্র মাদ্রাসা ছেড়ে রাতের আঁধারে পালিয়ে গেছে। পরে তার অভিভাবকরাও আর বিষয়টি নিয়ে মুখ খুলেননি।
মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক মুক্তার হোসেন জানান, মাদ্রাসাটি প্রতিষ্ঠার পর থেকে এ পর্যন্ত বেশ সুনামের সাথে পরিচালিত হয়ে আসছিল। কিন্তু একজন শিক্ষকের দ্বারা এ ধরনের ঘটনা ঘটবে এটা কোন ভাবেই মেনে নেয়া যায়না। বর্তমানে মাদ্রাসাটিতে ৪৫ জন ছাত্র পড়াশুনা করে। একজন লম্পট শিক্ষকের কারণে অন্য ছাত্রের ভবিষ্যৎ অন্ধকার হতে চললো।
দূর্গাপুর থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) মজিবুর রহমান জানান, স্থানীয় লোকজনের কাছ থেকে ঘটনার কথা শুনে সেখানে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা হয়। এরপর মাদ্রাসায় গিয়ে ভিকটিম ছাত্র ও তার অভিভাবকদের সাথে কথা বলা হয়। এ ব্যাপারে মাদ্রাসার অন্যান্য শিক্ষক ও ছাত্রদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। অভিযুক্ত শিক্ষককে আটক করে থানায় আনা হয়েছে।