হাওর ডেস্ক::
শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক অধ্যাপক ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও তাঁর স্ত্রী ইয়াসমিন হককে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগের দাবি জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা।
আজ শুক্রবার (১১ ফেব্রুয়ারি) বিকেল ৩টা থেকে শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনির সঙ্গে বৈঠকে উপাচার্যের পদত্যাগসহ পূর্বের দাবিগুলোর সঙ্গে নতুন করে এ দাবি জানান তারা।
গত ১৩ জানুয়ারি ছাত্রী হলের দাবি দাওয়া নিয়ে আন্দোলনের সূচনার পর নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্যে দিয়ে শাহজালাল বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলন উপাচার্য বিরোধী আন্দোলনে রূপ নেয়। ২৫ জানুয়ারি দিবাগত রাত ৩টায় ক্যাম্পাসে আসেন ড. জাফর ইকবাল ও ইয়াসমিন হক।
তাদের আশ্বাসে পরদিন ২৬ জানুয়ারি সকাল ১০টা ২০ মিনিটে ১৬৩ ঘণ্টার অনশন ভাঙেন অনশনকারীরা। এরপর কিছু দাবি দাওয়া পূরণ করা হয়। এরকম পরিস্থিতিতে আজ শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি সিলেট এসে তাদের সঙ্গে বৈঠকে বসেন। বৈঠকে পূর্বের দাবিসহ মোট আট দফা দাবি তাঁর কাছে তুলে ধরেন আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের প্রতিনিধিরা।
আন্দোলনকারীদের অন্যতম সমন্বয়ক পদার্থবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী শাহরিয়ার আবেদীন বৈঠকের আগে তাদের আট দফা দাবিগুলোর কথা জানিয়েছেন। দাবিগুলো হচ্ছে, শাবিপ্রবির উপাচার্য ফরিদ উদ্দিন আহমদের পদত্যাগ, ক্লাস-পরীক্ষা চালু, শিক্ষার্থীদের বিরুদ্ধে হওয়া মামলা প্রত্যাহার, আড়াই শতাধিক শিক্ষার্থীর বন্ধ থাকা মোবাইল ব্যাংকিং অ্যাকাউন্ট চালু, পুলিশের গুলিতে আহত শিক্ষার্থী সজল কুণ্ডুকে এককালীন আর্থিক সহযোগিতা ও তার জন্য নবম গ্রেডের চাকরি নিশ্চিত করা, ড. মুহম্মদ জাফর ইকবাল ও ড. ইয়াসমিন হককে ইমেরিটাস অধ্যাপক হিসেবে নিয়োগ দেওয়া, সব বিশ্ববিদ্যালয়ের গবেষণাখাতে বাজেট বাড়ানো, পরীক্ষা পদ্ধতিতে কোডিং সিস্টেম কার্যকর করা, শিক্ষক নিয়োগে পিএইচডি এবং ডেমো ক্লাসের ভিত্তিতে নিয়োগ প্রক্রিয়া চালু।
এর আগে আজ সকাল ৯টায় সিলেট এসে পৌঁছান শিক্ষামন্ত্রী দীপু মনি ও শিক্ষা উপমন্ত্রী মুহিবুল ইসলাম নওফেল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আলোচনা চলছিল।