হাওর ডেস্ক::
বিশ্ববাজারে মূল্যবৃদ্ধির কারণে টানা তৃতীয় মাসের মত দেশের বাজারে এলপিজির দাম বাড়াল বাংলাদেশ এনার্জি রেগুলেটরি কমিশন-বিইআরসি।
এপ্রিল মাসের জন্য প্রতি কেজি এলপিজির দাম ৩ দশমিক ৫০ শতাংশ বাড়িয়ে ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা নির্ধারণ করা হয়েছে, যা মার্চে ১১৫ টাকা ৮৮ পয়সা এবং ফেব্রুয়ারিতে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা ছিল।
নতুন মূল্যহারে রান্নার কাজে সবচেয়ে বেশি ব্যবহৃত ১২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ধরা হয়েছে ১৪৩৯ টাকা, যা মার্চ মাসে ১৩৯১ টাকা ছিল। আর সাড়ে ১২ কেজির সিলিন্ডারের দাম ১৪৪৯ টাকা থেকে বেড়ে হয়েছে ১৪৯৯ টাকা।
এ মাসে রেটিকুলেটেড পদ্ধতিতে তরল অবস্থায় সরবরাহ করা বেসরকারি এলপিজির দাম মূসকসহ প্রতি কেজি ১১৬ টাকা ৭০ পয়সা ঠিক করা হয়েছে। ভোক্তা পর্যায়ে অটোগ্যাসের দাম ঠিক করা হয়েছে ৬৭ টাকা ০২ পয়সা।
রোববার বিইআরসির মাসিক ঘোষণায় বলা হয়, এপ্রিল মাসের জন্য সৌদি আরামকো প্রোপেন প্রতি টন ৯৪০ ডলার এবং বিউটেন ৯৬০ ডলার নির্ধারণ করা হয়েছে। ৩৫ অনুপাত ৬৫ হারে মিশ্রনের পর গড় মূল্য দাঁড়ায় ৯৫৩ ডলার।
এই হিসাব বিবেচনায় বেসরকারি এলপিজি খুচরা পর্যায়ে মূসকসহ প্রতিকেজির মূল্য ঠিক করা হয়েছে ১১৯ টাকা ৯৪ পয়সা।
নতুন মূল্যহার অনুযায়ী, সাড়ে ৫ কেজি ওজনের একটি সিলিন্ডারের দাম ৬৬০ টাকা, ১৫ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৭৯৯ টাকা, ১৬ কেজি সিলিন্ডারের দাম ১৯১৯ টাকা, ১৮ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২১৫৯ টাকা, ২০ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৩৯৯ টাকা, ২২ কেজি সিলিন্ডারের দাম ২৬৩৯ টাকা, ২৫ কেজির সিলিন্ডার ২৯৯৮ টাকা, ৩০ কেজির সিলিন্ডার ৩৫৯৮ টাকা, ৩৩ কেজির সিলিন্ডার ৩৯৫৮ টাকা, ৩৫ কেজির সিলিন্ডার ৪১৯৭ টাকা এবং ৪৫ কেজির সিলিন্ডার ৫৩৯৭ টাকা নির্ধারণ করা হয়েছে।
টানা পাঁচ মাস মূল্যবৃদ্ধির পর গত ডিসেম্বরে দেশে এলপিজির দাম কমতে শুরু করেছিল। জানুয়ারিতেও প্রতি কেজিতে দাম ৪ শতাংশ কমে ৯৮ টাকা ১৭ পয়সায় নেমেছিল।
কিন্তু ফেব্রুয়ারিতে এসে ৫ শতাংশ বেড়ে গিয়ে ১০৩ টাকা ৩৪ পয়সা হয়। মার্চ মাসে ১২ শতাংশ বেড়ে গিয়ে হয় ১১৫ টাকা ৮৮ পয়সা।