অনলাইন ডেক্স::
আইসিসির বড় কোনও ইভেন্টে এবারই প্রথম সেমিফাইনালের টিকিট কেটেছিল বাংলাদেশ। ওয়ানডেতে ধীরে ধীরে বড় নাম হয়ে ওঠা বাংলাদেশ টসে হেরে শুরুটাও করেছিল দারুণ। যদিও ধীরে ধীরে আর ব্যাটের সেই ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে পারেনি। ভারতীয় বোলিংয়ে খেই হারিয়ে ৭ উইকেটে ২৬৪ রানই তুলতে পারে। সেই ম্যাচই দাপট দেখিয়ে ৯ উইকেটে জিতে নিয়েছে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ভারত। ভারত জয় পেয়েছে ৪০.১ ওভারেই। আর বাংলাদেশও বিদায় নিলো সেমিফাইনাল থেকে।
২৬৫ রানের লক্ষ্যে খেলতে নেমে একপেশেভাবেই ব্যাট হাতে জবাব দিতে থাকে ভারত। দুই ওপেনারের দারুণ শুরুর ভিত্তিতেই আসে ৮৭ রান। যদিও ১৪.৪ ওভারে মাশরাফি আঘাত হেনে ভেঙে দেন হুমকি হয়ে ওঠা এই জুটি। ভারত তাতেও অবশ্য দমে থাকেনি। কোহলিকে সঙ্গে নিয়ে দ্বিতীয় উইকেটে ১৭৮ রানের জুটি গড়েন ওপেনার রোহিত শর্মা। এ দুজনের ব্যাটে ভর করেই জয়ের পথে দ্রুত এগিয়ে যায় ভারত। রোহিত হাঁকিয়েছেন ১১তম সেঞ্চুরি। তার ১২৩ রানের ইনিংসটি ছিল ১২৯ বলে সাজানো। যেখানে ছিল ১৫টি চার ও একটি ছক্কা। অবশ্য সেঞ্চুরির কাছাকাছি থাকলেও সেটি আর পূরণ হয়নি ভারতীয় অধিনায়কের। ৯৬ রানেই সন্তুষ্ট থাকতে হয় কোহলিকে। তার ৭৮ বলের ইনিংসে ছিল ১৩টি চার। ম্যাচসেরা হয়েছেন ওপেনার রোহিত শর্মা।
এর আগে অবশ্য চ্যাম্পিয়নস ট্রফির শীর্ষ রান সংগ্রাহক হয়েই বিদায় নেন ভারতীয় ওপেনার শিখর ধাওয়ান। ৩১৭ রান নিয়ে এই তালিকার শীর্ষে আছেন তিনি। ১৫তম ওভারে মাশরাফির ওভারে মনোযোগ ঠিক রাখতে পারেননি। ৪৬ রানে ব্যাট করতে থাকা এই ওপেনার তালুবন্দী হন মোসাদ্দেক হোসেনের হাতে। তার ৩৪ বলের ইনিংসে ছিল ৭টি চার ও একটি ছক্কা।
এর আগে বাংলাদেশ টস হেরে ব্যাট করে ৭ উইকেটে ২৬৪ রান তুলে। শুরুর ধাক্কাটা শুরুতে ধাক্কা খেলেও দারুণভাবে কাটিয়ে উঠেছিল বাংলাদেশ। আগের ম্যাচের ব্যর্থতা ঝেড়ে স্বরূপে ফেরেন তামিম ইকবাল। সঙ্গে মুশফিকুর রহিমও ছন্দে ফিরলে বড় সংগ্রহের স্বপ্ন দেখতে থাকে বাংলাদেশ। কিন্তু ‘একটার সঙ্গে একটা ফ্রি’ যুগ থেকে এখনও যে বেরোতে পারেনি টাইগাররা! তাই তামিম-মুশফিকের ১২৩ রানের জুটির পরও স্কোর বেশিদূর যায় না। ভারতের নিয়ন্ত্রিত বোলিংটা হয়ে ওঠে আরও ধারালো। সেমিফাইনালের উত্তেজনাকর লড়াইয়ে তামিম-মুশফিক বাদে অন্যরা ছিলেন ব্যর্থ। শেষ দিকে মাশরাফি ব্যাটে ঝড় তোলায় ৫০ ওভারে ৭ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ করতে পেরেছে ২৬৪ রান।