বিশেষ প্রতিনিধি::
গত এক সপ্তাহ ধরে সুনামগঞ্জে রাতদিন বৃষ্টি হওয়ায় কাটা বোরো ধানে অঙ্কুর গজিয়েছে। পচন ধরেছে মাড়াই করে রাখা ধানে। অন্যদিকে হাওর এলাকার বাইরে আবাদকৃত উচু এলাকার জমির কাটার বাকি অবশিষ্ট ধানও ডুবে যাচ্ছে। এখন তড়িগড়ি করে সেই ধান কাটছেন কৃষকরা।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, দশ দিন আগে হাওরের শহরের বোরো ধান কাটা হয়েছে। তবে হাওরের বাইরে উচু এলাকায় আবাদকৃত বোরো ধান এখনো কাটার বাকি আছে। রবিবার পর্যন্ত হাওরের বাইরের বোরো ৭৯ ভাগ কাটা হয়েছে। এখন গত এক সপ্তাহ ধরে পাহাড়ি ঢল ও বর্ষণে নদ নদীর পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় উচু এলাকার ওই জমিও প্লাবিত হয়েছে। তাই দ্রুত ধান কাটার নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে কৃষকদের।
এদিকে এক সপ্তাহ আগে কাটা ধান মাড়াই ও শুকানোর জন্য স্তুপ করে রাখা ধানে পচন ধরেছে। অঙ্কুর গজিয়েছে ধানে। এতে ক্ষতির আশঙ্কা করছেন কৃষকরা।
দেখার হাওরের বাহাদুরপুর গ্রামের কৃষক বদরুল আলম বলেন, আমি দশ কেদার জমির ধান করেছিলাম। তিন কেদার জমির ধান কেটে স্তুপ করে রেখেছিলাম। গত কয়েকদিন টানা বৃষ্টির কারণে সেই ধানে পচন ধরেছে। গজিয়েছে অঙ্কুর। এই ধান না শুকানোর কারণে ক্ষতির মুখে পড়েছি। তিনি বলেন, যারা ধান কেটে স্তুপ করে রেখেছিলেন তাদের সবারই এই অবস্থা।
জানিগাঁও গ্রামের কৃষক জাহিদ হোসেন বলেন, ৫ দিন আগে ধান কাটছিলাম। তখন দিন মেঘাচ্ছন্ন ছিল। সেই ধান রোদ না থাকায় মাড়াই করতে পারিনি। স্তুপ করে রেখেছিলাম। এখন অঙ্কুর এসে ধান নষ্ট করে গেছে। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্য রাখা খড়ও পচে নষ্ট হয়ে গেছে।
সুনামগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক বিমল চন্দ্র সোম বলেন, গত কয়েকদিনের বৃষ্টিতে স্তুপিকৃত ধান পচন ধরেছে। কোন কোন স্থানে অঙ্কুরও গজিয়েছে। তবে এই সমস্যা কম কৃষকেরই। এ কারণে তেমন বড়ো ক্ষয়-ক্ষতি হবেনা। অবশিষ্ট নন হাওরের যে ২১ ভাগ ধান কাটার বাকি আছে তা পাহাড়ি ঢলে নিমজ্জিত হওয়ার আগেই কৃষক কেটে তুলতে পারবেন বলে জানান তিনি।