স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় এক স্কুল শিক্ষকের স্ত্রীর লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ। শিক্ষিকার পরিবারের অভিযোগ যৌতুকের কারনে স্ত্রী কে প্রায়ই নির্যাতন করতেন স্কুল শিক্ষক স্বামী। শনিবার তাকে তালা দিয়ে ঘরে রেখে তিনি বিদ্যালয়ে চলে যান। সেখান থেকে এসে দেখেন ঘরের ফ্যানের সাথে ওড়না প্যাচানো লাশ ঝুলতে দেখেন তিনি। তখন প্রতিবেশিরা খবর দিলে পুলিশ গিয়ে লাশ উদ্ধার করে। এ ঘটনায় ওই নারীর পরিবারের লোকজন হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
পুলিশ ও এলাকাবাসী ও নিহতের পরিবারের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার পাটকুড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক মৃদুল চন্দ্র সরকার চাকুরীর সুবাদে উপজেলার আশারকান্দি ইউনিয়নের শেওড়া গ্রামে লজিং থাকতেন। প্রায় ছয় মাস আগে তিনি শাল্লার আঙ্গারুয়া গ্রামের নিখিল চন্দ্র সরকারের মেয়ে চম্পা রানী সরকার কে বিয়ে করেন। বিয়ের পর স্ত্রী কে নিয়ে পাঠকুড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় উঠেন। শনিবার স্ত্রী চম্পা রানী সরকার কে ঘরে তাল দিয়ে রেখে তিনি বিদ্যালয়ে চলে যান। বিকেলে বাড়ি ফিরে দেখেন ফ্যানের সাথে ওড়না দিয়ে প্যাঁচানো স্ত্রীর লাশ ঝুলছে। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে। মৃদুল চন্দ্র সরকার নেত্রকোণার কালিয়াজুড়ি উপজেরার চানপুর গ্রামের বাসিন্দা।
চম্পা রানী সরকারের ভাই নিহার সরকার জানান, বিয়ের এক মাস পর জায়গা কিনবে বলে আমার বোনকে মারধর করে ১০ লাখ টাকা যৌতুক দাবি করে। আমরা এক লাখ ৫ হাজার টাকা দেই। দুই দিন আগে আমার বোন টাকার জন্য তাকে স্বামী নির্যাতন করছে বলে মুঠোফোনে জানায়। আমার বোনকে যৌতুকের জন্য নির্যাতন করে হত্যা করা হয়েছে। আমি এঘটনায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছি।
এঘটনায় সুনামগঞ্জের সহকারী পুলিশ সুপার জগন্নাথপুর সার্কেল শুভাশীষ ধর, জগন্নাথপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি তদন্ত সুশংকর পাল, উপ পরিদর্শক জিয়া উদ্দিন ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
স্কুল শিক্ষিক মৃদুল চন্দ্র সরকার তার বিরুদ্ধে অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, আমি যৌতুকের জন্য নির্যাতন করেনি। সে আত্মহত্যা করেছে।
জগন্নাথপুর থানার ওসি তদন্ত সুশঙ্কর দাস বলেন, প্রাথমিকভাবে লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠানোর প্রস্তুতি চলছে। তবে এখনো কেউ আমাদের কাছে মৃত্যু নিয়ে লিখিত অভিযোগ করেননি। লিখিত অভিযোগ পেলে আমরা তদন্ত সাপেক্ষে ব্যবস্থা নেব।