হাওর ডেস্কঃ
বাংলাদেশিসহ উচ্চ শিক্ষিত ও পেশাগতভাবে দক্ষ অভিবাসনপ্রত্যাশীদের জন্য নতুন ভিসা চালু করছে ব্রিটেন। ‘স্কেল আপ’ নামে এই ভিসা আগামী বছর থেকে চালু করার ঘোষণা দিয়েছেন ব্রিটেনের চ্যান্সেলর রিসি সুনাক।
ব্রিটেনে ওয়ার্ক পারমিটসহ অন্যান্য পূর্ণকালীন কাজের ভিসার ক্ষেত্রে স্পন্সরকারী প্রতিষ্ঠানের হোম অফিস থেকে স্পন্সরশিপ লাইসেন্স নেওয়া থাকতে হয়। ‘টি আর টু’ বা ব্রিটেনের বাইরে থেকে দক্ষ জনশক্তি আনার এই লাইসেন্স পাওয়ার ক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীকে কঠিন শর্ত পূরণ করতে হয়।
কিন্তু নতুন ‘স্কেল আপ’ ভিসার ক্ষেত্রে নিয়োগকর্তার হোম অফিসের লাইসেন্স লাগবে না। আবেদনকারীর ভিসা আবেদন দ্রুততম সময়ের মধ্যে যাচাই করবে হোম অফিস।
নতুন ভিসার ক্ষেত্রে শর্তগুলো হলো- ন্যূনতম বেতন বছরে ৩৩ হাজার পাউন্ড হতে হবে, নিয়োগকারী কোম্পানি কমপক্ষে তিন বছরের পুরনো ও কোম্পানিতে ন্যূনতম দশজন কর্মী এবং কোম্পানির বছরে ২০ শতাংশ প্রবৃদ্ধি থাকতে হবে। ভিসার আবেদনকারী জব অফার লেটার ও নিয়োগদাতা কোম্পানির কাগজপত্র দিয়ে ভিসা পাবেন।
ব্রিটেনে ছাত্র ও অভিবাসী ভিসার পরামর্শক স্টাডি এইডের পরিচালক আহমেদ বখত চৌধুরী রতন রবিবার বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, এ ভিসার সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো এতে ব্রিটেনে পাঁচ বছর বসবাসের পর আবেদনকারী ব্রিটেনে ‘ইনডেফিনিট লিভ টু রিমেইন’ বা স্থায়ী বসবাসের সুবিধা পাবেন। বাংলাদেশ থেকে চিকিৎসক, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক, নার্সসহ পেশাজীবীরা এ ভিসায় ব্রিটেনে আসতে পারবেন। তবে সর্বনিম্ন বেতনসীমা ৩৩ হাজার পাউন্ড হওয়ায় কম দক্ষ কোনও কর্মীর ক্ষেত্রে এ ভিসার সুবিধা নেওয়া কঠিন হবে।
তিনি আরও বলেন, ব্রিটেনে বর্তমানে স্টুডেন্ট ভিসায় যারা বসবাস করছেন বা আসছেন তারাও কোর্স শেষে এ ভিসার জন্য আবেদন করতে পারবেন।