আমরা শিক্ষা ও ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান। বোবা। কথা বলতে পারিনা। তবে আমরা মানুষকে নৈতিক ও মানবিক শিক্ষায় শিক্ষিত করি। শিক্ষা ও নৈতিকতার আলোয় সমাজকে পরিচালিত করতে সুনামগঞ্জ সদর উপজেলার মোহনপুর ইউনিয়নের শান্তিপুর গ্রামের বীর মুক্তিযোদ্ধা সন্তান ও বিশিষ্ট দানশীল ব্যক্তিত্ব মো. মঈন উল হক আমাদেরকে প্রতিষ্টা করেছেন। নিজের পরিশ্রমের টাকা খরচ করে তিনি সমাজের উন্নতি ও মঙ্গলের জন্য কাজ করে যাচ্ছেন নিঃস্বার্থভাবে। স্কুল, কলেজ, মসজিদ, মাদরাসা, মন্দিরসহ ধর্মীয় ও শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোই শুধু তিনি প্রতিষ্ঠা/সহায়তা বিলিয়ে ক্ষান্ত হননি, সমাজের অসহায় মানুষের জন্যও মানবিক সহায়তা দিয়ে যাচ্ছেন। নিজের গাড়িতে করে অসহায় রোগিদের হাসপাতালে পাঠানো, তাদের চিকিৎসার সুব্যবস্থা করা, রোগাক্রান্ত ব্যক্তিদের সহায়তা, গরিব ও অসহায় মানুষকে মানবিক সহায়তাসহ গত তিন দশক ধরে সমাজের কল্যাণে নানাভাবে করে তিনি জ্যোতির্ময় মানুষ হিসেবে নিজেকে আসীন করেছেন।
আমরা রক্তমাংসের মানুষের মতো কথা বলতে পারিনা। তবে মানুষের চোখে আঙ্গুল দিয়ে পরিবর্তনের কারিগরদের সম্পর্কে ধারণা দিতে পারি। কারা ভালো মানুষ, সমাজের মঙ্গল চায়-তাদের তুলে ধরতে পারি মানুষের সামনে। সেই চেষ্টাই করব আমরা।
মো. মঈন উল হক মোহনপুর ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচনে মোটর সাইকেল প্রতীকে এবার জনগণ মনোনীত প্রার্থী হিসেবে ভোটযুদ্ধে নেমেছেন। ২৮ নভেম্বর রবিবার এই ইউনিয়নে ভোটগ্রহণ হবে। সমাজের প্রকৃত হিতৈষী মানুষ ও পরোপকারি হিসেবে ভোটারদেরকে আমরা অনুরোধ জানাচ্ছি এই দানশীল মানুষকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করতে। কারণ যে ব্যক্তি গাটের কাড়ি কাড়ি টাকা খরচ করে শিক্ষা প্রতিষ্টান, ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠা/সহায়তা করছেন তিনি আর যাই হোক জনগণের আমানতের খেয়ানত করবেননা। যে ব্যক্তি গত তিরিশ বছর ধরে নিজের এলাকার বাইরে গিয়ে জেলা এবং জেলার বাইরে এই অসহায়তা অব্যাহত রেখেছেন তাকে ভোট দেওয়া সমাজের সৎ মানুষের নৈতিক কাজ। বিশেষ করে এমন মানুষকে নির্বাচিত করে গর্বের সঙ্গে সবার সামনে পরিচয় করে দেওয়াও নৈতিক কর্তব্য। এই মানুষদের নির্বাচিত না করতে পারলে সমাজ মানবিক উন্নয়ন থেকে পিছিয়ে পড়বে। অন্য দানশীল মানুষজন উৎসাহ হারাবেন।
আমরা মনে করে তার মাধ্যমেই এই ইউনিয়নের সুবিধাভোগী মানুষের আমানতের সুরক্ষা হবে। সরকারের বরাদ্দ যথাযতভাবে বণ্ঠন হবে। তাই ২৮ নভেম্বর মোটর সাইকেল প্রতীকে মো. মঈন উল হককে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করতে অনুরোধ জানাচ্ছি।
সম্মানীত ভোটারগণ আসুন জেনে নেই তিনি সমাজ বদলে কি কি কাজ করেছেন।
শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান: মোহনপুর ইউনিয়নের ভিতর) : মঈন উল হক বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, জয়নগর বাজার, সুনামগঞ্জ (প্রতিষ্ঠাতা)।* শান্তিপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ভবন নির্মাণ। * জয়নগর বাজার হাজী গনি বক্স উচ্চ বিদ্যালয়, * আইডিয়াল কিন্ডার গার্টেন এন্ড গালর্স হাই স্কুল, জয়নগর বাজার, * পৈন্দা মোহনপুর তালিমুল উলুম মাদরাসা, মোহনপুর ভবন নির্মাণ। * মারকাজুল উলুম রামনগর, বর্মাউত্তর, বানীপুর মাদরাসা নির্মাণে সহায়তা। * সরদারপুর মহিলা মাদরাসা নির্মাণে সহায়তা করে সমাজকে সুশিক্ষায় শিক্ষিত করে তোলতে আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন।
