বিশেষ প্রতিনিধি::
ভারতের বিচ্ছিন্নতাবাদী সংগঠন গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয়ের (জিএনএলএম)’এর বিশিষ্ট সন্ত্রাসী কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাককে সুনামগঞ্জ পুলিশ গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে পাঠিয়েছে। গত সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় সুনামগঞ্জের তাহিরপুর সীমান্তবর্তী বারেকের টিলায় একটি বাড়ি থেকে কোচিং মারাককে গ্রেপ্তার করা হলে আগামীকাল রোববার তাকে আদালতে হাজির করে রিমান্ড চাইবে পুলিশ। ধৃত মারাক পুলিশের কাছে জানিয়েছে, সে মেঘালয়ের মেন্দিপাথর গ্রামের নিপু মারাকের ছেলে।
জানা যায়, গত সোমবার রাত পৌনে ১০ টায় সুনামগঞ্জের সীমান্ত এলাকায় ভারতীয় এক অপহরণকারী আশ্রয় নিয়েছে এমন সংবাদ পেয়ে ডিবি পুলিশ ও বাদাঘাট ফাঁড়ির পুলিশকে সীমান্তের বারেকের টিলা এলাকায় পাঠানো হয়। ওখানে যাওয়ার পর পুলিশ সুপার বরকতুল্লাহ্ খান ডিবি ও পুলিশের দলকে জানিয়ে দেন ওখানকার ট্রাইবাল এসোসিয়েশনের চেয়ারম্যান পুলক মারাক’এর বাড়িতে কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাক নামের মেঘালয়ের একজন বড় মাপের সন্ত্রাসী রয়েছে। সে গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয়ের একজন সদস্য। তার নেতৃত্বে মেঘালয়ে ইতিপূর্বে কয়েকজন পুলিশ সদস্যসহ সাধারণ নাগরিককেও হত্যা করা হয়েছে বলে ভারতীয় উৎস থেকে তথ্য পাওয়া গেছে। মঙ্গলবার তাহিরপুর থানায় বর্ডার কন্ট্রোল এন্ট্রি অ্যাক্টে মামলা রুজু করে কোচিং মারাককে আদালতে সোপর্দ করা হয়। আদালত তাকে জেল হাজতে পাঠানোর আদেশ দেন।
পুলিশ সুপার বরকতুল্লা খান বলেন, ‘কোচিং মারাক ওরফে ডেরেন মারাক গারো ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি মেঘালয়ের একজন বড় মাপের সন্ত্রাসী। বিষয়টি জানার পর থেকে গত দুই-তিন দিন ধরে আমরা তথ্য আদান-প্রদান করছি। বৃহস্পতিবার ভারতের খাসিয়া হিলের পুলিশ সুপার মি. হাবাড আমাদের নিশ্চিত করেছেন মেঘালয়ের কয়েকজন পুলিশ সদস্যকে হত্যা করেছে সে এবং নিজের দলনেতাকে হত্যা করে অস্ত্র ছিনতাই করে আলাদা একটি সন্ত্রাসী গ্রুপও গঠন করেছে কোচিং মারাক। বিষয়টি পুলিশ মহাপরিদর্শককে জানানো হয়েছে। রোববার আদালতে হাজির করে কোচিং মারাকের রিমান্ড চাওয়া হবে। আদালতের আদেশ মোতাবেক পরবর্তী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে। আমরা কোচিং মারাকের বিষয়ে আরও খোঁজ খবর নিচ্ছি। আমরা মনে করছি এ ধরনের সন্ত্রাসীকে আটক করা পুলিশের যেমন সাফল্য, দুই দেশের বন্ধুত্বকেও এই ঘটনা আরো জোরদার করবে।’-তথ্য সূত্র: দৈনিক সুনামগঞ্জের খবর।