আমি জানি না পৃথিবীতে এমন কেউ আছেন কি না যিনি পিতা মাতা ভাই আত্মীয় স্বজনকে একসাথে হত্যাকাণ্ডের খবর পেয়েছেন প্রায় দুই দিন পরে। সব হারানোর পরে যিনি বিদেশের মাটিতে থেকেও আশ্রয়হীনা হয়ে রাস্তায় রাস্তায় ঘুরে বেড়িয়েছেন।
আরো অনেক পরে জেনেছেন পুরো পরিবারের কেউ বেঁচে নেই।
পৃথিবীতে একমাত্র এ রকম ঘটনা সিনেমাতেই সম্ভব।
কিন্তু বাস্তবে শুধুই শেখ হাসিনাই এই সিনেমার কাহিনী মাথায় নিয়ে বেলজিয়াম থেকে জার্মানি হয়ে সবশেষে দিল্লীতে এসে রাজনৈতিক আশ্রয় নেন।
দিল্লীতে এসেই ইন্দিরা গান্ধীর কাছ থেকে জানতে পারেন পরিবারের সকল সদস্যদের নির্মম হত্যাকাণ্ডের ঘটনা। জানি না এই পৃথিবীতে এমন ঘটনা জানার পরে কেউ মানসিক ভারসাম্য ঠিক রাখতে পেরেছিলেন কি না?
ইতিহাসের সেই জাতিস্মর ফিনিক্সের অবিনাশী যাত্রার পাখির নাম শেখ হাসিনা।
পরিবারের সবাইকে হারিয়ে রাজনৈতিক আশ্রয়ে বিদেশের মাটিতে।
১৯৮১ সালের ফেব্রুয়ারিতে আওয়ামী লীগের কাউন্সিলে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত হয় তাঁকে আওয়ামী লীগের সভাপতি করা হয়েছে।
এর আগে আওয়ামী লীগ বহু ষড়যন্ত্রের মাধ্য দিয়েও টিকে আছে। এটাই ছিলো তখনকার সামরিক সরকারের বুকের ব্যাথার কারন। তাই শেখ হাসিনা যখন আওয়ামী লীগের সভাপতি হয়ে দেশে আসেন তখন জিয়ার সামরিক সরকার ‘ শেখ হাসিনার আগমন প্রতিরোধ কমিটি ‘ করে জনগনকে শেখ হাসিনার বিরুদ্ধে ক্ষেপিয়ে তোলার জন্য যতো রকম অপপ্রচার আছে সব চালিয়ে যেতে লাগলো। বঙ্গবন্ধু পরিবারের নামে যতো রকম কুৎসা রটানো যায় তার সবকিছুই করছিলো রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন ও রেডিওর মাধ্যমে।
৮১’র ১৩ থেকে ১৫ ই ফেব্রুয়ারী জাতীয় কাউন্সিলে যখন শেখ হাসিনাকে সভাপতি নির্বাচিত করা হয় তখন স্বৈরাচারের অন্তরাত্মা কেঁপে উঠে। কারন তখন চলছিলো নেতা কেনা বেচার হাট। জিয়া তখন দম্ভের সাথে বলেছিল, আই উইল মেইক পলিটিক্স হার্ড ফর দ্যা পলিটিসিয়ান্স। মানি ইজ ন প্রবলেম। তারা ভেবেছিলেন এই কাউন্সিলে আওয়ামী লীগ ভেংগে যাবে।
কিন্তু ১৭ ই মে যখন শেখ হাসিনা দেশে ফিরে আসেন তখন সামরিক জান্তার ভিত নড়ে উঠে। শেখ হাসিনা যেদিন স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরে আসেন সেদিন শুধু প্রাকৃতিক দুর্যোগ ছিল না, ছিল সর্বব্যাপী সামাজিক ও রাষ্ট্রীয় দুর্যোগ। সামরিক স্বৈরশাসনের অন্ধকারে নিমজ্জিত স্বদেশে তিনি হয়ে ওঠেন আলোকবর্তিকা, তথা অন্ধকারের অমানিশা দূর করে আলোর পথযাত্রী।
