স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের ধর্মপাশা উপজেলায় পুলিশ পেটানো (এসল্ট) মামলায় ১১জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছে পুলিশ। শনিবার রাতে এজাহারভূক্ত দুই আসামিকে গ্রেপ্তারও করেছে। প্রধান আসামি পাইকুরহাটি ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক দাবিদার পিন্টু চন্দ্র দে পালিয়ে গেছে। তবে উপজেলা ছাত্রলীগের দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন পিন্টু চন্দ্র দে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কমিটির কেউ না। বর্তমানে এই ইউনিয়নে ছাত্রলীগের কোন কমিটি নেই। সে অবৈধভাবে পরিচয় দিচ্ছে।
পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার দুপুরে উপজেলার পাইকুরহাটি ইউনিয়ন কার্যালয়ে ভোটার তালিকা হালনাগাদের কাজ চলছিল। এসময় পাইকুরহাটি গ্রামের মাধব চন্দ্র দের পুত্র পিন্টু চন্দ্র দে ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক পরিচয় দিয়ে জোরপূর্বক উপস্থিতিদের সারিতে ডুকে হট্টগোল শুরু করে। এসময় পুলিশ বাধা দিলে পিন্টু তার দলবল নিয়ে পুলিশের উপর ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে। এতে এসআই শামীম আহমদ, কনেস্টেবল নান্টু দাস, কানু বিশ্বাস ও তপু সরকার আহত হন। তাদেরকে ধর্মপাশা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে।
ধর্মপাশা থানার ওসি মিজানুর রহমান জানান, এ ঘটনায় শনিবার রাতেই আহত এসআই শামীম বাদী হয়ে ১১ জনের বিরুদ্ধে ধর্মপাশা থানায় সরকারি কাজে বাধা ও পুলিশকে মারধরের অভিযোগে মামলা দায়ের করেছেন। এতে প্রধান আসামি করা হয়েছে পিন্টুকে। তাকে গ্রেপ্তারে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। মামলার তালিকাভূক্ত আসামি মাধব চন্দ্র দে ও জয় চন্দ্র দেকে রাতে নিজ এলাকা থেকে আটক করেছে পুলিশ। তাদেরকে আদালতে প্রেরণের প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে বলে জানান ওসি।
ধর্মপাশা উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি দেলোয়ার হোসেন বলেন, পিন্টু চন্দ্র দেব ইউনিয়ন ছাত্রলীগের কেউ নয়। তার সঙ্গে ছাত্রলীগের কোন সম্পর্ক নেই। সে অবৈধভাবে পরিচয় সংগঠনের ভাবমূর্তি নষ্ট করছে।