হাওর ডেস্ক:
অবশেষে মৃত্যুর কাছে হার মানলেন ব্রাজিলিয়ান কিংবদন্তি পেলে। আজ ব্রাজিলের সাও পাওলোর এক হাসপাতালে ৮২ বছর বয়সে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছেন তিনি।
পেলে দীর্ঘদিন ধরে ক্যান্সারে আক্রান্ত ছিলেন। কাতার বিশ্বকাপ চলাকালে তার শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি ঘটেছিল। ফলে এসময় তার শরীরে ক্যান্সারের কেমো দেওয়া সম্ভব হয়নি।
এতদিন ধরে তার বড় মেয়ে অবশ্য তার শারীরিক অবস্থাকে স্থিতিশীল বলে দাবি করে আসছিলেন। অসুস্থতার কারণে হাসপাতালেই বড়দিন উদযাপন করেছে পেলের পরিবার। এর ৪ দিন পর পৃথিবী ত্যাগ করলেন ফুটবল জগতের এ মহাতারকা।
সারা বিশ্বে ফুটবলকে জনপ্রিয় করার পেছনে অন্যতম অবদান পেলের। তাকে ফুটবলের রাজা ও কালো মানিক উপাধি দেওয়া হয়েছে। বিশ্বকাপ ফুটবল ইতিহাসে তিনিই একমাত্র ফুটবলার যার তিনটি বিশ্বকাপ জয়ের রেকর্ড রয়েছে ( ১৯৫৮, ৬২ ও ৭০)। এছাড়াও দলের হয়ে ৯২ ম্যাচে ৭৭ গোল করে ব্রাজিলের সর্বকালের শীর্ষ গোলদাতাও হয়েছেন এ কিংবদন্তি।
৭২ বছর আগেরকার কথা। ১৯৫০ সালে ঘরের মাঠের বিশ্বকাপ ফাইনালে উরুগুয়ের মুখোমুখি ব্রাজিল। ফেভারিট হিসেবে শিরোপার মঞ্চে আসা সেলেসাওরা ৪৭ মিনিটে লিড নেয়। কিন্তু ৩২ মিনিটের ব্যবধানে মারাকানার ১ লাখ ৭৩ হাজার দর্শককে স্তব্ধ করে এগিয়ে যায় উরুগুয়ে। ভাগ্যের কাছে আরও একবার পরাজিত ব্রাজিল!
বিশ্বকাপের প্রথম আসর থেকেই ফেভারিট হিসেবে খেলে আসা দলটির এই হারটা কোনোমতেই মানতে পারছিলেন না ব্রাজিলিয়ানরা। রিও ডি জেনিরোর প্রতিটি কোণায় কোণায় তখন নেমে আসে শোকের ছায়া। হারের ধাক্কাটা ব্রাজিলিয়ানদের কাছে কেমন ছিল সেটা বোঝা যায় তখনকার এক সাংবাদিকের বর্ণনায়, ‘শহরের প্রতিটি ঘরের জানালা বন্ধ ছিল। রাস্তা দিয়ে হাঁটলে চাপা কান্নার আওয়াজ শোনা যেত। মনে হচ্ছিল, প্রত্যেক ব্রাজিলিয়ান তাদের সবচেয়ে কাছের মানুষটিকে হারিয়েছে। অনেকেই ঈশ্বরের কাছে প্রার্থনা করেছেন, ফুটবলের ইতিহাসে ১৬ জুলাই যেন আর কখনোই ফিরে না আসে।’
হারের ধাক্কাটা কোনোমতেই নিতে পারছিলেন না দোনদিনিয়ো। ঘরের কোণে ঝোলানো যিশু খ্রিস্টের ছবির দিকে তাকিয়ে কাঁদতে কাঁদতে বলছিলেন, ‘হায় ইশ্বর, কেন আমাদের এই শাস্তি দিলে!’
