স্টাফ রিপোর্টার::
ধামাইলগানের সম্রাট খ্যাত প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের দ্বাদশ মৃত্যুবার্ষিকী পালিত হয়েছে। বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় সুনামগঞ্জের শান্তিগঞ্জ উপজেলায় পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নানের হিজল বাড়িতে প্রতাপ রঞ্জন স্মৃতি পরিষদ এই আয়োজন করে। প্রতাপ রঞ্জনের ধামাইল, জীবনাদর্শ নিয়ে স্মৃতি চারণ করেন অতিথিবৃন্দ। তারা প্রতাপ রঞ্জনকে ধামাইল গানের সম্রাট আখ্যায়িত করে তার কালজয়ী সৃষ্টি ও স্মৃতি নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওার আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকারের উপপরিচালক ও সুনামগঞ্জ জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) কবি জাকির জাফরান।
প্রতাপ রঞ্জন স্মৃতি পরিষদের সভাপতি জয়ন্ত তালুকদারের সভাপতিত্বে ও সদস্য প্রদীপ দাসের সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্য দেন সাধারণ সম্পাদক শ্যামল দেব। আলোচনাসভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন দক্ষিণ সুনামগঞ্জ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান দোলন রানী তালুকদার, চরনারচর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রতন তালুকদার, কবি ও সাংবাদিক শামস শামীম, কবি ও শিল্পী বিমান তালুকদার, বাউল বশির উদ্দিন সরকার, বাউল সূর্যলাল দাশ, জয়ন্ত কুমার সরকার, পিকলু সরকার প্রমুখ। অনুষ্টানে প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের সহধর্মিনী সুচিত্রা রানী তালুকদার ও ছেলে প্রসেন তালুকদারও বক্তব্য দেন।
প্রধান অতিথি কবি জাকির জাফরান বলেন, গুণীজনরা সমকালে মূল্যায়ণ পাননা। যতদিন যায় ততো তারা প্রোজ্জ্বল হয়ে ওঠেন। আজ এই লোককবির মৃত্যুর একযুগ পরে তাঁকে স্মরণ করা হচ্ছে। তাঁর কালজয়ী অক্ষয় সৃষ্টিই তাঁকে মানুষের মধ্যে বাঁচিয়ে রাখবে। তিনি বলেন, প্রতাপ রঞ্জন লোককবি রাধারমণের পর ধামাইলে সবচেয়ে প্রভাবশালী শিল্পী হিসেবে বোদ্ধা মহলে বিবেচিত। ভাটির মানুষ তাঁকে ধামাইল সম্রাট অভিধা দিয়েছেন। এই অঞ্চলের প্রতিটি এলাকায় তাঁর ধামাইল গুঞ্জরিত হয়। তাঁর গানে মোহাবিষ্ট হয় মানুষ। একজন নারীসঙ্গীত রচয়িতা, সূর্যব্রত সঙ্গীত ও ধামাইল রচয়িতা হিসেবে তিনি সমকালে মূল্যায়িত না হলেও এখন দিনকে দিন তিনি দোর্দন্ড প্রতাপে মানুষের মধ্যে ফিরছেন।
জাকির জাফরান আরো বলেন, হাজার ধামাইল গানের রচয়িতা প্রতাপ রঞ্জন তালুকদারের সৃষ্টির পাশাপাশি তাঁর অসহায় ও হতদরিদ্র পরিবারকে বাঁচিয়ে রাখার উদ্যোগ নিতে হবে। তার স্মৃতি ও সৃষ্টি রক্ষায় একটি মিউজিয়াম নির্মাণ করে নতুন প্রজন্মের মধ্যে এই লোককবিকে বাঁচিয়ে রাখতে হবে।