বিশেষ প্রতিনিধি::
সরকারি বিধি ভেঙ্গে নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাত্রীদের জিম্মি করে অতিরিক্ত ফি নেওয়ার পর ফেরত দিচ্ছেন সরকারি এসসি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টরা। ৩৪ জনের কাছ থেকে নেওয়া অতিরিক্ত ফিস ফেরত দেবার কথা স্বীকার করেছেন প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাওলানা মশহুদ চৌধুরী। উল্লেখ্য সরকারি এসসি গার্লস হাইস্কুল ছাড়া এই ফি জেলা শহরের আর কোন স্কুল কর্তৃপক্ষ আদায় করেনি।
জানা গেছে গত বছর করোনাকালে সরকারি নির্দেশনা অনুযায়ী শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ ছিল। তাই শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে সরকারি কোন ফিস প্রদানেরও নির্দেশনা ছিলনা। কিন্তু সুনামগঞ্জ এসসি গার্লস হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাওলানা মশহুদ চৌধুরী কোন লিখিত নোটিশ না দিয়ে শিক্ষকদের মাধ্যমে অভিভাবকদের মোবাইলে এসএমএস দিয়ে ২০২২ সালের এসএসসি পরীক্ষার্থী ২৪০জন ছাত্রীর কাছ থেকে ১৬৯২ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দেন। এসএমএসে ১৬৯২ টাকা দেবার কথা থাকলেও বাস্তবে ১৮৭২ টাকা আদায় করেন তারা। এসসি গার্লস হাস্কুল ছাড়া জেলা শহরের আর কোন স্কুল এই ফিস আদায় করেনি। বেতন, টিফিন, শাখা, চিকিৎসা, মুদ্রণ ফিসহ নানা ফির কথা বলে ছাত্রী ও অভিভাবকদের বাধ্য করে নিয়ম বহির্ভূত ফি আদায় করেছিলেন তারা। ক্ষুব্দ অভিভাবকরা এ নিয়ে কথা বললে বিষয়টি আলোচনায় আসে। তবে প্রতিবাদী অভিভাবকদের শিক্ষার্থীদের প্রচ্ছন্ন হুমকিও দেওয়া হয় বলে অভিযোগ ওঠে। নিয়ম বহির্ভূতভাবে ছাত্রীদের জিম্মি করে ফি নেওয়ার ঘটনাটি উর্ধতন কর্তৃপক্ষ অবগত হলে তারা সরকারি নির্দেশনার আলোকে ফি নেওয়া বন্ধের নির্দেশনা দেন এবং যাদের কাছ থেকে ফি নেওয়া হয়েছে তাদের টাকা ফেরত দানের নির্দেশনা দেন। এই নির্দেশনা পেয়ে নিয়ম বহির্ভূত নেওয়া ফি শনিবার থেকে ফেরত দেওয়া শুরু করেছে স্কুল কর্তৃপক্ষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন অভিভাবক বলেন, করোনাকালে পুরোপুরি শিক্ষা কার্যক্রম বন্ধ ছিল। কিন্তু প্রধান শিক্ষক কোন কাগুজে ডকুমেন্ট না দিয়ে, নোটিশ না টাঙ্গিয়ে মেবাইল এসএমএসে ১৬৯২ টাকা প্রদানের নির্দেশনা দিয়ে ১৮৭২ টাকা আদায় করেছেন। যারা প্রতিবাদ করেছিলেন তাদের সন্তানদের হুমকি ধমকি দেওয়া হয়েছে। তিনি বলেন, এই দুর্নীতি যারা করেছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হোক।
অভিযুক্ত প্রধান শিক্ষক হাফিজ মাওলানা মশহুদ চৌধুরী বলেন, আমরা মাত্র ৩৪ জনের কাছ থেকে টাকা নিয়েছিলাম। সমালোচনার পর তাদের টাকা ফেরত দিচ্ছি।