স্টাফ রিপোর্টার::
দিরাই উপজেলার ভরারগাও গ্রামের আজিজুর রহমানের মেয়ে সালমা বেগমমে খুন করে গুমের ঘটনায় ভাইকে যাবজ্জীবন দ- প্রদান করা হয়েছে। বৃহষ্পতিবার দুপুরে সুনামগঞ্জের জেলা ও দায়রা জজ মোসাম্মৎ জাকিয়া পারভিন এই দ-াদেশ দেন। তবে আসামি পলাতক ছিল।
জানা গেছে সালমা স্বামীর সঙ্গে দাম্পত্য কলহে জড়িয়ে একমাত্র কন্যা সন্তান নিয়ে বাবার বাড়ি চলে আসেন। ২০১৫ সালের ২৪ আগস্ট ওই নারীর বড় ভাই মোশাহিদ মিয়া বোনের সঙ্গে কথা কাটাকাটি করেন। এক পর্যায়ে বোনের মাথায় লাঠি দিয়ে আঘাত করলে তিনি মারা যান। তার লাশ বসতঘরের পিছনে গর্ত করে মাটিচাপা দেন মোশাহিদ। এ ঘটনা দেখে ফেলে ওই নারীর তিন বছরের কন্যা সন্তান। এসময় বাড়িতে কেউ না থাকায় মোশাহিদ মিয়া পরিবার ও এলাকাবাসীকে জানান তার বোন রাগ করে মামার বাড়ি চলে গেছে। এ ঘটনায় ২৫ আগস্ট সালমা বেগমের বাবা এ ঘটনায় দিরাই থানায় সাধারণ ডায়েরি করেন। মোশাহিদ মিয়া বাড়ি থেকে কাজের কথা বলে পালিয়ে যাবার চারমাস পর ওই নারীর তিন বছরের কন্যা তার নানা আজিজুর রহমানকে জানায় তার মাকে খুন করে তার মামা বসতঘরের পিছনে মাটিচাপা দিয়েছিল লাশ। এ ঘটনায় বাবা আজিজুর রহমান সন্তানের বিরুদ্ধে সুনামগঞ্জ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে হত্যা মামলা দায়ের করেন। পুলিশ মোশাহিদ মিয়াকে গ্রেপ্তার করলে আদালতে ১৬৪ ধারর জবানবন্দিতে খুন ও গুমের ঘটনার স্বীকার করেন নারীর ভাই। ২০১৫ সালের ২৩ মে আদালতে অভিযোগপত্র দাখিল করা হয়। বিচারক ১৩ জনের স্বাক্ষ্যপ্রমাণ শেষে ১ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার যাবজ্জীবন দ-াদেশ দেন। জামিন নিয়ে পলাতক থাকায় আরো ৭ বছরের দ-াদেশ দেন আদালত।
সুনামগঞ্জ পাবলিক প্রসিকিউটর এডভোকেট ড. খায়রুল কবির রোমেন বলেন, বোনকে খুন করে লাশ গুমের মামলায় ভাইকে যাবজ্জীবন দ-াদেশ দিয়েছেন আদালত। আরেকটি পৃথক মামলায় ভারতীয় তিন নাগরিককেকে ৭ বছরের দ- দেওয়া হয়েছে।
এ মামলার বিবাদী পক্ষের আইনজীবী হুমায়ূন মঞ্জুর চৌধুরী জানান, আমরা ন্যায় বিচার পাইনি। উচ্চ আদালতে মামলা নিয়ে যাব।