মাত্র ৩৪ বছর বয়সে আওয়ামী লীগের সভানেত্রী নির্বাচিত হন তিনি। একই বছরের ১৭ মে এক ঝঞ্ঝাবিক্ষুব্ধ বৃষ্টিমুখর দিনে তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের মাটিতে ফিরে আসেন। ওইদিন ইন্ডিয়ান এয়ারলাইনসের ৭৩৭ বোয়িং বিমানে ভারতের রাজধানী দিল্লি থেকে কলকাতা হয়ে সে সময়ের ঢাকা কুর্মিটোলা বিমানবন্দরে বিকাল সাড়ে ৪টায় এসে পৌঁছেন। সারা দেশ থেকে লাখ লাখ মানুষ তাকে সংবর্ধনা জানাতে সেদিন বিমানবন্দরে সমবেত হয়। ওই সময় লাখো মানুষ ‘জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু’ স্লোগানে আকাশ-বাতাস মুখরিত করে শেখ হাসিনাকে স্বাগত জানিয়ে বলেছিল- ‘শেখ হাসিনার আগমন শুভেচ্ছা-স্বাগতম’; ‘শেখ হাসিনা তোমায় কথা দিলাম, মুজিব হত্যার বদলা নেব’; ‘ঝড়-বৃষ্টি আঁধার রাতে, আমরা আছি তোমার সাথে’; ‘বঙ্গবন্ধুর রক্ত বৃথা যেতে দেব না’; ‘আদর্শের মৃত্যু নাই, হত্যাকারীর রেহাই নাই’, মুজিব হত্যার পরিনাম বাংলা হবে ভিয়েতনাম।
’৭৫-এর ১৫ আগস্ট ও ৩ নভেম্বরের নির্মম হত্যাকান্ডের পর আওয়ামী লীগের জন্য রাজনীতি কঠিন করে তুলেছিল স্বৈরশাসক জেনারেল জিয়া। সংবিধান স্থগিত করে রাজনীতি নিষিদ্ধ ঘোষিত হয়েছিল। রাজনীতিকদের বেচাকেনার সামগ্রীতে পরিণত করে রাষ্ট্রীয় মদদে দল ভাঙার নীতি অবলম্বন করা হয়েছিল। জেল, জুলুম, হুলিয়া, গুম-খুন ইত্যাদি ছিল নিত্যকার ঘটনা। প্রতিদিন সান্ধ্য আইন জারি ছিল। চারদিকে গড়ে তোলা হয়েছিল এক সর্বব্যাপী ভয়ের সংস্কৃতি।
যেদিন তিনি ফিরে এলেন সেদিন আওয়ামী লীগের নেতা-কর্মীরা মনে করেছিল শেখ হাসিনার মাধ্যমে বঙ্গবন্ধুকেই তারা ফিরে পেয়েছে।
বিমানবন্দরে অবতরণের পর লাখ লাখ লোক তাকে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন। বাংলার আনাচে কানাচে থেকে ছুটে এসেছিলো মুজিব সৈনিকের দল। সেদিন বাংলার সংগ্রামী জনতা মনে করেছিলো বঙ্গবন্ধুই যেন শেখ হাসিনার বেশে আবার জনতার মাঝে ফিরে এসেছেন। মানিক মিয়া এভিনিউতে রাস্তার দুই পাশে লাখ লাখ লোক। আল্লাহ আরশ সেদিন কেঁপে উঠে শেখ হাসিনার আর্তনাদে।
সামরিক জান্তার সকল ষড়যন্ত্র বৃষ্টির পানির সাথে ধুলোয় মিশে যায়। যে দৃশ্য বর্ণনাতীত।
৩২ নম্বর বাড়ীতে তাঁকে ঢুকতে দেয়া হয়নি। তিনি বাড়ীর সামনে রাস্তায় বসে মিলাদ পড়েন। আল্লাহর কাছে কান্নাকাটি করেন।
তার পর কতোবার তাঁকে হত্যার নীল নকশা হয়েছে। শুধু বিরোধী দলে থাকা অবস্থায়ই তাঁকে একুশবার হত্যাচেষ্টা হয়েছে।
রাখে আল্লাহ মারে কে? একুশে আগষ্ট গ্রেনেড হামলার পর তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি করা হয়েছে। তাঁকে বাঁচাতে অনেকেই গুলি খান। মারা যান মাহবুব।
