হাওর ডেস্ক::
সড়ক দুর্ঘটনার শিকার ব্যক্তি অথবা তাদের উত্তরসুরীদের ক্ষতিপূরণ দিতে সড়ক পরিবহন আইন অনুযায়ী অবিলম্বে একটি ‘আর্থিক সহায়তা তহবিল’ এবং একটি ‘ট্রাস্টি বোর্ড’ গঠনের কেন নির্দেশ দেওয়া হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। সড়ক পরিবহন সচিব, আইন সচিব, অর্থ সচিব, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের জননিরাপত্তা বিভাগের সচিব, সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যানকে চার সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।
বিচারপতি এম. ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের হাইকোর্ট বেঞ্চ সোমবার এ আদেশ দিয়েছেন। চার আইনজীবীসহ ৫ জনের করা এক রিট আবেদনে এ আদেশ দেওয়া হয়েছে। রিট আবেদনকারীপক্ষে শুনানি করেন ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাগমার।
রিট আবেদনকারীরা হলেন- সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক ও রওশন আরা সিকদার ডেইজি, ঢাকা জেলা আদালতের আইনজীবী পারভীন আকতার ও বিথিকা মজুমদার এবং ব্র্যাকের সাবেক কর্মচারি সাবিনা ইয়াসমিন শোভা।
ব্যারিস্টার মনোজ কুমার ভৌমিক বলেন, প্রতি বছর সড়ক দুর্ঘটনায় হাজার হাজার মানুষ হতাহত হচ্ছে। সড়ক দুর্ঘটনায় নিহত ব্যক্তির উত্তরসুরীদের বা আহতদের ক্ষতিপূরণ দিতে সরকার সড়ক পরিবহন আইন ২০১৮ এর ৫৩ ও ৫৪ ধারায় ব্যবস্থা রেখেছেন। এই আইন অনুযায়ী ক্ষতিপূরণ দিতে আর্থিক সহায়তা তহবিল নামের একটি তহবিল থাকবে। এই তহবিল পরিচালনার জন্য একটি ট্রাস্টি বোর্ড থাকবে। কিন্তু গত তিন বছরেও সরকার ট্রাস্টি বোর্ড বা তহবিল গঠন করেনি। এজন্য সরকারের কোনো উদ্যোগও নেই। এই তহবিল ও ট্রাস্টি বোর্ড গঠনের জন্য সংশ্লিস্টদের গত ১৭ আগস্ট আইনি নোটিশ দেওয়া হয়। কিন্তু নোটিশের কোনো জবাব দেননি সংশ্লিস্টরা। একারণে সংশ্লিষ্টদের নিস্ক্রিয়তা চ্যালেঞ্জ হাইকোর্টে রিট আবেদন করা হয়েছে।