স্টাফ রিপোর্টার:
সুনামগঞ্জের শাল্লা উপজেলার হবিবপুর ইউনিয়নের আনন্দপুর গ্রামের আখড়ায় দোলযাত্রা অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে মাতালামিসহ নারী পুরুষদের সঙ্গে অসৌজন্যমূলক আচরণের ঘটনায় মিহির রায় নামের একজনকে ১০ হাজার টাকা জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমাণ আদালত। মিহির রায় (৪১) আনন্দ পুর গ্রামের মৃত রবীন্দ্র রায়ের ছেলে।
শনিবার বেলা ৩ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব এ আদেশ দেন।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, একাধিক মামলার আসামি মিহির রায় শুক্রবার রাতে তার বাড়ির পাশের আখড়ায়
হিন্দু সম্প্রদায়ের ধর্মীয় দোলযাত্রা অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে মাতালামি করছিল। লোকজন প্রতিবাদ করলে গ্রামের বেশ কয়েকজনের সঙ্গে খাড়াপ আচরণ করে ও শারিরিক লাঞ্চিত করে।
এ বিষয়ে গ্রামের মিটু রায় বলেন, আমি ও লাকু রায় অনুষ্ঠানে যাচ্ছিলাম, হঠাৎ মিহির রায় আমাদের উপর ক্ষিপ্ত হয়ে আমার গায়ে ধাক্কা দেয়। লাকু রায় এর প্রতিবাদ করলে তাকেও আক্রমণ করে। এ খবর ছড়িয়ে গেলে লাকুর বড় ভাই বর্তমান মেম্বার বাবলু রায় সঙ্গে ব্রজবল্লভ দাস নামে এক জনকে নিয়ে ঘটনা স্থলে এসে মিহিরকে বুঝানোর চেষ্টা করতে গেলে তাদের উপরও হামলা করে।
মেম্বার বাবলু রায় বলেন, মিহির রায় মদ খেয়ে গ্রামে একের পর এক ঘটনা ঘটিয়ে চলেছে। পুর্বে মিহির রায় মদ খেয়ে পাশের বাড়ির রবীন্দ্র রায়ের ছেলে অলক রায়কে তার নিজ ঘরে গিয়ে দা দিয়ে কুপিয়েছে। এবিষয়ে আদালতে মামলা চলছে। শুধু তাই নয় গ্রামের একজন সাংবাদিকর উপর হামলার ঘটনায় ও মামলা হয়েছে। এরপর সে কান্ত নয়। সব শেষে দোলযাত্রার অনুষ্ঠানে মদ খেয়ে যা করছে ভাষায় প্রকাশ করা যায়না। তিনি বলেন, দোলযাত্রার রাতে
মিহির রায়ের কর্মকাণ্ডে অতিষ্ঠ হয়ে গ্রামের লোকজন থানাকে অবগত করলে পুলিশ এসে তাকে থানায় নিয়ে যায়।
অফিসার ইনচার্জ আমিনুল ইসলাম বলেন, মিহির রায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের নিকট তার অপরাধ সে শিকার করেছে। পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মোঃ আবু তালেব মহোদয় ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে ১ মাসের সাজা প্রদান করেন। পরে ১০ হাজার টাকা জরিমানা দিয়ে মুক্ত হয় মিহির রায়।