তমাল পোদ্দার, ছাতকঃ
বিকাশে প্রতারণার শিকার হয়ে ৫০ হাজার ৬শ’ টাকা খুয়ালেন ছাতক সরকারি কলেজের এক ছাত্রী। ঘটনাটি ঘটেছে মঙ্গলবার (২৪ আগস্ট) সকালে। ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী পৌর শহরের লেভারপাড়া এলাকার বাসিন্দা। ভুক্তভোগী ও তার পরিবারের দেয়া তথ্য মতে জানা গেছে, মোবাইল নম্বর ০১৮৯৩৯০৫৪৮১ থেকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের রাহেলা নামে এক মহিলা ভুয়া পরিচয় দিয়ে ঘটনার দিন সকালে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রীর মোবাইল ফোনে উপবৃত্তির টাকা নিয়ে কথা বলে। এক পর্যায়ে প্রতারক মহিলা ভুক্তভোগীর বিকাশ একাউন্টে উপবৃত্তির ১৫ হাজার টাকা জমা হবে বলে জানায়। তবে টাকা পেতে হলে ভুক্তভোগীর বিকাশ একাউন্টে ২৫ হাজার টাকা থাকতে হবে বলে শর্ত দেয়। কলেজ ছাত্রী পেপারমিল (মিনিমার্কেট) বাজারে বিকাশ এজেন্ট ব্যবসায়ীর দোকানে গিয়ে তার বিকাশ একাউন্টে ২৫ হাজার টাকা লোড নেয়। ওই সময় সে ব্যবসায়ীর দোকান থেকে প্রতারক মহিলার সাথে মোবাইল ফোনে কথা বলছে। তখন প্রতারক চক্র আরেকটি মোবাইল নম্বর ০১৮২৫৩১৪০৬৩ তে ২৫ হাজার টাকা পাঠাতে বলে। ভুক্তভোগী একই দোকান থেকে ওই নাম্বারে ২৫ হাজার টাকা পাঠায়। এদিকে প্রতারক মহিলার সাথে ভুক্তভোগীর মোবাইলে আলাপ চলমান। এসময় টাকা পেয়েছে কিনা প্রতারকের কাছে ভুক্তভোগী জানতে চায়। তখন প্রতারক নেটওয়ার্ক বিড়ম্বনার ওজুহাত দেখিয়ে বিকাশে প্রাপ্ত টাকা পায়নি বলে নতুন কৌশল অবলম্বন করে ভুক্তভোগীকে আরেকবার টাকা পাঠানোর কথা বলে লাইন কেটে দেয়। এদিকে প্রথমে ভুক্তভোগীর বিকাশ একাউন্টে ২৫ হাজার পরে তার কথা মতো প্রতারকের বিকাশ একাউন্টে আরো ২৫ হাজার টাকা পাঠিয়ে ব্যবসায়ী ভুক্তভোগীকে ৫০ হাজার টাকা দিতে বলেন। তখন ভুক্তভোগী জানায় কিছুক্ষণের মধ্যেই তার বিকাশ একাউন্টে টাকা জমা হলেই তিনি ব্যবসায়ীকে পরিশোধ করে দিবেন। দোকানে অবস্থান করেই ভুক্তভোগী প্রতারকের মোবাইল নাম্বারে ফোন দিলে বন্ধ পাওয়া যায়। এরই মধ্যে ভুক্তভোগীর বিকাশ একাউন্টে তার পূর্বে থাকা ৬শ’ টাকাসহ প্রথম লোড নেয়া ২৫ হাজার টাকা প্রতারক চক্র হাতিয়ে নেয়। এভাবে ৫০ হাজার ৬শ’ টাকা প্রতারক চক্রের হাতিয়ে নেওয়ার বিষয়টি জানতে পেরে ভুক্তভোগী কলেজ ছাত্রী ছাতক থানায় জিডি নং ১২৫৪ দায়ের করেন। উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা পুলিন চন্দ্র রায় বলেন, ছাত্র-ছাত্রীদের উপবৃত্তির টাকা দেওয়ার নাম করে দেশজুড়ে একশ্রেণির প্রতারক চক্র প্রতারণায় নেমেছে। তিনি উপবৃত্তি প্রাপ্ত শিক্ষার্থীদের এ ব্যাপারে সচেতন থাকতে এবং কোন অবস্থাতেই উপবৃত্তি প্রাপ্ত বিকাশ একাউন্টের পিন নাম্বার প্রকাশ না করার জন্য বলেছেন।