শাল্লা প্রতিনিধি:
সুনামগঞ্জের শাল্লায় প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদের বিরুদ্ধে সাড়ে ৬লাখ টাকা আত্মসাতের অভিযোগ উঠেছে। ২১ মার্চ বেশ কয়েকজন অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষক উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদের কাছে তাদের প্রায় সাড়ে ৬লাখ টাকা ফেরৎ চাইতে আসেন। এই টাকা পেনশন ভাতা দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে নিয়েছেন বলে জানান তারা। সাংবাদিকদের কাছে অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষক সমরেশ সরকার, মানিক চন্দ্র দাস, আহল্লাদ চন্দ্র দাসসহ অন্যান্য শিক্ষকরা বলেন আমরা ৯জনের কাছ থেকে শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদ জনপ্রতি ৫০ হাজার টাকা নিয়েছেন। সাড়ে ৪লাখ টাকা নিয়েছেন আমাদের পিটি নাই এই সুবাদে। এই সাড়ে ৪লাখ টাকা নিছে উপরের বাবদ। যেডা কইয়া নিছে, ইডা উপরে সে দিছে না আর তারে আমরা ৯জনে আরো ২০ হাজার কইরা ১লাখ ৮০ হাজার টাকা দিছি। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষক বলেন ৯জন শিক্ষককের নিকট থেকে টাকা নেওয়ার বিষয়টি সত্য। তার আরো অনেক ঘটনা আছে। যা মাইক দিয়া কইতাম পারতাছি না। আরেক শিক্ষককে ২০১৯ সালের ১৮জুন শারীরিকভাবে লাঞ্ছিতও করেন ওই শিক্ষা কর্মকার্তা।
এবিষয়ে উপজেলা শিক্ষা অফিসার দীন মোহাম্মদ বলেন তারা মিথ্যা কথা কইতাছে। তিনি বলেন আমার সামনে বলুক তারা। সুধন খল্লি সপ্রাবির প্রধান শিক্ষক লিটন চন্দ্র তালুকদার এক চায়ের দোকানে বলেন ঘটনা সত্য। শিক্ষা অফিসার আমার কাছে টাকা নেওয়ার বিষয়টি স্বীকার করেছেন। এসময় ওই চায়ের দোকানে শাল্লা সরকারি ডিগ্রি কেলেজের কয়েকজন শিক্ষক, ভুক্তভোগী অবঃপ্রাপ্ত শিক্ষক সমরেন্দ্র সরকার উপস্থিত ছিলেন। এবিষয়ে সুনামগঞ্জ জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকার্তা এস এম আব্দুর রহমান বলেন বিষয়টি আমার জানা নেই। তারা অভিযোগ করলে ব্যবস্থা নেওয়া হবে বলে জানান তিনি।
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে সহকারী শিক্ষা অফিসার হিসেবে যোগদান করেন দীন মোহাম্মদ। এরপর মধ্য কয়েক মাসের জন্য কয়েকজন শিক্ষা অফিসার দায়িত্বপালন করেন। কিন্তু শাল্লায় বেশিদিন দায়িত্বপালন করতে পারেননি তাঁরা। অদৃশ্য শক্তির প্রভাবে দীর্ঘ ৮ বছর শাল্লায় দায়িত্বপালন করেন তিনি। অনেকের ধারণা এই দীর্ঘ সময় শাল্লায় থাকার ফলে নানা দুর্নীতি ও অনিয়মের সাথে জড়িয়ে পড়েন শিক্ষা কর্মকার্তা দীন মোহাম্মদ।