হাওর ডেস্ক::
কভিড মহামারি শুরুর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে দ্রুত সাড়া দিয়েছিল, মানবজাতির অস্তিত্বের প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায়ও একই রকম উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আরো তহবিলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের আগে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক ভারকুইজেনের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা এক নিবন্ধে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু সংকট মেটাতে এই বিশ্বকে আরো বড় পরিসরে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ‘জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে বাঁচতে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জন্য আরো অর্থের জোগান দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক নিবন্ধটি যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করেছে।
নিবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আগামী দশকে ছয় ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সিভিএফের বেশির ভাগ দেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত, নিম্ন বা অগ্রগণ্য মধ্যম-আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তায় তাদের তহবিল ও বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা প্রয়োজন। নিবন্ধে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে বাঁচাতে বার্ষিক তহবিলে উন্নত দেশগুলোর এক শ বিলিয়ন ডলার প্রদানের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়, ‘আমাদের জলবায়ু সংকট হচ্ছে বৈশ্বিক। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমভাবে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চারটি মহাদেশের ৪৮টি দেশের একটি গ্রুপ সিভিএফের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে একেবারে অস্তিত্বের হুমকি। আর এটি অতিশয়োক্তি না।’ জলবায়ু সংকট থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিশ্বের বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ুর উন্নতি ঘটাতে সিভিএফ দেশগুলোর জন্য বিপুল অর্থের জোগান দেওয়া হলে জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসতে তারা পদক্ষেপ গ্রহণে সমর্থ হবে। আর তা বর্তমানে মহাবিপদের মুখে থাকা ৪৮টি দেশের জন্য ভালো হবে।’ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সুরক্ষা দিতে না পারলে বিশ্বের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টায় সাফল্য আসবে না বলে নিবন্ধে মন্তব্য করা হয়।
কভিড মহামারি শুরুর পর আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় যেভাবে দ্রুত সাড়া দিয়েছিল, মানবজাতির অস্তিত্বের প্রতি জলবায়ু পরিবর্তনের হুমকি মোকাবেলায়ও একই রকম উদ্যোগী ভূমিকা নিয়ে বিশ্বনেতাদের এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোকে রক্ষার জন্য আরো তহবিলের প্রয়োজনীয়তার ওপর গুরুত্বারোপ করেছেন।
গ্লাসগো জলবায়ু সম্মেলনের আগে গ্লোবাল সেন্টার অন অ্যাডাপ্টেশনের প্রধান নির্বাহী প্যাট্রিক ভারকুইজেনের সঙ্গে যৌথভাবে লেখা এক নিবন্ধে ক্লাইমেট ভালনারেবল ফোরামের (সিভিএফ) সভাপতি শেখ হাসিনা বলেন, জলবায়ু সংকট মেটাতে এই বিশ্বকে আরো বড় পরিসরে লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে। ‘জলবায়ুর পরিবর্তন থেকে বাঁচতে অধিক ঝুঁকির মুখে থাকা দেশগুলোর জন্য আরো অর্থের জোগান দেওয়া গুরুত্বপূর্ণ’ শীর্ষক নিবন্ধটি যুক্তরাষ্ট্রের সাপ্তাহিক ম্যাগাজিন ‘নিউজউইক’ প্রকাশ করেছে।
