মধ্যনগর সংবাদদাতা:
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর বাজার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারটি সারা বছর পড়ে থাকে অযত্ন-অবহেলায় । প্রতি বছর জাতীয় দিবস গুলোর আগে আগে শুরু হয়ে যায় ধোঁয়া-মোছা আর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতার কাজ। বছরের বাকি সময় শহীদ মিনার প্রাঙ্গণ পড়ে থাকে মধ্যনগর বাজরের ব্যবসায়ীদের দখলে।বছর জুরে শহীদ মিনারের বেঁধির উপরে কেউ কেউ উঠছে জুতা নিয়ে,মাঝে মাঝে শুয়ে থাকে ছিন্নমূল মানুষ,আবারও নিস্তার নেই বাজারের কয়েকটি পালিত ছাগল ও বেওয়ারিশ কুকুরের কাছ থেকেও।
শহীদ মিনার প্রাঙ্গণে সারা বছরই চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন,সামাজিক সংগঠন ও স্কুল কলেজের নানান অনুষ্ঠান। মধ্যনগর বাজারের মাঝখানে এই শহীদ মিনারটি যেন দেখার কেউ নেই।এই বিষয়ে উদাসীন বাজার বণিক সমিতি।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের দপ্তর সম্পাদক আলাউদ্দিন বলেন,
শহীদ মিনারকে রক্ষণাবেক্ষণ করা আমাদের নৈতিক দায়িত্ব। কিন্তু আমাদের বাজরের শহীদ মিনারটি শুধু নয়।অন্য শহীদ মিনারগুলো যেভাবে অযত্নে পড়ে থাকে তা অবশ্যই অবমাননাকর। সারা বছরই শহীদ মিনারের রক্ষণাবেক্ষণ হওয়া প্রয়োজন।
মধ্যনগর বাজারের ব্যবসায়ী লিটন তালুকদার বলেন, শহীদ মিনারটি সারা বছর অযত্নে পড়ে থাকে।জাতীয় দিবস গুলো ছাড়া কেউ খোঁজ খবর নেয়না।কর্তৃপক্ষের এইদিকে নজর দেওয়া উচিত।
মধ্যনগর সাহিত্য পরিষদের সভাপতি কবি অজয় রায় বলেন,শহীদ মিনার আমাদের মহান ভাষা আন্দোলনের স্মৃতির মিনার।শহীদ মিনার যদি অপরিচ্ছন্ন অবস্থায় পড়ে থাকে তাহলে এটা আমাদের জন্য লজ্জার বিষয়।মধ্যনগর বাজার শহীদ প্রাঙ্গণে সারা বছরই চলে বিভিন্ন রাজনৈতিক সংগঠন,সামাজিক সংগঠন ও স্কুল কলেজের নানান অনুষ্ঠান। তাই শহীদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণ ও পরিচ্ছন্নতার জন্য একটি কমিটি গঠন করা যেতে পারে।
মধ্যনগর বাজার বণিক সমিতির সিনিয়র সহ-সভাপতি মোস্তাক আহমেদ জানান, শহীদ মিনার আমাদের কাছে একটি সম্মানের স্থান।এটি আমাদের ভাষা আন্দোলনের পবিত্র চিহ্ন।শহীদ মিনারটি রক্ষণাবেক্ষণের জন্য বণিক সমিতি প্রয়োজনীয় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করবে।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো.মুনতাসির হাসান বলেন,শহীদ মিনারটি পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও সংস্কারের ব্যাপারে উদ্যোগ গ্রহণ করা হবে।