ক্ষমতায় আসার পরও তাঁকে মারতে বিভিন্ন রাস্তায় বোমা পুঁতে রাখা হয়। আল্লাহ তাঁকে জীবন দেন।
এই শেখ হাসিনা অন্য দশজনের মতো আর থাকতে পারেন না। আগুনে পোড়ানো হৃদয়। তিনি আর মৃত্যুকে ভয় পান না।
প্রোটোকল আর সেফটি নেট ছিঁড়ে তিনি বার বার বেরিয়ে আসেন। প্রমান রেখে যান তিনি শুধুই শেখ হাসিনা। যিনি অতি সাধারণ। কিন্তু অনন্য। অসাধারণ।
যে কারনে তিনি প্রটোকল ভেংগে নীল সমুদ্রে পা ভেজান। বিদেশের মাটিতে প্রবাসিরা দূরে দাঁড়িয়ে আছেন তাঁকে দেখার জন্য। আর তিনি বিদেশের প্রটোকল ভেংগে চলে আসেন প্রবাসীদের খোঁজ নিতে।
এখনো গ্রামের মানুষের খবর রাখেন। বাল্য বান্ধবীদের খবর নেন। গরীব আত্মীয়দের বাড়িতে এনে খাওয়ান। উপহার দেন। দারিদ্র্য দূর করার চেস্টা করেন।
একবার তৃতীয় লিঙ্গের একটি প্রতিনিধি দল জাতীয় সংসদে গিয়ে দেখা করল প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে। দলের নেতা আবিদা ইসলাম ময়ূরী। তৃতীয় লিঙ্গের ময়ূরী প্রধানমন্ত্রীকে জড়িয়ে ধরে বললেন, ‘আমি আপনার সন্তানের মতো’। শেখ হাসিনাও পরম মমতায় ময়ূরীর গায়ে স্নেহের পরশ বোলাতে বোলাতে বললেন, ‘হ্যাঁ, তুমি আমার সন্তানের মতো।’
একটা দেশের প্রধানমন্ত্রী কেমন হন? কেমন আবার! দেশে দেশে প্রধানমন্ত্রীরা যেমন হন, তেমনই। প্রধানমন্ত্রীশাসিত দেশের সর্বময় ক্ষমতার অধিকারী তো প্রধানমন্ত্রী। তিনি হবেন গুরুগম্ভীর। রাজ্যের চিন্তার ছাপ থাকবে তার চেহারায়। কিন্তু আমাদের প্রধানমন্ত্রী অন্যরকম। অন্য আট-দশজন প্রধানমন্ত্রীর মতো নন।
তার পোশাক-আশাক, চলাফেরায় চিরাচরিত গাম্ভীর্যতা নেই, কিন্তু প্রবল ব্যক্তিত্বের ছাপ সুস্পষ্ট। তিনি পোশাক আর গাম্ভীর্যতা দিয়ে নিজের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্যকে কখনও আড়াল করেননি। কেনইবা করবেন? তিনি যে বিশাল ব্যক্তিত্ববান জাতির পিতার কন্যা। পৈত্রিক সূত্রে পিতার বৈশিষ্ট্য তো তার চরিত্রে এমনিতেই রয়েছে। তার ওপর তিনি যদি নিজের চরিত্রের বিশালত্বকে সহজ-সরল ও স্বাভাবিক ভাবে নানাদিক থেকে মেলে ধরেন, তবে তো তিনি আট-দশজন প্রধানমন্ত্রী থেকে আলাদা হবেনই।
বঙ্গবন্ধু হত্যার পর ভীষণ অসহায় হয়ে পড়েছিলেন শেখ হাসিনা। তখন এতিম শেখ হাসিনার প্রতি সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছিলেন প্রণব মুখোপাধ্যায়। তারপর ভারতের রাষ্ট্রপতি হয়ে প্রণব মুখোপাধ্যায় বাংলাদেশে এসেছিলেন ২০১৩ সালে। প্রটোকল ভেঙে প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য নিজহাতে রান্না করেছিলেন শেখ হাসিনা। রুই মাছের কালিয়া, তেল কই, চিতলের পেটি, সরষে