অনলাইন::
আট বছরের আন্দোলনের ব্যর্থতার দায়ে বিএনপির সব নেতার পদত্যাগ করা উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক, সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেছেন, ‘ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব, আপনার মনের জ্বালা আমরা বুঝি, কষ্টটাও বুঝি। বিএনপি আমাদের পদত্যাগ করতে বলে, আট বছরে আট মিনিটের জন্য রাস্তা গরম করতে পারেনি। উত্তাল সঞ্চায় করতে পারেনি। এই ব্যর্থতার জন্য আপনাদের টপ টু বটম সবার পদত্যগ করা উচিত।’
শুক্রবার (৪ আগস্ট) দুপুরে বাংলা একাডেমি অডিটরিয়ামে ছাত্রলীগের আয়োজনে বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে শেখ কামালের ৬৮ তম জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভায় এ কথা বলেন ওবায়দুল কাদের। বিএনপির মহাসচিব ফখরুল ইসলাম আলমগীর সরকারকে ব্যর্থতার দায়ে পদত্যাগ করার পরামর্শ দেওয়ার একদিন পর তিনি এই প্রতিক্রিয়া জানালেন। ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘বিএনপির শক্তি দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। চেয়ারম্যান বিদেশে, ভাইস চেয়ারম্যন বিদেশে। এরা কবে দেশে আসবেন কেউ জানে না। টেমস নদীর পাশে বসে বসে চোরা গলি খুঁজছে, কোন গলি দিয়ে যাওয়া যায়।’
বৃহস্পতিবার নয়পল্টনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘বর্তমান এই সরকার জোর করে ক্ষমতা ধরে রেখেছে। ষোড়শ সংশোধনী নিয়ে যে রায় প্রকাশিত হয়েছে, তা কোনও সভ্য দেশে হলে সরকার পদত্যাগ করত।’ ফখরুল আরও বলেন, ‘বিচার বিভাগের সর্বোচ্চ রায়ে বলা হয়েছে- এই দেশে গণতন্ত্র নেই, মানবাধিকার নেই, পার্লামেন্টে আইনের কোনও শাসন নেই, বিচার বিভাগকে তারা নিয়ন্ত্রণ করার চেষ্টা করছে।’
শেখ কামালের ৬৮ তম জন্ম বার্ষিকীর আলোচনা সভা
ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘ফখরুল ইসলাম আলমগীর সাহেব সরকারকে পদত্যাগ করতে বলেন। পঁচাত্তর পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশে সবচেয়ে জনপ্রিয় সরকার হচ্ছে শেখ হাসিনার সরকার। শেখ হাসিনা সরকারের জনপ্রিয়তায় ঈর্ষান্বিত হয়ে বিএনপি এখন পদত্যাগের প্রলাপ বকতে শুরু করেছে। আলমগীর সাহেব বাংলাদেশকে পাকিস্তান বলে কোন দিকে ইঙ্গিত করেছেন আমরা জানি। বাংলাদেশ পাকিস্তান নয়, পাকিস্তানকে পরাজিত করেই স্বাধীন হয়েছে বাংলাদেশ। তিনি কোন দিকে ইশারা ইঙ্গিত করে পদত্যাগ করতে বলেছেন আমরা বুঝি। বাংলাদেশে একটা-দুইটা আঘাতে স্তিমিত হওয়ার দল আওয়ামী লীগ না।’
কোনও আঘাত আওয়ামী লীগকে পরাজিত করতে পারবে না জানিয়ে ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘আওয়ামী লীগ সরকারের ভিত, শেখ হাসিনার গণভিত এবং আওয়ামী লীগের ভিত অনেক বেশি শক্তিশালী। আঘাত করে আমাদের পরাজিত করা যাবে না। আমরা সেই শক্তি যারা অতলের কিনারা থেকে, সময়ের প্রতিজ্ঞা নিয়ে এগিয়ে যাই সামনের দিকে। আমাদের প্রতিজ্ঞা এখনো দুর্বল হয়নি। প্রতিজ্ঞা নিয়ে বারে বারে আমরা অন্ধকারকে অতিক্রম করতে জানি। আমাদের ভয় দেখিয়ে কোনও লাভ নেই। আমাদের গণভিত, আমাদের ভিত অনেক বেশি শক্তিশালী।’
ছাত্রলীগের সভাপতি সাইফুর রহমান সোহাগের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, র আ ম রবিউল মোক্তাদির চৌধুরী, সাবেক রাষ্ট্রদূত মমতাজ হোসেন, ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক জাকির হোসেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি আবিদ আল হাসান, সাধরন সম্পাদক মোতাহার হোসেন প্রিন্স।