স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলার হাওরঘেরা জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিধন্য দুর্গম গ্রাম রাজাপুরে ‘দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সআলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। পরে স্মৃতিবিজড়িত স্থানে বঙ্গবন্ধু কর্ণারের উদ্বোধন করা হয় এবং ওই স্থানে বৃক্ষরোপন করা হয়। বৃহস্পতিবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটি এই আয়োজন করে।
১৯৭০ সালের ৯ অক্টোবর জাতীয় ও প্রাদেশিক নির্বাচনে পাকিস্তানিদের নাগপাশ থেকে বাঙালি জাতিকে মুক্তি দিতে সারাবাংলা চষে বেড়ান। তিনি ভাগ্যাহত জাতিকে ঘুরে দাড়ানোর মন্ত্রণা দেন। এই রাজনৈতিক সফরে সুখাইর রাজাপুর ইউনিয়নের তৎকালীন চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা মহারাজ মিয়া চৌধুরীর হাওরঘেরা বাড়িতে জাতীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বিশ্রাম নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও দুপুরের খাবার খান। এছাড়া মহারাজ মিয়ার পারিবারিক মসজিদে জুমআর নামাজ আদায় করেন। মহারাজ মিয়ার মৃত্যুর পর তার শেষ ইচ্ছানুযায়ী তার সন্তানরা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য মসজিদ ও বাংলো অবিকল আদলে সংস্কার করে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিরক্ষার চেষ্টা করছেন। এ বিষয়ে জাতীয় পত্র পত্রিকা ও টিভিতে সংবাদ প্রচারিত হলে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগসহ অঙ্গ সংগঠনের দৃষ্টি পড়ে। তারা বিভিন্ন সময়ে বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য এই স্থান দেখতে ছুটে আসেন। এই খবর পেয়ে কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ, সাধারণ সম্পাদক একেএম আফজালুর রহমান বাবু, সাংগঠনিক সম্পাদক মাহবুব হাসান, কেন্দ্রীয় নেতা সুব্রত পুরকায়স্থ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মোবাশ্বের চৌধুরী, উপ পানি বিষয়ক সম্পাদক জামিল আহমদসহ কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক সফরকে স্মরণীয় ও নতুন প্রজন্মের কাছে চির জাগরুক রাখতে কর্মসূচির উদ্যোগ নেন। তারা বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য স্থান ঘুরে দেখেন এবং স্থানীয়দের সঙ্গে কথা বলেন। কেন্দ্রীয় ও স্থানীয় নেতৃবৃন্দকে নিয়ে ‘দুর্গম হাওরে বঙ্গবন্ধু’ শীর্ষক সংলাপ শেষে বঙ্গবন্ধুর নামে একটি কর্ণার উদ্বোধন করেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক জুবের আহমদ অপুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সংলাপে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নির্মল রঞ্জন গুহ। স্বাগত বক্তব্য দেন বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক সহচর মহারাজ মিয়ার ছেলে রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আমানুর রাজা চৌধুরী।
অনুষ্ঠানে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন, বাংলাদেশ আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য আবু জাফর, মির্জা মোর্শেদ মিলন, জামিল আহমদ, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কাউন্সিলর আফতাব হোসেন খাঁন, সাধারণ সম্পাদক দেবাংশু দাস মিঠু, সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি সুয়েব চৌধুরী, মৌলভীবাজার জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নাজমুল হক, ময়মনসিংহ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি নুরুজ্জামান, সিলেট মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সহ সভাপতি মুজিব মালদার, এম. রশিদ আহমদ, সুনামগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট বুরহান উদ্দিন প্রমুখ।
এই আয়োজনে স্থানীয়ভাবেও ব্যাপক সাড়া পরে। বঙ্গবন্ধুর স্মৃতিধন্য স্থানটি রক্ষা ও সমৃদ্ধকরণে এগিয়ে আসার আহ্বান জানানো হয়।