অনলাইন ডেক্স::
সাসেক্স অবাক হয়ে ভাবে। এ কেমন বোলার! ইংল্যান্ডে পা রেখে দুই দ- বিশ্রামও পাননি। ভিন্ন কন্ডিশন, ভিন্ন দেশের পরিস্থিতি, ভিন দেশের রাত-দিনের ব্যবধানের সাথে মানিয়ে নেওয়ার একদমই সময় পাননি। অথচ মাঠে নেমেই তাদের জিতিয়ে দিলেন ‘দ্য ফিজ’! ৪ ওভারে ২৩ রানে ৪ উইকেট। আছে ৪ বলের মধ্যে দুই উইকেটও। প্রথম ম্যাচেই ফিজ জাদুতে বাঁধা পড়েছে সাসেক্স।
গেল রাতে মুস্তাফিজুর রহমানের অভিষেক হয়েছে কাউন্টি ক্রিকেটে। টি-টোয়েন্টি ব্ল্যাস্টে প্রথম খেলাতেই ম্যান অব দ্য ম্যাচ তিনি। ২০ বছরের কাটার বিস্ময়ের ওপর ভর করেই আট ম্যাচের মধ্যে মাত্র দ্বিতীয় জয়ের দেখা পেল সাসেক্স শার্কস। এসেক্সকে ২৪ রানে হারানো ম্যাচে চেমসফোর্ডে উঠেছিল মুস্তাফিজ ঝড়।
বাঁহাতি ফাস্ট বোলারকে দেখতে অনেক প্রবাসী বাংলাদেশি মাঠে উপস্থিত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও সাসেক্সের সাথে ছিল বাংলাদেশিরা। ম্যাচের শেষে এই সমর্থকদেরও তাই ধন্যবাদ জানাতে হয়েছে সাসেক্সকে, “সারা রাত ধরে আমাদের সমর্থন দেওয়ার জন্য বাংলাদেশি সমর্থকদের ধন্যবাদ।” বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) টুইট করেছে সাসেক্সকে, “আমরা করে দেখালাম এবং তা কাজেও এলো! জয়ের জন্য অভিনন্দন।”
সাসেক্স তো আসলে খাবি খাচ্ছে লিগে। এই ম্যাচে জয়ে ১২ ম্যাচে ১২ পয়েন্ট হলো তাদের। নক আউটে খেলতে হলে শেষ তিন ম্যাচেই জিততে হবে তাদের। সেই শেষ তিনের প্রথম জয়টি ইংল্যান্ডে পা রেখেই এনে দিলেন বাঁ হাতি ফাস্ট বোলার মুস্তাফিজ।
মুস্তাফিজকে পেতে সাসেক্সকে অনেক অপেক্ষা করতে হয়েছে। ধৈর্যের পরীক্ষা দিতে হয়েছে। তবে তারা যে ঠিক মানুষটার জন্যই এত অপেক্ষা করেছে তা তো বোঝাই যাচ্ছে। সাসেক্স অধিনায়ক লুক রাইটের কথা শুনলে বোঝা যাচ্ছে মুস্তাফিজ প্রথম ম্যাচ খেলেই তাদের কাছে পেয়েছে বীরের মর্যাদা। রাইটের ভাষায়, “রহমানকে পেতে অনেক পরিশ্রম করতে হয়েছে। অনেকে এর পেছনে শ্রম দিয়েছে। এখন তার কাছ থেকে ওই শ্রম ও চেষ্টার মূল্য পেলাম। খুব স্পেশাল বোলার ও। এসেই যেভাবে পারফর্ম করলো সে তা দেখার মতো।”
মুস্তাফিজকে বুদ্ধিমানের মতোই ব্যবহার করেছেন রাইট। কিন্তু অনুশীলনে ঠিক মতো বুঝে ওঠার আগেই তাকে ম্যাচে পাওয়ায় কিছু ঝামেলা তো ছিলই। সেই প্রসঙ্গ টেনে রাইট বললেন, “ওয়ার্ম আপে তাকে বোঝার চেষ্টা করেছি। কিন্তু পারিনি। আমাদের উইকেটকিপার ক্রেগ কাচোপাকেও কৃতিত্ব দিতে হবে। সে তার বল ভালো সামলেছে। তাকে আগে না দেখেই সামলানো সহজ কথা না।” তবে যেভাবে এলেন, দেখলেন ও জয় করলেন মুস্তাফিজ। তাতে যেন রাইটের বিস্ময়ের ঘোর কাটছে না, “মাত্র গতকালই উড়ে এলো সে। সোজা মাঠে নেমেই এমন বল করলো। আমরা খুব বিশেষ এক প্রতিভাকে পেয়েছি।”