1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
সোমবার, ২৮ অক্টোবর ২০২৪, ০২:১৮ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

ধানের কেজি ২৭, চালের ৪০

  • আপডেট টাইম :: রবিবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২২, ৩.১৩ পিএম
  • ১৫৮ বার পড়া হয়েছে

হাওর ডেস্ক ::
চলতি বোরো মৌসুমে অভ্যন্তরীণ বাজার থেকে ১৮ লাখ মেট্রিক টন ধান ও চাল সংগ্রহের টার্গেটে মাঠে নামছে সরকার। আগামী ২৮ এপ্রিল থেকে সারা দেশে বোরো ধান ও চাল সংগ্রহ শুরু হচ্ছে। চলবে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত। এবার প্রতি কেজি বোরো ধানের সংগ্রহ মূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে ২৭ টাকা, সিদ্ধ চাল ৪০ টাকা এবং আতপ চাল ৩৯ টাকা।

মোট ছয় লাখ ৫০ হাজার টন ধান ও ১১ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৫০ হাজার টন আতপ চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার কালের কণ্ঠকে এ তথ্য নিশ্চিত করেন। তিনি বলেন, ‘প্রতিবছরই সরকার ধান-চাল সংগ্রহ করে। এবারও করা হচ্ছে। ’

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত বছরও ১৮ লাখ টন বোরো ধান ও চাল সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে মাঠে নেমেছিল সরকার। পরে তিন মাসে মাত্র সাড়ে তিন লাখ টন ধান সংগ্রহ করা সম্ভব হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, কভিড-১৯ মহামারি, লকডাউন, সংগ্রহের জন্য বেঁধে দেওয়া দামের চেয়ে বাজারে ধান-চালের অস্বাভাবিক দাম, খাদ্যগুদামের শর্ত জটিলতায় সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ অভিযানে কৃষকের সাড়া না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হয়নি। এ বছর করোনা না থাকায় লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হবে বলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা মনে করছেন।

খাদ্য মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা যায়, চলতি বোরো মৌসুমে সংগ্রহের লক্ষ্যমাত্রার ১৮ লাখ টন ধান ও চালের মধ্যে মিলারদের কাছ থেকে ৪০ টাকা কেজি দরে ১০ লাখ টন সিদ্ধ চাল, ৩৯ টাকা কেজি দরে দেড় লাখ টন আতপ চাল এবং কৃষকদের কাছ থেকে ২৭ টাকা কেজি দরে সাড়ে ছয় লাখ টন ধান কেনার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, অতীতে দেখা

গেছে খাদ্যগুদামের শর্ত জটিলতায় গুদামে ধান বিক্রি করতে সমস্যায় পড়েন প্রকৃত কৃষকরা। সরকারি দামে গুদামে ধান দিতে সর্বোচ্চ ১৪ শতাংশ ময়েশ্চারাইজার বা আর্দ্রতা নিশ্চিত করতে গিয়েও বিপাকে পড়েন প্রান্তিক চাষিরা। আর্দ্রতা সম্পর্কে ধারণা না থাকায় তাঁরা এ ঝামেলায় পড়েন। প্রান্তিক পর্যায়ে কৃষকদের মধ্যে সরকারিভাবে প্রচারের অভাব, খাদ্যগুদামে সিন্ডিকেটের দাপট এবং ধান বিক্রির জন্য সনাতনি শর্তসহ নানা প্রতিবন্ধকতার কারণে সরকারের ধান-চাল সংগ্রহ কার্যক্রম থেকে মুখ ফিরিয়ে নেন কৃষকরা। ফলে সরকারের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে বিঘ্ন ঘটে।

সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানিয়েছেন, কৃষকরা সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে গিয়ে ঝক্কিঝামেলা মনে করে বেপারিদের কাছে ধান বিক্রি করে দেন। বর্তমানে ৮৫০ টাকা থেকে ৯০০ টাকা মণ ধরে ধান বিক্রি করা হচ্ছে। কোথাও কোথাও স্থানীয় বাজারে ৭০০ থেকে ৭৫০ টাকা মণ ধরেও ধান বিক্রি হচ্ছে।

সরকারের ঘোষণা অনুযায়ী বর্তমানে ধান সংগ্রহের দাম পড়ছে ১০৮০ টাকা মণ। তবে বাংলাদেশ কৃষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজী সাজ্জাদ জহির চন্দন মণপ্রতি দাম ১২০০ টাকা (কেজি ৩০ টাকা) করার জন্য সরকারের কাছে দাবি জানিয়েছেন। কালের কণ্ঠকে তিনি বলেন, ‘আমরা হিসাব করে দেখেছি বর্তমানে প্রতি মণ ধান মাড়ানো পর্যন্ত একজন কৃষকের ৭৫০ টাকা খরচ হয়। এর সঙ্গে কৃষকের শ্রম, জমির ব্যবহার ও নষ্ট হয়ে যাওয়ার ঝুঁকি ইত্যাদি বিবেচনায় দাম ১২০০ টাকা করা উচিত। তিনি বলেন, ‘সরকার যখন ধান কেনার বিষয়টি ডিক্লেয়ার করে তখন কৃষকদের কাছে আর ধান থাকে না। তাঁরা বিক্রি করে দেন পাইকারি বিক্রেতা বা মজুদদারদের কাছে। এ কারণে ধান কাটার এক মাস আগে থেকে ধান সংগ্রহের ঘোষণা দেওয়ার জন্য বলে আসছি আমরা। কিন্তু সরকার তা মানছে না। ’

সাজ্জাদ জহির জানান, প্রকৃত কৃষক সরকারের কাছে ধান বিক্রি করতে পারেন না। প্রভাবশালী লোকজন কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে ধান কিনে সেটি সরকারের কাছে বিক্রি করে লাভবান হন। তিনি আরো বলেন, ‘বর্তমানে যেসব এলাকায় ধান উৎপাদন হয় ওই সব এলাকার উপজেলায় ধান কেনা হয়ে থাকে। আমরা সরকারের কাছে দাবি জানিয়ে আসছি ইউনিয়ন পর্যায়ে ক্রয়কেন্দ্র করার। ’

প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বাংলাদেশের কৃষকরা এখনো এতটা সচেতন হননি যে কতটুকু শুকনো বা ভেজা হলে গুদামজাত করা যাবে। এ কারণে সরকারের উচিত কৃষক যে ধানই নিয়ে সেই ধান কিনে নিয়ে গুদামজাত করার প্রক্রিয়া করা।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!