হাওর ডেস্ক::
মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা (মাউশি) অধিদপ্তরে অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে নিয়োগ পরীক্ষার প্রশ্ন ফাঁসের মামলায় রিমান্ড শেষে চন্দ্র শেখর হালদার ওরফে মিল্টনকে কারাগারে পাঠানোর আদেশ দিয়েছেন আদালত।
আজ বুধবার ঢাকা মহানগর হাকিম বেগম শুভ্রা চক্রবর্তীর আদালত কারাগারে পাঠানোর এ আদেশ দেন। একই সঙ্গে জামিন শুনানির জন্য আগামীকাল বৃহস্পতিবার দিন ধার্য করেছেন আদালত। সংশ্লিষ্ট আদালতের সাধারণ নিবন্ধন শাখার এসআই মো. হেলাল উদ্দিন বিষয়টি কালের কণ্ঠকে জানিয়েছেন।
এদিন রিমান্ড শেষে তাকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত বিশ্বাস আসামিকে কারাগারে আটক রাখার আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী মো. আবু হানিফ জামিন আবেদন করেন। তবে শুনানির জন্য সময় চান তিনি। এরপর আদালত তাকে কারাগারে পাঠিয়ে আগামীকাল বৃহস্পতিবার জামিন শুনানির দিন ধার্য করেন।
এর আগে গত ২৫ জুলাই লালবাগ থানায় দায়ের করা মামলায় আসামিকে আদালতে হাজির করা হয়। এরপর মামলার তদন্ত কর্মকর্তা গোয়েন্দা পুলিশের (ডিবি) তেজগাঁও জোনাল টিমের এসআই (নিরস্ত্র) সুকান্ত বিশ্বাস তার সাত দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করেন। আসামির পক্ষে তার আইনজীবী মো. আবু হানিফ রিমান্ড বাতিল চেয়ে জামিন আবেদন করেন। রাষ্ট্রপক্ষ জামিনের বিরোধিতা করেন। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত তার এক দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন। এর আগে ২৪ জুলাই রাতে রাজধানীর সেগুনবাগিচা থেকে চন্দ্র শেখর হালদারকে গ্রেপ্তার করে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগ (ডিবি)।
মাউশিতে ৫১৩টি পদে নিয়োগের জন্য রাজধানীর ৬১টি কেন্দ্রে গত ১৩ মে নিয়োগ পরীক্ষা নেওয়া হয়। এই নিয়োগ পরীক্ষায় প্রশ্নপত্র ফাঁসের ঘটনায় লালবাগ থানায় মামলা হয়। ইডেন মহিলা কলেজের শিক্ষক আবদুল খালেক বাদী হয়ে মামলাটি করেন।
মামলায় অভিযোগ করা হয়, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের অফিস সহকারী কাম কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক পদে পরীক্ষা শুরু হয় বিকেল ৩টায়। পরীক্ষাকেন্দ্র থেকে সুমন জোয়াদ্দার নামের এক পরীক্ষার্থীকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে সুমন জোয়াদ্দার জানান, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে দুপুর ২টা ১৮ মিনিটে তার মুঠোফোনে পটুয়াখালীর সাইফুল ও টাঙ্গাইলের খোকন উত্তরপত্র পাঠান।