হাওর ডেস্ক:
বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত বাংলাদেশের
আফগানদের কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের খেলা।
২০২৩ সালে ওয়ানডে বিশ্বকাপে সরাসরি অংশগ্রহণ নিশ্চিত হয়ে গেছে বাংলাদেশের। নিজেদের দুটি সিরিজ বাকি থাকতেই ভারতে অনুষ্ঠেয় এই টুর্নামেন্টে খেলার টিকিট পেয়ে গেল তারা।
পয়েন্ট টেবিলের যে অবস্থা, তাতে বাংলাদেশের সরাসরি খেলা একরকম অবধারিতই ছিল। আনুষ্ঠানিকভাবে এটি নিশ্চিত হয়ে যায় পাল্লেকেলেতে শুক্রবার রাতে আফগানিস্তানের কাছে শ্রীলঙ্কার পরাজয়ে।
স্বাগতিক ভারত ছাড়া আরও পাঁচ দল এরই মধ্যে পেয়ে গেছে সরাসরি বিশ্বকাপ খেলার নিশ্চয়তা।
১৩ দলের চলমান আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ সুপার লিগ থেকে স্বাগতিক ভারত ও অন্য শীর্ষ ৭ দল সরাসরি সুযোগ পাবে বিশ্বকাপে। এই প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে প্রতিটি দল খেলছে ৮টি তিন ম্যাচের সিরিজ।
ভারত ও বাংলাদেশ ছাড়াও বিশ্বকাপে খেলা নিশ্চিত হয়েছে ইংল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড ও পাকিস্তানের।
এখন পর্যন্ত ছয় সিরিজের ১৮ ম্যাচ খেলে ১২টি জিতে মোট ১২০ পয়েন্ট বাংলাদেশের।
২০২৩ সালের মার্চে ইংল্যান্ড ও মে মাসে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে সুপার লিগের বাকি দুই সিরিজ খেলবে তামিম ইকবালের দল।
ওয়েস্ট ইন্ডিজ ও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে দুই সিরিজের ছয় ম্যাচই জিতেছে বাংলাদেশ।
একটি করে ম্যাচ হেরেছে শ্রীলঙ্কা, আফগানিস্তান ও দক্ষিণ আফ্রিকার সঙ্গে সিরিজে। নিউ জিল্যান্ড সফরে গিয়ে কোনো ম্যাচ জিততে পারেনি তারা।
স্বাগতিক হিসেবে সরাসরি খেলা নিশ্চিত হলেও ভারত পয়েন্ট টেবিলেও এখনও পর্যন্ত সবার ওপরে। ১৯ ম্যাচে তাদের পয়েন্ট ১২৯।
এক ম্যাচ কম খেলে ১২৫ পয়েন্ট নিয়ে ইংল্যান্ড রয়েছে দুইয়ে। পরের চার দল অস্ট্রেলিয়া, নিউ জিল্যান্ড, বাংলাদেশ ও পাকিস্তান; সবারই ঝুলিতে সমান ১২০ পয়েন্ট। শ্রেয়তর নেট রান রেটে অস্ট্রেলিয়া আপাতত আছে তিনে।
এই ছয় দলকে টপকে যাওয়ার সুযোগ নেই তালিকার নিচের দিকে থাকা পাঁচ দলের।
পরের দলগুলোর মধ্যে সবচেয়ে ভালো অবস্থানে আছে আফগানিস্তান। তারা ১৩ ম্যাচে ১১০ পয়েন্ট নিয়ে রয়েছে সাত নম্বরে। আর একটি জয় পেলেই পুরোপুরি নিশ্চিত হবে আফগানদের বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ।
এরই মধ্যে সুপার লিগের ২৪ ম্যাচ খেলে ফেলা ওয়েস্ট ইন্ডিজ স্রেফ ৮৮ পয়েন্ট সংগ্রহ করতে পেরেছে। প্রথম দুই আসরের বিশ্ব চ্যাম্পিয়নদের এবার সরাসরি অংশগ্রহণ এখনও প্রবলভাবে অনিশ্চিত।
এছাড়া শ্রীলঙ্কা ১৯ ম্যাচে ৬২ ও দক্ষিণ আফ্রিকা ১৬ ম্যাচে পেয়েছে ৫৯ পয়েন্ট। এ দুই দলের সামনেই সুযোগ রয়েছে সেরা আটে ঢোকার।
সেক্ষেত্রে বাকি সব ম্যাচ জেতার পাশাপাশি অন্যান্য দলের ফলাফলও তাদের পক্ষে থাকতে হবে।
সুপার লিগের সেরা আটের বাইরে থাকা পাঁচ দলকে খেলতে হবে আইসিসি বাছাইপর্বে।
সেখান থেকে আসবে বিশ্বকাপের বাকি দুই দল। টেবিলের তলানিতে থাকা জিম্বাবুয়ে (২১ ম্যাচে ৪৫) ও নেদারল্যান্ডস (১৯ ম্যাচে ২৫) ছিটকে গেছে লড়াই থেকে। এ দুই দলের সঙ্গে সুপার লিগের আরও তিনটি দেশকে খেলতে হবে বাছাইপর্বে।
আগামী অক্টোবর-নভেম্বরে হবে ওয়ানডে বিশ্বকাপের ত্রয়োদশ আসর। টুর্নামেন্টের ভেন্যু ও সূচি এখনও চূড়ান্ত হয়নি।