নিবন্ধে বলা হয়, আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) হিসাব অনুযায়ী, বিশ্বের অর্থনীতিকে পরিবেশবান্ধব করে গড়ে তুলতে আগামী দশকে ছয় ট্রিলিয়ন থেকে ১০ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ করতে হবে। এখন পর্যন্ত সিভিএফের বেশির ভাগ দেশ হচ্ছে স্বল্পোন্নত, নিম্ন বা অগ্রগণ্য মধ্যম-আয়ের উন্নয়নশীল দেশ। জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব মোকাবেলায় বিভিন্ন কৌশল উদ্ভাবনে সহায়তায় তাদের তহবিল ও বিশেষজ্ঞের সহযোগিতা প্রয়োজন। নিবন্ধে উন্নয়নশীল দেশগুলোকে জলবায়ু পরিবর্তনের প্রতিকূল প্রভাব থেকে বাঁচাতে বার্ষিক তহবিলে উন্নত দেশগুলোর এক শ বিলিয়ন ডলার প্রদানের জলবায়ু প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নেরও আহ্বান জানানো হয়েছে।
নিবন্ধে বলা হয়, ‘আমাদের জলবায়ু সংকট হচ্ছে বৈশ্বিক। এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রতিটি দেশে সমভাবে এর প্রভাব পড়তে দেখা যায়নি। চারটি মহাদেশের ৪৮টি দেশের একটি গ্রুপ সিভিএফের জন্য জলবায়ুর পরিবর্তন হচ্ছে একেবারে অস্তিত্বের হুমকি। আর এটি অতিশয়োক্তি না।’ জলবায়ু সংকট থেকে নিজেদের বাঁচাতে বিশ্বের বড় ভূমিকা রাখার আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, ‘জলবায়ুর উন্নতি ঘটাতে সিভিএফ দেশগুলোর জন্য বিপুল অর্থের জোগান দেওয়া হলে জলবায়ুর ঝুঁকি থেকে বের হয়ে আসতে তারা পদক্ষেপ গ্রহণে সমর্থ হবে। আর তা বর্তমানে মহাবিপদের মুখে থাকা ৪৮টি দেশের জন্য ভালো হবে।’ ঝুঁকিতে থাকা দেশগুলোকে সুরক্ষা দিতে না পারলে বিশ্বের কার্বন নির্গমনের পরিমাণ কমিয়ে আনার চেষ্টায় সাফল্য আসবে না বলে নিবন্ধে মন্তব্য করা হয়।
মহামারি করোনাভাইরাস মোকাবেলার ব্যাপারে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকারের ভূমিকার কথা উল্লেখ করে তাঁরা বলেন, ‘আসন্ন বিপদের মুখোমুখি হলে কী করা সম্ভব তা কভিড-১৯ মোকাবেলার ক্ষেত্রে দেখিয়েছে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের সরকার।’
জলবায়ু পরিবর্তনের দুর্দশার ব্যাপারে তাঁরা বলেন, ভানুয়াতু, মালদ্বীপ ও মার্শাল দ্বীপপুঞ্জের মতো ছোট দ্বীপ দেশগুলো সমুদ্রের পানির উচ্চতা বৃদ্ধি পাওয়ায় ধীরে ধীরে পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে। ১৬ কোটি মানুষের আবাসভূমি বাংলাদেশের উপকূলীয় এলাকা লবণাক্ততার কবলে পড়ে বন্ধ্যা ভূমিতে পরিণত হওয়ার হুমকিতে রয়েছে। দাবদাহ আর খরা মধ্যপ্রাচের অনেক এলাকাকে বসবাসের অযোগ্য করে তুলছে। সেখানে উষ্ণতা বৃদ্ধির হার বিশ্বের গড় হারের প্রায় দ্বিগুণ। জলবায়ু পরিবর্তনের এই গতি কমানো সিভিএফের দেশগুলোর জন্য এখনই জরুরি, দেরি করার সময় আর নেই।
শেখ হাসিনা ও প্যাট্রিক ভারকুইজেন বিশ্বনেতাদের প্রতি দুই দফা দাবি তুলে ধরে বলেন, ‘প্রতিবছর উন্নত দেশগুলোর কার্বন নির্গমনের মাত্রা কমিয়ে আনার জন্য নতুন লক্ষ্য নির্ধারণ করতে হবে এবং জলবায়ু তহবিলের অর্থ ছাড় করার একটি পরিকল্পনা দিতে হবে। আমরা আশা করছি, এবারের জলবায়ু সম্মেলনেই আমাদের প্রত্যাশা পূরণ হবে।’ তাঁরা লেখেন, ‘টিকে থাকতে হলে একসঙ্গে উঠে দাঁড়াতে হবে।’ সূত্র : বাসস।