দিয়ে ছোট মাছের ঝোল আর গলদা চিংড়ির মালাইকারি। শেষ পাতের জন্য পায়েস। ২০১৭ সালে রাষ্ট্রীয় সফরে দিল্লি গিয়েছিলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। ভারতের রাষ্ট্রপতির আতিথ্য গ্রহণ করে উঠেছিলেন রাইসিনা হিলে রাষ্ট্রপতি ভবনে। প্রণব মুখোপাধ্যায়ের জন্য সঙ্গে করে নিয়ে গিয়েছিলেন ত্রিশ কেজি ইলিশ মাছ। আর নিজহাতে রান্না করেছিলেন ভাপা ইলিশ।
দেশের অন্যতম বুদ্ধিজীবী আহমদ ছফাকেও রান্না করে খাইয়েছেন বলে জানা যায়। একবার আহমদ ছফাকে ফোন করে দাওয়াত করেছিলেন খালেদা জিয়া। দাওয়াত পেয়ে বিনয়ে বিগলিত হননি ছফা। বরং তার ইচ্ছের কথা জানিয়েছেন, ‘যেতে পারি এক শর্তে। আমাকে নিজের হাতে রান্না করে খাওয়াতে হবে। শেখ হাসিনার কাছে গিয়েছিলাম। তিনি আমাকে রান্না করে খাইয়েছেন।’ কিন্তু খালেদা জিয়া তাকে খাওয়ান নি।
খালেদা জিয়াকেও রান্না করে খাইয়েছেন শেখ হাসিনা। ২০০৭ সালে ফখরুদ্দীন আহমদের নেতৃত্বে তত্ত্ববধায়ক সরকার তখন ক্ষমতায়। ২০০৭ সালের ১৬ জুলাই তিনি বন্দি হন। দীর্ঘ ১১ মাস পর ২০০৮ সালের ১১ জুন জামিনে মুক্তি পান। সংসদ ভবনচত্বরে স্থাপিত বিশেষ কারাগারে তিনি বন্দি।
বেগম খালেদা জিয়াও বন্দি। তাদের জন্য খাবার আসত জেলখানা থেকে। শেখ হাসিনা তার ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’ বইয়ের প্রবন্ধে জানিয়েছেন “…আমার খাবার আসতো কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে। মাঝে মাঝে খাবার আসতে দুপুর গড়িয়ে বিকেল হতো। আর খাবারের মেনু- যাক সে বিষয়ে কিছু বলতে চাই না। আমাকে তো তিন বেলা খাবার দিচ্ছে কিন্তু কত মানুষ এক বেলাও খাবার পায় না।”
কেবল যে মানুষদেরই খাওয়াতে ভালোবাসেন তা নয়। পশু-পাখিদের খাওয়াতে ভালোবাসেন তিনি। বন্দি থাকার সময় নিয়মিত একটা বানরকেও খাওয়াতেন শেখ হাসিনা। ‘সবুজ মাঠ পেরিয়ে’তে শেখ হাসিনা লিখেছেন, ‘… একটা বানর ছিল হৃষ্টপুষ্ট। সে রোজ আসত আমার কাছে। কখনও সকাল দশটা এগারোটা, কখনও দুপুর আড়াইটায়। কলা ও অন্যান্য ফল খেতে দিতাম। একবার জ্বর হওয়ায় আমি খেতে দিতে পারিনি। কারারক্ষী মেয়েদের হাতে খেতে চাইল না। তখন একটা পেপে গাছে উঠে পেপে খেয়ে কারারক্ষী মেয়েদের ভেংচি কেটে চলে গেল।’
শেখ হাসিনার বিড়াল কাহিনি। সে তো আরেক উপন্যাস।
বাংলার প্রতিটি অঞ্চলের প্রতিটি গাছপালা সম্মন্ধে শেখ হাসিনা অবগত। তাঁর সাথে যাওয়া সাংবাদিকেরা অবাক হয়ে যেতেন, যখন শেখ হাসিনা চলতি পথে গাড়ী থামিয়ে সবুজ মাঠের ভিতরে ঢুকে পরতেন। অনেক অজানা বৃক্ষ লতাকে ধরে নাম জিজ্ঞেস করতেন, বল তো এটা কি গাছ?
