স্টাফ রিপোর্টারঃ
সিলেটের নয়াসড়কে ব্যক্তি মালিকানাধীন ভূমিতে দোকান কোটা নির্মাণে প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি ও চাঁদা দাবি করার মামলায় দুইজনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন আদালত। মঙ্গলবার দুপুরে সিলেটের অতিরিক্ত চীফ মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট চাঁদাবাজি মামলার আসামি জিয়াউর রহমান লিমন ও মতিউর রহমান শিমুল নামের দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেন। গত ৬ অক্টোবর একই এলাকার আদনান মহামুদ তার রেকর্ডিও স্বত্তদখলাধীন ভূমিতে সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে স্থাপনা তৈরি করতে গেলে ওই দুই আসামিসহ অন্যান্য আসামিরা ৫ লক্ষ টাকা চাঁদা দাবি করে। চাঁদা দাবির পাশাপাশি তারা স্থাপনা তৈরিতে বাধা প্রদান করে এবং আদনান মাহমুদকে বেধড়ক মারধরও করেছিল।
আদালত সূত্রে জানা গেছে নয়াসড়কের বাসিন্দা মৃত শফিক উদ্দিনের ছেলে আদনান মাহমুদ গত ২৩/০৪/২১ইং দুপুরে তার নিজস্ব জায়গায় সিটি করপোরেশনের অনুমতি নিয়ে স্থাপনা তৈরির কাজ শুরু করেন। কাজ চলা অবস্থায় কারাগারে পাঠানো ওই আসামিসহ অন্যরা চাঁদা দাবি করে আসছিল। তাদের দাবি না মানায় আদনান মাহমুদকে বাসায় গিয়ে গত ৬ অক্টোবর তাকে বেধড়ক মারধর করে। এ ঘটনায় একই এলাকার বাসিন্দা আতা মিয়া (৬৫) তার ছেলে সেনাজ (৪৬), লিমন (৪২), শিমূল (৩৪)সহ ৫ জনের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির মামলা দায়ের করেন। এই মামলায় উক্ত দুই আসামি মঙ্গলবার দুপুরে জামিন চাইলে গেলে আদালত তার জামিন নামঞ্জুর করে কারাগারে পাঠিয়ে দেন। অন্য আসামিরা পলাতক রয়েছে। গত ৬ অক্টোবর চাদাবাজির মামলায় এজাহার দেবার পর গত গত ৯ অক্টোবর আসামিদের বিরুদ্ধে চাদাবাজির মামলা রেকর্ড করে কোতোয়ালী থানা পুলিশ। মামলা নং- ২৪/৭৫৯।
জানা গেছে মামলার আসামী আতা মিয়ার ছেলে ছাত্রদলের সাবেক ক্যাডার লিমন সরকার বিরোধী জ্বালাও পুড়াও আন্দোলনে জড়িত থাকায় ৬ মাস জেল খেটেছে। অপর ছেলে মামলার আসামি সেনাজও বিভিন্ন অপরাধমূলক কর্মকান্ডে যুক্ত থাকায় জেল খেটেছে। অপর আসামী নাহিদ ২০০৩ সালে সিলেটে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে গুলিবিদ্ধ হয়েছিল। তারা এলাকাবাসীর কাছে ত্রাস হিসেবে পরিচিত।
এদিকে ওই চক্রের বিরুদ্ধে
সিলেট কোতোয়ালী থানার সাধারণ ডায়েরি নং-১৬৬৭ দায়ের করেছিলেন আদনান মাহমুদ। থানা পুলিশ সাধারণ ডায়রেটিও তদন্ত করে আসামীদের বিরুদ্ধে আদালতে প্রতিবেদন দাখিল করেছিল। বর্তমানে প্রতিবেদনটি
আদালতে বিচারাধীন আছে। ওই আদালতই আজ দুই আসামিকে কারাগারে প্রেরণ করেছেন।
কোতোয়ালি থানার ওসি বলেন, চাঁদাবাজির অভিযোগে দায়েরকৃত মামলার আসামিদের ধরতে অভিযান চলছে।
বাদী পক্ষের আইনজীবী এডভোকেট মোহাম্মদ মোশাহিদ আলী বলেন, আদালত দু’জনকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। তাদের বিরুদ্ধে সুনির্দিষ্ট অভিযোগ রয়েছে।