স্টাফ রিপোর্টার::
ইউনিয়ন পরিষদের দ্বিতীয় ধাপের নির্বাচনে তপসিল ঘোষণার পর দলীয় মনোনয়নের জন্য নড়েচড়ে বসেছেন ছাতকের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা। গত ২৯ নভেম্বর তপসিল ঘোষণার পর আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীরা মনোনয়নের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য, প্রভাবশালী নেতৃবৃন্দ, জেলা ও উপজেলার শীর্ষ নেতৃবৃন্দের মাধ্যমে মনোনয়ন পেতে তদবির শুরু করেছেন। সুনামগঞ্জের ছাতক উপজেলার ইউনিয়ন পরিষদের সম্ভাব্য চেয়ারম্যান প্রার্থীরা মনোনয়ন পেতে নানাভাবে তদবিরসহ দৃষ্টি আকর্ষণ করছেন স্থানীয় ও কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের। তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রার্থীতার পক্ষে জোরালো প্রচারণা চালাচ্ছেন।
জানা গেছে ছাতকের ঐতিহ্যবাহী দোলারবাজার ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন দৌড়ে এগিয়ে আছেন তৃণমূল রাজনীতিতে জনপ্রিয় ও সজ্জন খ্যাত শিল্পী মো. আমির উদ্দিন। ভোটারের কাছে তিনি আমীর মোহাম্মদ হিসেবে পরিচিত।
ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে মো. আমির উদ্দিন আওয়ামী লীগের তৃণমূলের একজন নিবেদিতপ্রান ত্যাগী নেতা। এরশাদবিরোধী আন্দোলনে তিনি দীর্ঘদিন জেল হাজতে ছিলেন। তিনি সিলেট ভোকেশনালে ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক হিসেবে তখন রাজপথে সক্রিয়ভাবে আন্দোলনে যুক্ত ছিলেন। তৃণমূলেও তিনি স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলন ছড়িয়ে দিয়েছিলেন।
মো. আমির উদ্দিন দোলারবাজার ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সভাপতি হিসেবে দীর্ঘদিন দায়িত্ব পালন করেছেন। ইউনিয়ন আওয়ামী লীগকে সংগঠিত করতে অক্লান্ত কাজ করেছেন। এছাড়াও উপজেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক হিসেবেও তিনি দাযিত্ব পালন করেছেন নিরলসভাবে। একজন বাউল শিল্পী হিসেবে তিনি দেশ বিদেশে সমাদৃত।
মো. আমির উদ্দিন তরুণ বয়সে ইউনিয়নবাসীর নাগিরকসেবা নিশ্চিত করতে ১৯৯৭ সনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন। নির্বাচনী মাঠে ভোটাররা তাকে অকুণ্ঠ সমর্থন দেন। তিনি হাড্ডাহাড্ডি লড়াই শেষে অল্পভোটে পরাজিত হন। নির্বাচন শেষে তিনি যুক্তরাজ্যে চলে গেলেও এলাকায় নানাভাবে মানুষের পাশে সবসময় ছিলেন। তারা আবারও মানুষের সেবা করার জন্য আসন্ন ইউপি নির্বাচনে প্রার্থী হতে মো. আমির উদ্দিনকে আহ্বান জানান। তিনি সাধারণ মানুষের আহ্বানে স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বের প্রতীক নৌকা প্রতীকে নির্বাচন করার সিদ্ধান্ত নেন। তিনি আশা করছেন আওয়ামী লীগের দায়িত্বশীল মহল তাকে ইউনিয়নে নৌকার মনোনয়ন দিয়ে সাধারণ মানুষের সেবা করার সুযোগ দিবে।
মো. আমির উদ্দি সামাজিক,শিক্ষা, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নেও কাজ করেছেন। তিনি জনতা মহাবিদ্যালয় প্রতিষ্ঠাকালীন একজন সংগঠক হিসেবে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন। কলেজ প্রতিষ্ঠায় ফান্ড সংগ্রহে তিনি অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এখনো তিনি এলাকায় শিক্ষা, সংস্কৃতির উন্নয়নে নিরলস কাজ করছেন।
ইউনিয়নের বিভিন্ন পর্যায়ের আওয়ামী লীগের নেতৃবৃন্দের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ইউনিয়ন পরিষদে নির্বাচনী তৎপরতা শুরুর আগেই তিনি এলাকায় নিরলস কাজ করছেন। জননেত্রীর শেখ হাসিনাকে সমর্থনের জন্য তিনি তৃনমূলে প্রচারণা চালাচ্ছেন। মহাজোট সরকারের সাফল্য তুলে ধরছেন তৃনমূলে। এ কারণে দোলারবাজার ইউনিয়নের ভোটাররা তাকে আলাদাভাবে বিবেচনা করছেন। তাদের সুযোগ্য প্রতিনিধি হিসেবে কামনা করছেন মো. আমির উদ্দিনকে।
মো. আমির উদ্দিন বলেন, আমি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের অসাম্প্রদায়িক আদর্শে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্রাবস্থা থেকেই তার আদর্শ প্রতিষ্ঠায় কাজ করছি। আমি ছাত্রলীগ ও আওযামী লীগের তৃণমূলের কর্মী হিসেবে জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শনকে সাধারণ মানুষের কাছে পৌছে দেওয়ার ব্রত নিয়েছি। আশা করি নেত্রী আমাকে দোলারবাজার ইউনিয়নে নৌকা দিয়ে তার উন্নয়ন এগিয়ে নেওয়ার জন্য সুযোগ দিবেন।