কেউ উত্তর দিতে পারতো না। তখন তিনি নিজেই নাম বলে বলতেন, এই গাছের এই গুন। সবাইকে অবাক করে তিনি গাছের চারা গাড়ীতে তুলে নিয়ে আসতেন।
আমার একবার সুযোগ এসেছিলো এইচ পিএমের ডিউটি করার। পাইলট হিসাবে। কিন্তু আমি যাইনি আমার স্ত্রীর রাজনীতির কারনে। সবাই জানবে আমি বেনিফিট নিচ্ছি। তাই ওরিয়েন্টেশন করেও ফিরে আসি। তখন আমার এক বন্ধু গল্প করেছিলো, সে আগের পি এমের সাথে ডিউটি করেছে। অর্থাৎ খালেদা জিয়ার সাথে। তখন একটি ঈদের দিনে মঈনুল হোসেন রোডের বাসায় পেয়ারা গাছ থেকে একটি পেয়ারা খাওয়ার অপরাধে একজন হাবিলদারের চাকুরী চলে যায়।
আর শেখ হাসিনা ঈদের দিনে নিজের হাতে সেমাই রেঁধে সব পুলিশদের খাইয়েছেন।
ডা, দীপু মনি একদিন বলেছেন, তিনি ওয়ান ইলেভেনের সময়ে হাউজ এরেষ্ট থাকা অবস্থায় নেত্রীর কাছে গেছেন, ব্যাক্তিগত ডাক্তার হিসাবে। তখন তিনি যে কোনও সময় পরিপূর্ণ গ্রেপ্তার হতে পারেন। কিন্তু এইসব চিনতে না করে তিনি বাংলাদেশের আগামি একুশ সাল পর্যন্ত পরিকল্পনা করছেন। দীপু মনি বললেন, আপনি যে কোনও সময় গেপ্তার হবেন, আর আপনি পরিকল্পনা করছেন একুশ সাল নিয়ে?
তখন শেখ হাসিনা বললেন, আমি গ্রেপ্তার হতে পারি। কিন্তু বাংলার মানুষ আমাকে আন্দোলন করে ক্ষমতায় নিয়ে আসবে। আমি যদি দেশের জন্যে কিছু করতে পারি তবে এখন থেকেই হোম ওয়ার্ক করতে হবে।
তিনি শুধু একুশ সাল নয়, একচল্লিশ নয়, ডেল্টা প্ল্যান দিয়ে রেখেছেন আগামী একশ বছর পরে কেমন বাংলাদেশ হবে তার জন্যে।
রাজনীতির এমন উচ্চতায় তিনি আছেন যিনি দূর থেকে নীচের সবকিছু দেখতে পারেন।
সবশেষে বলি, তাঁর কাছে যতোবার গিয়েছি তিনি একটি কথাই বার বার বুঝাতে চেয়েছেন তিনি দূর থেকে সবার সবকিছু দেখছেন। তাঁর কাছে কাউকে কিছু চাইতে হয় না। যার যা প্রাপ্য তিনি ডান হাতের ঋন বাম হাতে শোধ করার চেষটা করেন।
সেই মৃত্যুঞ্জয়ী ফিনিক্স পাখির আজ জন্মদিন। রাজনীতির সেই ওয়াচটাওয়ারের আজ ৭৫ তম জন্মবার্ষিকী।
শুভ জন্মদিন। শুভ হোক আগামী প্রতিদিন।
সতত শুভেচ্ছা। নিরন্তর শুভ কামনা। তুমুল অভিনন্দন।।
যুগ যুগ জিও।
প্রিয় নেত্রী। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
লেখকঃ সাবেক সাধারণ সম্পাদক জেলা ছাত্রলীগ, সুনামগঞ্জ।