স্টাফ রিপোর্টার::
প্রথম বারের মতো সারাদেশে জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের কনিষ্টপুত্র শেখ রাসেলের জন্মদিন শেখ রাসেল দিবস হিসেবে পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে প্রতিটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পালনের সরকারি নির্দেশনা ছিল। কিন্তু সুনামগঞ্জের দিরাই উপজেলার অধিকাংশ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দিবসটি পালিত হয়নি। যার ফলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা জাতীয় দিবসের শিক্ষণীয় বিষয় থেকে বঞ্চিত হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন হিন্দু অধ্যুষিত উপজেলা হিসেবে এবং পুজার ছুটি থাকায় অনেক স্কুলে দিবসটি পালন হয়নি। তাছাড়া দিবসটি প্রথম বারের মতো পালনের নির্দেশনা দেওয়ায় অনেকে গুরুত্ব দেননি বলে জানা গেছে।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসারের কার্যালয় সূত্রে জানা গেছে, দিরাইয়ে ১৬৩ টি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। প্রতিটি উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিস উর্ধতন কর্তৃপক্ষ থেকে প্রাপ্ত শেখ রাসেল দিবস পালনের নোটিশ প্রতিটি ক্লাস্টারে পাঠিয়ে দিয়েছেন। কিন্তু বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা বিদ্যালয়ে না যাওয়ায় দিবসটি পালিত হয়নি।
এলাকাবাসীর সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, রহস্যজনক কারণে বেশির ভাগ সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ই দিবসটি পালন করেনি। উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসও দিবসটি পালনে যথাযত উদ্যোগ নেয়নি। ফলে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা এই জাতীয় দিবসটি পালন থেকে বঞ্চিত হয়েছে।
জানা গেছে দিরাই উপজেলার শতাধিক সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়েই দিবসটি পালিত হয়নি। হাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, রাধানগর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়, জারুলিয়া সরকারি প্রাথমিক, তারাপাশা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ অধিকাংশ বিদ্যালয়েই দিবসটি পালিত হয়নি। বেলা দেড়টা পর্যন্ত কয়েকটি বিদ্যালয় তালাবদ্ধ দেখা গেছে।
হাতিয়া এলাকার বাসিন্দা মো. আখলাক হোসাইন বলেন, সারা দেশে সরকারিভাবে শেখ রাসেল দিবসটি জাতীয়ভাবে পালিত হচ্ছে। বিশেষ করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে এ উপলক্ষে শিক্ষার্থীরা সাংস্কৃতিক কার্যক্রম পরিচালনা করছে। কিন্তু আমাদের হাতিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়সহ এলাকার একটি বিদ্যালয়েও দিবসটি পালিত হয়নি। আমি শিক্ষকদের কাছ থেকে জানতে চেয়েছিলাম তারা জানিয়েছেন তারা উপর থেকে কোন নির্দেশনা পাননি। তাই পালন করেননি।
রারইল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক জসিম উদ্দিন বলেন, করোনার কারণে আমরা সংক্ষিপ্তভাবে পালন করেছি। অনুষ্ঠান পালনের কোন ছবি আছে কি না জানতে চাইলে তিনি কোন উত্তর দেননি।
উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, প্রথম বারের মতো দিবসটি ঘোষণা করায় অনেকে পালনে উৎসাহ দেখানননি। তাছাড়া হিন্দু অধ্যুষিত উপজেলা হিসেবে পুজার ছুটি থাকার কারণে অনেকে পালন করতে পারেনননি। তিনি এই প্রতিবেদককে এই সংবাদটি প্রকাশ না করতেও অনুরোধ জানান এবং তার মোবাইল ফোনে বিকাশে খরচ পাঠিয়ে দিবেন বলেও অনুরোধ করেন।
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা এসএম আব্দুর রহমান বলেন, আমরা ষ্পষ্ট নির্দেশনা দিয়েছি প্রতিটি বিদ্যালয়ে পালনের জন্য। যারা এ ক্ষেত্রে উদাসীনতা দেখিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।