হাওর ডেস্ক ::
আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মন্ত্রী-এমপিরা প্রভাব বিস্তার করলে তা নিয়ন্ত্রণের জন্য জেলা প্রশাসক (ডিসি) ও পুলিশ সুপারদের (এসপি) নির্দেশনা দিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কাজী হাবিবুল আউয়াল।
আজ শনিবার আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে জেলা পরিষদ নির্বাচন উপলক্ষে দেশের ৬১ জেলার ডিসি ও পুলিশ সুপারদের সাথে সভায় তিনি এ পরামর্শ দেন।
ডিসি এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, দল নিরপেক্ষ হয়ে কাজ করতে হবে। এমন কাজ করা যাবে না, যাতে জনগণ মনে করে পক্ষপাতদুষ্ট আচরণ করছেন।
সিইসি বলেন, নির্বাচনের আগে পরে রাজনৈতিক দলের নেতাকর্মীদের পক্ষ বা বিভিন্ন মহল থেকে নানা ধরনের গুজব বা অপপ্রচার ছড়ায় এবং অনেক মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য প্রচার করে বিশৃঙ্খলা পরিস্থিতি তৈরির চেষ্টা করে। আপনারা এ বিষয়ে সতর্ক থাকবেন। কোনো গুজবের সন্ধান পেলে বা এ রকম পরিস্থিতি তৈরি হলে আপনারা দ্রুত গুজবকারীদের শনাক্ত করে ব্যবস্থা নেবেন। আপনারা জেলা-উপজেলা পর্যায়ে সার্বিকভাবে খোঁজখবরের পাশাপাশি সোশ্যাল মিডিয়ায় কোনো গুজব ছড়াচ্ছে কিনা সে বিষয়ে নজরদারি বাড়াবেন। নিরপেক্ষ থেকে আপনারা সর্বোচ্চ পেশাদারিত্বের সঙ্গে দায়িত্ব পালন করবেন।
ডিসি-এসপিদের উদ্দেশে তিনি বলেন, আপনারা প্রয়োজনীয় ক্ষমতা প্রয়োগ করবেন। যেকোনো মূল্যে আইনশৃঙ্খলা রক্ষা করে নির্বাচনের অনুকূল পরিবেশ বজায় রাখবেন। জনগণের স্বাধীন ভোটাধিকার প্রয়োগের সহায়ক অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন অনুষ্ঠান নিশ্চিত করতে হবে। গণতন্ত্রের প্রয়োগ, চর্চা ও বিকাশে নিজ নিজ অবস্থান থেকে অবদান রাখতে হবে।
হাবিবুল আউয়াল বলেন, নির্বাচন গণতন্ত্রকে সংহত করে এবং সরকারকে জনগণের কাছে জবাবদিহিমূলক করে থাকে। সেই অর্থে রাজনৈতিক ও সাংবিধানিক দৃষ্টিকোণ থেকে নির্বিঘ্নে ও স্বাধীনভাবে ভোটারদের ভোটাধিকার প্রয়োগের নিশ্চয়তাসম্পন্ন অবাধ, নিরপেক্ষ, অংশগ্রহণমূলক ও প্রতিদ্বন্দ্বিতামূলক জাতীয় ও স্থানীয়, উভয়বিধ, সরকারের নির্বাচন অপরিসীম গুরুত্ব বহন করে।
দ্বাদশ সংসদ নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও শান্তিপূর্ণ পরিবেশে অনুষ্ঠিত হবে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ইভিএম প্রশ্নেও বিতর্ক রয়েছে। আমরা কেবল বিশ্বাস করি না, প্রমাণ পেয়েছি ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহার করে নির্বাচনি সহিংসতা ও কারচুপি নিয়ন্ত্রণ সহজতর। ১৫০ টি আসনে, প্রাপ্যতা সাপেক্ষে, ইভিএম প্রযুক্তি ব্যবহারের সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমরা। তবে প্রয়োজনে ১৫০ এর অধিক আসনে ব্যালটে নির্বাচন অনুষ্ঠানের প্রস্তুতিও থাকবে। সে লক্ষ্যে নির্বাহী ও পুলিশ প্রশাসনকেও আইন-শৃঙ্খলা নিয়ন্ত্রণে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও জানান তিনি।