স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের বর্ধিতসভায় ধর্মপাশা উপজেলা আওয়ামী লীগের তৃণমূল নেতাকর্মীরা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শামীম আহমদ বিলকিসকে বক্তব্য দিতে দেননি। তিনি বক্তৃতায় ওঠলে উপজেলার প্রতিনিধিসভায় উপস্থিত নেতাকর্মীরা প্রতিবাদ শুরু করেন। তারা ক্ষুব্দ হয়ে ওঠলে সিলেট বিভাগের সাংগঠনিক সম্পাদক আহমদ হোসেন তাকে বক্তব্য না দিয়ে চলে আসার নির্দেশ দেন। এরপরও তিনি বক্তব্য দেওয়ার চেষ্ঠা করলে তার মাইক্রোফোন বন্ধ করে দেওয়া হয়। কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দের ধমক খেয়ে তিনি বক্তৃতা মঞ্চ থেকে সরে আসেন।
ক্ষুব্দ নেতাকর্মীরা জানান গত ইউপি নির্বাচনে তিনি সুখাইর রাজাপুর দক্ষিণ ইউনিয়নে স্থানীয় প্রশাসনকে প্রভাবিত করে আওয়ামী লীগের প্রার্থী সেলিম রাজা চৌধুরীকে পরাজিত করেন। তার সমন্ধি মোকারম হোসেনকে বিজয়ী করতে তিনি স্থানীয় শীর্ষ জনপ্রতিনিধিকে নিয়ে ইউনিয়নের দুটি কেন্দ্রে প্রভাব বিস্তার করে নির্বাচনে নিয়োজিতদের দিয়ে সবগুলো ভোট কাস্ট করান। একটি কেন্দ্রে প্রিসাইডিং অফিসারকে হাত করে তার সমন্ধি মোকারম হোসেনের বাতিল ভোটকেও গণণায় এনে গভীর রাতে আওয়ামী লীগ প্রার্থীকে ৪৯ ভোটে পরাজিত দেখিয়ে বিদ্রোহী প্রার্থী তার সমন্ধিকে বিজয়ী দেখান। নির্বাচনের দুই দিন পরে উপজেলার ঘুলুয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক স্কুলে এসে দুটি বড়ো খামে ব্যালট মারা পেপার দেখতে পান। এ ঘটনা এলাকাবাসী শুনে স্কুল ঘোরাও করে ভোট পুনগণণার দাবি জানালে ঘটনাস্থলে ছুটে যান উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা রিটার্নিং কর্মকর্তা, প্রিসাইডিং কর্মকর্তাসহ প্রশাসনের লোকজন। ক্ষুব্দ এলাকাবাসীর দাবির প্রেক্ষিতে পুন ভোট গণণা করে দেখা যায় আওয়ামী লীগ প্রার্থী ৮৪ ভোটে বিজয়ী। পরে আওয়ামী লীগ প্রার্থী তাকে বিজয়ী ঘোষণা করার জন্য জেলা নির্বাচন অফিসার, জেলা প্রশাসক, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাসহ নির্বাচন কমিশনে লিখিত আবেদন করেন। দুটি কেন্দ্রের অস্বাভাবিক ভোট কাস্টের প্রমাণও দেন।
আওয়ামী লীগ প্রার্থীর বিজয় ছিনিয়ে নেওয়ায় শামীম আহমদ বিলকিসের প্রতি নেতাকর্মীরা ক্ষুব্দ। তাই তাকে বক্তব্য দিতে দেননি তারা। তাদের প্রতিবাদের কারণে কেন্দ্রীয় নেতৃবৃন্দ তাকে মঞ্চ থেকে নামিয়ে দেন। আওয়ামী লীগ প্রার্থী নির্বাচনী ট্রাইব্যুনালে তাকে বিজয়ী করার জন্য লিখিত আবেদন করেছেন।