স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদী যাদুকাটা ও পাটলাই নদীতে পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরের ফসলরক্ষা বাধে চাপ পড়েছে। ২ এপ্রিল শনিবার সকালে তাহিরপুর উপজেলার টাঙ্গুয়ার হাওরের ২৪ নম্বর নজরখালি ফসলরক্ষা বাঁধ ভেঙ্গে হাওরে পানি প্রবেশ করছে। স্থানীয় কৃষকরা ঢলে ভেঙ্গে যাওয়া বাঁধ মেরামতের চেষ্টা করছেন। তবে পানি উন্নয়ন বোর্ডের সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন টাঙ্গুয়ার হাওরে পাহাড়ি ঢলের চাপ সৃষ্টি হওয়ায় অন্যান্য হাওরের চাপ কমবে। তাছাড়া টাঙ্গুয়ার হাওরে বোরো ফসল তেমন চাষ হয়না বলেও জানিয়েছে সূত্র। তারা জানিয়েছে টাঙ্গুয়ার হাওরের উঁচু অংশে স্থানীয় কৃষকরা জমি চাষ করে থাকেন। এই হাওরে ফসলরক্ষা বাধ ভেঙ্গে ও এই হাওরের বিভিন্ন বাধ উপচে পানি প্রবেশ করায় ওই ফসলি জমি এখন ঝূকিতে পড়েছে।
সুনামগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর সংশ্লিষ্টরা জানান, গত ২৪ ঘন্টায় (শুক্রবার সকাল ৯টা থেকে শনিবার সকাল ৯টা পর্যন্ত) সুনামগঞ্জে সুরমা নদীর পানি ৪.৮০ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। পানি বেড়েছে দুই সেন্টিমিটার। একই সঙ্গে সীমান্ত নদী যাদুকাটার পানি গত ২৪ ঘন্টায় ৫ সেন্টিমিটার বেড়ে শনিবার ৪.১৯ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। সুরমা নদীসহ সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় হাওরের বোরো ফসল এখন ঝূঁকির মুখে পড়েছে। পাউবো সূত্র আরো জানায়, ভারতের মেঘালয় রাজ্যের চেরাপুঞ্জিসহ আশপাশে বৃষ্টিপাত হয়েছে। সেই বৃষ্টিপাতের পানি সুনামগঞ্জের সীমান্ত নদ নদী দিয়ে এখন প্রবাহিত হয়ে হাওরে চাপ সৃষ্টি করেছে।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী মো. জহিরুল ইসলাম জানান, সুনামগঞ্জের হাওরে চলতি বছর ৭২৪টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি করে ৫৩০ কি.মি. বাঁধ নির্মাণ, মেরামত ও সংস্কার করা হয়েছে। এতে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৫২১ কোটি টাকা। হাওরে চলতি বছরে ২ লাখ ২৩ হাজার হেক্টর বোরো জমি চাষ হয়েছে। তাহিরপুর উপজেলার ২৪ নম্বর প্রকল্পের বাধ উপচে টাঙ্গুয়ার হাওরে পানি প্রবেশ করছে।
তাহিরপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. রায়হান কবীর বলেন, টাঙ্গুয়ার হাওর সংরক্ষিত এলাকা। এখানে ধান চাষ হয়না। তবে ওই হাওরের উঁচুতে কিছু কৃষক ধান চাষ করে থাকেন। এবার প্রায় ১২০ হেক্টর জমিতে বোরো আবাদ হয়েছে। পাহাড়ি ঢল প্রবেশ করায় ওই হাওরের ফসল এবার হুমকির মুখে পড়েছে। তবে যে বাঁধটি ভেঙ্গেছে সেটি মেরামতসহ অন্যান্য ঝূকিপূর্ণ বাঁধগুলোতে প্রশাসন স্থানীয় কৃষকদের নিয়ে কাজ করছে।