বিশেষ প্রতিনিধি
সুনামগঞ্জ জেলার উচ্চশিক্ষার সর্বোচ্চ প্রতিষ্ঠান সরকারি কলেজের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসবকে চীর স্মরণীয় রাখতে কলেজ ক্যাম্পাসে নির্মিত হচ্ছে ‘সুনাম ফলক’। একই সঙ্গে জেলা শহরের নারীশিক্ষা বিস্তারের প্রাচীণ নারীশিক্ষার মাধ্যমিক প্রতিষ্ঠান সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় ক্যাম্পাসে নির্মিত হবে ‘চন্দ্র ফলক’। এই অঞ্চলের ইতিহাস, ঐতিহ্য, সংষ্কৃতি-সংগ্রামের চিত্র ফুটে উঠবে ওই দুটি স্মারকস্তম্ভে।
শুক্রবার দুপুরে দেশের প্রখ্যাত ভাস্কর ও একুশে পদপ্রাপ্ত শিল্পী হামিদুজ্জামান খান দুটি প্রতিষ্ঠানের নির্মাণস্থল পরিদর্শন করেছেন। তিনি পুরো ক্যাম্পাস ঘুরে সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের রসায়ন বিভাগের সামনে এবং সরকারি সতীশ চন্দ্র বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রবেশপথ সংলগ্ন সীমানা প্রাচীরের পাশে স্মারক নির্মাণের মতামত দেন।
পরিদর্শনকালে ভাস্কর হামিদুজ্জামান খান বলেন, সুনামগঞ্জ জেলার দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ৭৫ বছর পূর্তি উৎসব উদযাপিত হয়েছে। সেই উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য পাথরের দুটি ফলক নির্মাণের উদ্যোগে আমাকে যুক্ত করা হয়েছে। সহজে সবার দৃষ্টিগোচর হয় এবং প্রতিষ্ঠান দুটির সৌন্দর্য্য ফুটে ওঠে এমন স্থানই নির্বাচিন করেছি।
পরিদর্শনকালে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জ সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ নীলিমা চন্দ, উপাধ্যক্ষ রজত কান্তি সোম মানস, ভাষ্কর শিল্পী আইভি জামান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) অসীম চন্দ্র বণিক, সুনামগঞ্জ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের সুনামগঞ্জের নির্বাহী প্রকৌশলী নজরুল হাকিম, সহকারী প্রকৌশলী পারভেজ হোসেন, শুভ্র দেবনাথ, সদর উপজেলার উপসহকারী প্রকৌশলী জসিম উদ্দিন, অ্যাড. রুহুল তুহিন, হিরন্ময় রায় প্রমুখ।
উল্লেখ্য গত বছরের ১৮ মার্চ শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তরের প্রধান প্রকৌশলী আরিফুর রহমানকে দুটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের ৭৫ বছর উৎসবকে স্মরণীয় করে রাখতে ফলক নির্মাণ করতে সুনামগঞ্জের কৃতী সন্তান ও বাংলাদেশ পাবলিক সার্ভিস কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান কবি ও গবেষক ড. মোহাম্মদ সাদিক ডিও পাঠিয়েছিলেন। ড. মোহাম্মদ সাদিক তাঁর অনুরোধ পত্রে লিখেছিলেন সুনামগঞ্জের প্রধান দুটি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সরকারি সতীশ চন্দ্র (এসসি) বালিকা উচ্চ বিদ্যালয় এবং সুনামগঞ্জ সরকারী কলেজ’এর ইতিপূর্বে ৭৫ বছর পূর্তি উদযাপিত হয়েছে। হাজার হাজার শিক্ষার্থী এই দুই অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়েছিলেন। শিক্ষার্থী থেকে শুরু করে, বিশিষ্টজন, এমনকি জাতীয়ভাবে যাঁদের অবদান রয়েছে তাঁরাও উপস্থিত ছিলেন। এই দুই অনুষ্ঠানকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য নিবন্ধিত শিক্ষার্থীরা প্রতিষ্ঠানে স্মৃতিফলক তৈরির জন্য তাঁদের আগ্রহের কথা একাধিকবার জানিয়েছেন।
ড. মোহাম্মদ সাদিকের অনুরোধপত্রের আলোকে ও প্রতিষ্ঠান দুটির শিক্ষার্থীদের দাবির প্রেক্ষিতে শিক্ষা প্রকৌশল অধিদপ্তর চন্দ্রফলক এবং সুনামফলক শিরোনামে দুটি ৭৫ বর্ষ উদযাপন স্মারক নির্মাণের উদ্যোগ নিয়েছে। স্থান নির্ধারণ হওয়ায় এখন দ্রুত কাজ শুরু হবে বলে জানিয়েছেন সংশ্লিষ্টরা।