মোহনপুর ইউনিয়নের বাইরে যেসব এলাকার প্রতিষ্টানে সহযোগিতা করেছেন : * আলহাজ আব্দুল মুকিত উচ্চ বিদ্যালয়, রামনগর, সাচনা বাজার ইউনিয়ন, * বিয়াম ল্যাবরেটরী স্কুল, সুনামগঞ্জ, * আদর্শ শিশু শিক্ষা নিকেতন, সুনামগঞ্জ, * ওয়েজখালী সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, সুনামগঞ্জ, * চানপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন, * অষ্টগ্রাম রাসগোবিন্দ উচ্চ বিদ্যালয়, শাখাইতি, কাঠইর ইউনিয়ন এর এসব প্রতিষ্ঠান সমূহের ভবন নির্মাণসহ অবকাঠামো উন্নয়নে মোটা অংকের আর্থিক সহায়তা দিয়েছেন। যার কারণে এখনো ভিন্ন এলাকার মানুষ তাকে শ্রদ্ধা করেন।
এছাড়াও এলাকার বাইরের বিভিন্ন মাদরাসায়ও তিনি বড়ো অংকের আর্থিক সহযোগিতা করেছেন। সেগুলোর কয়েকটি হলো- * জামেয়া ইসলামিয়া ইমদাদুল উলুম অষ্টগ্রাম শাখাইতি মাদরাসা, শাখাইতি, কাঠইর ইউনিয়ন, * ঢালা মাদসারা, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন, * গাজীনগর মহিলা মাদরাসা, পাথারিয়া ইউনিয়ন, শান্তিগঞ্জ, * সাচনা বাজার মাদরাসা, সাচনা বাজার ইউনিয়ন, জামালগঞ্জ, ধনপুর মাদরাসা, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন, ব্রাহ্মণবাড়ীয় মাদরাসা, ব্রহ্মণবাড়ীয় জেলা, তেঘরিয়া মাদরাসা, সুনামগঞ্জ পৌরসভা, টুকেরঘাট মাদসারা, গৌরারং ইউনিয়ন, এরালিয়া-চুয়াপুর মহিলা মাদরাসা, কাঠইর ইউনিয়ন, মল্লিকপুর মাদরাসা, সুনামগঞ্জ পৌরসভা সহ জেলা ও জেলার বাইরের বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে তিনি আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছেন।
ধর্মীয় উপসনালয় প্রতিষ্ঠা ও আর্থিক সহায়তা : তিনি মসজিদ-মন্দিরসহ বিভিন্ন ধর্মের পবিত্র প্রতিষ্টানগুলো নির্মাণ ও অবকাঠামো নির্মাণে সহায়তা করেছেন। সেগুলো হলো-১। তাজনগর জামে মসজিদ (মাহনপুর) ২। মাঝহাটি জামে মসজিদ (মোহনপুর) ৩। সরদারপুর জামে মসজিদ ৪। জয়নগর বাজার জামে মসজিদ ৫। বানীপুর জামে মসজিদ ৬। বর্মাউত্তর জামে মসজিদ ৭। রাশনগর জামে মসজিদ ৮। উজান রামনগর জামে মসজিদ ৯। নরুল্লা নতুন মসজিদ ১০। ভৈষবেড় জামে মসজিদ ১১। শান্তিপুর জামে মসজিদ ১২। শ্রীমতি বাজার জামে মসজিদ, কাঠইর ইউনিয়ন ১৩। ওয়েজখালী জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ১৪। জামতলা জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ১৫। তেঘরিয়া জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ১৬। মাইজবাড়ী জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ১৭। উমেদপুর জামে মসজিদ, ভীমখালী ইউনিয়ন ১৮। আমড়িয়া জামে মসজিদ, শিমুলবাঁক ইউনিয়ন ১৯। নরুল্লা পুরাতন জামে মসজিদ ২০। জয়নগর কালী মন্দির ২১। জয়নগর আখড়া ২২। নৌকাখালী কালী মন্দির। ২৩। মল্লিকপুর জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ২৪। জেলা মারকাজ জামে মসজিদ, মল্লিকপুর, সুনামগঞ্জ পৗরসভা ২৪। বিসিক শিল্পনগরী জামে মসজিদ, ওয়েজখালী, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ২৫। সুনামগঞ্জ সদর উপজেলা পরিষদ জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা ২৬। পল্লী বিদ্যুাৎ জামে মসজিদ, ওয়েজখালী সুনামগঞ্জ পৌরসভা ২৭। সুনামগঞ্জ মডেল থানা জামে মসজিদ, সুনামগঞ্জ পৌরসভা
এই মানবিক ও দানশীল ব্যক্তিত্ব প্রতিনিয়ত সৃষ্টির শ্রেষ্ট জীব মানুষের উপকারে কাজ করছেন। মানুষ যাতে নৈতিক শিক্ষায় শিক্ষিত হয় সে লক্ষ্যে প্রতিষ্ঠান নির্মাণেও কাজ করছেন। তার প্রতিষ্ঠিত এই প্রতিষ্ঠানগুলোর পক্ষ থেকে আমরা মোহনপুর ইউনিয়নের সর্বস্তরের মানুষদেরকে এই মহৎপ্রাণ ব্যক্তিকে মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দিয়ে জয়যুক্ত করে মানুষের কল্যাণে আরো উৎসাহ প্রদানের জন্য বিনীত অনুরোধ জানাচ্ছি। মো. মঈন উল হককে ভোট দিয়ে সমাজ উন্নয়নের পথকে বিকশিত করুন। মানবিক সহায়তার দরোজাকে প্রসারিত করুন।
২৮ নভেম্বর সারাদিন-মোটর সাইকেল প্রতীকে ভোট দিন।
যারা জনতার রায় কেড়ে নিতে চাইবে তাদেরকে আইনের মাধ্যমে প্রতিহত করুন।
(ফেসইসবুক থেকে সংগৃহিত)