1. haornews@gmail.com : admin :
  2. editor@haor24.net : Haor 24 : Haor 24
বুধবার, ১৬ অক্টোবর ২০২৪, ০৭:৪২ পূর্বাহ্ন
সংবাদ শিরোনাম ::
জামালগঞ্জে নবাগত জেলা প্রশাসকের মতবিনিময় সভা সিলেটে শিল্পকলা একাডেমির কালচারাল অফিসারকে অপসারণের দাবিতে গণস্বাক্ষর কার্যক্রম ২৫০ শয্যা হাসপাতালে সেবার মান বাড়ানোর দাবিতে মতবিনিময় সুনামগঞ্জে বিএনপির প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে দোয়া ও মিলাদ বন্যার্তদের সহায়তায় সুনামগঞ্জে শিল্পকলা একাডেমির ব্যতিক্রমী ছবি আঁকার কর্মসূচি জগন্নাথপুরে শিক্ষিকা লাঞ্চিত: দোষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে ২৪ ঘন্টার আল্টিমেটাম দেশের গণমাধ্যমের স্বাধীনতাবিরোধী সকল কালাকানুন বাতিলের দাবি সাবেক ছাত্রলীগ নেতা পান্নার মরদেহ হস্থান্তর করলো মেঘালয় পুলিশ কাদের সিদ্দিকী বললেন: বঙ্গবন্ধুর আওয়ামী লীগ আর শেখ হাসিনার আওয়ামী লীগ এক নয় বাংলাদেশে সাম্প্রতিক বন্যায় ২০ লাখ শিশু ঝুঁকিতে : ইউনিসেফ

৬ ডিসেম্বর সুনামগঞ্জ মুক্ত দিবস: বীর মুক্তিযোদ্ধাদের ত্রিমুখি আক্রমণে পালায় হানাদাররা

  • আপডেট টাইম :: মঙ্গলবার, ৬ ডিসেম্বর, ২০২২, ১.৩১ পিএম
  • ১১৬ বার পড়া হয়েছে

স্টাফ রিপোর্টার::
১৯৭১ সনের ৬ ডিসেম্বর ভোরে বাংলার দামাল মুক্তিবাহিনী সুনামগঞ্জ শহর দখল করতে আসছে এই ভয়ে শহরের দখল ছেড়ে স্থল ও জলপথে সিলেট পালিয়ে যায়। ৬ ডিসেম্বর ভোরে মুক্ত শহরে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দিয়ে প্রবেশ করেন যোদ্ধারা। হানাদারদের ভয়ে আতঙ্কিত জনতা বিজয় মিছিল দিয়ে তাদের স্বাগত জানায়। এভাবেই মুুক্ত হয় শহর সুনামগঞ্জ।
বীর মুক্তিযোদ্ধারা জানান, ১৯৭১ সনের ৫ ডিসেম্বর রাতে বালাট সাব সেক্টরের কমা-ার মেজর মোত্তালিব ও মিত্র বাহিনীর পরিকল্পনায় এ, বি, সি ও ডি কম্পানির মুক্তিযোদ্ধারা সুনামগঞ্জ শহর শত্রুমুক্ত করতে বিশেষ পরিকল্পনা গ্রহণ করেন। দক্ষিণ দিকে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনীর পালানোর পথ রেখে বালাট সাব সেক্টরের মুক্তিযোদ্ধারা সুনামগঞ্জ শহরকে শত্রুমুক্ত করতে রওয়ানা দেন। ৫ ডিসেম্বর রাতে বালাট সাব সেক্টরের কমান্ডার মেজর মোতালিব, ভারতীয় ক্যাপ্টেন যাদব ও ক্যাপ্টেন রঘুনাথ ভাট দখলদার বাহিনীর উপর চরম আঘাত হানতে চারটি কোম্পানি প্রস্তুত করেন। ‘এ’ কোম্পানিকে যোগীরগাঁও, ‘বি’ কোম্পানিকে হালুয়ারঘাট, সি কোম্পানিকে হাছননগর, ডি কোম্পানিকে ভাদেরটেক লালপুর থেকে আক্রমণের নির্দেশ দেওয়া হয়। তাছাড়া এফএফ কোম্পানিকে বেরীগাঁও-কৃষ্ণনগরে পরবর্তী নির্দেশনা না দেওয়া পর্যন্ত অবস্থানের নির্দেশ দেওয়া হয়। শুধু দক্ষিণ দিক উন্মুক্ত রেখে যৌথ আক্রমণের পরিকল্পনা সম্পন্ন করেন বীর মুক্তিযোদ্ধারা। কোম্পানিগুলোকে সার্বিক রসদ সরবরাহের দায়িত্ব দেওয়া হয় এডিএম কোম্পানিকে। এছাড়াও বনগাঁও সদর দফতরে অতিরিক্ত এক প্লাটুন বীর মুক্তিযোদ্ধা প্রস্তুত ছিলেন যে কোন পরিস্থিতি শামাল দিতে।
মুক্তিযোদ্ধাদের অতর্কিত ও যৌথ আক্রমণের খবরে ভীতসন্ত্রস্থ পাকিস্তানী হানাদারবাহিনী শহর ছেড়ে পালাতে শুরু করে। দীর্ঘদিন অবরুদ্ধ থাকার পর হাজার হাজার নারী পুরুষ রাস্তায় নেমে এসে মুক্তির উল্লাসে মেতে ওঠেন। এভাবেই শত্রুমুক্ত হয় সুনামগঞ্জ। পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী পালানোর সময় সুনামগঞ্জ পিটিআই টর্চার সেলে কয়েকজনকে হত্যা করে, কয়েকজনকে মুুক্তিযোদ্ধাকে ধরে নিয়ে আহসানমারা সেতুর পাশে ব্রাশ ফায়ারে হত্যা করে। এখান থেকে মুক্তিযোদ্ধারা অনেক মানুষের হাড়গোড়, নারীদের কাপড় চোপড়সহ বিবস্ত্র দেহ উদ্ধার করেন।
মুক্ত দিবস পালন উপলক্ষে জেলা প্রশাসন, মুক্তিযোদ্ধা সংসদ, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সংগঠন নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে। জেলা মুক্তিযোদ্ধা সংসদ ও জেলা প্রশাসন সুনামগঞ্জ মুক্তিযোদ্ধা সংসদে জাতীয় পতাকা উত্তোলন করেন জেলা প্রশাসক দিদারে আলম মোহাম্মদ মকসুদ চৌধুরী। পরে সকালে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি দিয়ে শহর প্রদক্ষিণ করে জেলা শিল্পকলা একাডেমির হাসনরাজা মিলনায়তনে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়।

Print Friendly, PDF & Email

শেয়ার করুন

এ জাতীয় আরো খবর
themesbazarhaor24net
© All rights reserved © 2019-2024 haor24.net
Theme Download From ThemesBazar.Com
error: Content is protected !!