বাবার দুঃখটা সেদিন খুব ছুঁয়ে গিয়েছিল দোনদিনিয়ের ৯ বছর বয়সী ছেলেকে। কিন্তু ৯ বছর বয়সী কিশোর ফুটবল বিশ্বকাপের আর কিই বা বোঝে? তবু বাবাকে সেদিন বড় মুখ করে প্রতিশ্রুতি দেয়, ‘কেঁদো না বাবা! তোমার জন্য আমি ওই বিশ্বকাপ নিয়ে আসব একদিন।’
কথা রেখেছিলেন দোনদিনিয়ের ছেলে এডসন আরান্তেস দো নাসিমেন্তো। বাবা ও দেশবাসীর স্বপ্ন পূরণে সময় নিয়েছেন মাত্র ৮ বছর। মাত্র ১৭ বছর বয়সে দেশকে প্রথমবারের মতো বিশ্বজয়ের স্বাদ পাইয়ে দিয়ে হয়েছেন অমর। বিশ্ববাসীর ভালোবাসা জিতে হয়েছেন সবার প্রিয় ‘পেলে’।
১৯৪০ সালের ২৩ অক্টোবর ব্রাজিলের ত্রেস কোরাকোয়েস শহরের এক বস্তিতে জন্ম হয় পেলের।
দরিদ্র পরিবারের প্রথম সন্তান হিসেবে অভাব অনটনটা বেশ ভালোভাবেই অনুভব করতে হয়েছে ছোটবেলা থেকে। আর তাই অভাব মেটাতে কৈশোর থেকেই কাজ শুরু করেন চায়ের দোকানে। এখানেই শেষ নয় রেলস্টেশনে ঝাড়ু দেওয়া কিংবা জুতা পরিষ্কার করা, এসব কাজও তাকে করতে হয়েছে ছোটবেলাতেই।
ফুটবল প্রতিভাটা শৈশব থেকেই তার মধ্যে ছিল। তবে অভাবের কারণে তখন ফুটবল দিয়ে খেলতে পারতেন না, বন্ধুদের সঙ্গে পেলেকে খেলতে হত মোজার ভেতরে কাগজ ঠেসে বানানো ফুটবলে। কিন্তু প্রতিভা থাকলে যে শত প্রতিকূলতাকে পেছনে ফেলা যায় সেটারই জ্বলজ্যান্ত উদাহরণ হলেন পেলে। গলির ফুটবলে আলো কেড়ে নজরে চলে আসতে খুব বেশি সময় লাগেনি তার। ১৫ বছর বয়সেই সান্তোসের তৎকালীন তারকা ওয়ালদেমার ডি ব্রিতোর নজরে পড়েন ফুটবল জাদুকর। ফুটবলের পেলের যাত্রা শুরু সেখান থেকেই।
১৫ বছরের কিশোরকে ব্রাজিলের নামকরা ক্লাবে সান্তোসে নিয়ে যান ব্রিতো। তাকে সুযোগ করে দেন সান্তোসের বি টিমে খেলার। জাত চেনাতে সময় লাগেনি পেলের। এক বছরের ব্যবধানে জায়গা করে নেন ক্লাবটির মূল দলে।
সান্তোসে জায়গা করেই চমক দেখান পেলে। ১৬ বছর বয়সী কিশোর নিজের অভিষেক টুর্নামেন্টে হন সর্বোচ্চ গোলদাতা। নজরকাড়া এই পারফরম্যান্স মনে ধরে যায় সবার। এমনকি দেশের সরকারেরও নজর এড়ায়নি এ পারফরম্যান্স। পেলের এই পারফরম্যান্স সরকারের কাছে অমূল্য হিসেবে বিবেচিত হলো। তাই আইন করে পেলেকে ব্রাজিলের জাতীয় সম্পদ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছিল তখনই!
পেলের এমন অতিমানবীয় পারফরম্যান্সের গল্প খুব দ্রুতই প্রচার হয়ে যায় বিশ্বব্যাপী। ইউরোপিয়ান নামিদামি ক্লাবগুলোর তখন তাকে পাওয়ার জন্য রীতিমতো লড়াইয়ে লেগে যাবার মতো অবস্থা। কিন্তু সবাইকে চমকে দিয়ে পেলে থেকে গেলেন নিজ দেশেই। সরকারের অনুরোধ মেনে নিয়ে হাসিমুখেই খেলতে থাকলেন নিজ দেশের লিগে।
ফলাফলটা এসেছে দ্রুতই। ১৯৫৭ সালে মাত্র ১৬ বছর বয়সে জাতীয় দলে সুযোগ পেয়ে যান পেলে। প্রথম ম্যাচ চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী আর্জেন্টিনার বিপক্ষে। অভিষেক ম্যাচটা ব্রাজিলের হয়ে জিততে পারেননি মহাতারকা, তবে রেকর্ড ঠিকই নিজের করে নিয়েছিলেন। আন্তর্জাতিক ফুটবলে ১৬ বছর ৯ মাসে গোল করে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার রেকর্ডটা নিজের করে নিয়েছিলেন।
ব্রাজিলের জার্সিতে মোট ১৪ বছর খেলেছেন পেলে। তাতে অসংখ্য অ্যাসিস্টের পাশাপাশি ৭৭টি গোল করে নিজের ক্যারিয়ারের ইতি টেনেছিলেন। দীর্ঘ ৫০ বছরেরও বেশি সময় পর পেলের সেই গোলের রেকর্ড ভেঙেছেন হালের তারকা নেইমার। অর্জনটা যে কতোটা বড় সেটা এই পরিসংখ্যান দেখেই খানিকটা আন্দাজ করা যেতে পারে।
১৯৫৮ সালে বিশ্বকাপের অন্যতম ফেভারিট ছিল ব্রাজিল। সেসময়ের জিতো, গারিঞ্চা, দিদি, ভাভাদের দিয়ে সাজানো তারকাবহুল দলে ১৭ বছর বয়সী পেলের জায়গা পাওয়াটাই ছিল বিরাট চমক। তাই শুরুতে সাইডবেঞ্চে কাটাতে হয় ফুটবলের কালো মানিককে। কিন্তু সোভিয়েত ইউনিয়নের বিপক্ষে গ্রুপ পর্বের ম্যাচে মাজ্জেলার ইনজুরির কারণে মাঠে নামানো হয় পেলেকে। সে ম্যাচে কোনো গোল না পেলেও এক অ্যাসিস্টে কোচের ভরসা জেতেন মহাতারকা।
এরপর আবার কোয়ার্টারে সুযোগ মেলে তার। সে ম্যাচে রেকর্ডগড়া গোল এল তার পা থেকে। বিশ্বকাপে সর্বকনিষ্ঠ গোলদাতার একমাত্র গোলে সেমির মঞ্চে ব্রাজিল। গোল পাওয়ার পরই যেন পুরো মোড় ঘুরে গেল পেলের ক্যারিয়ারে। এরপর তিনি হয়ে উঠলেন অদম্য, অপ্রতিরোধ্য।
সেমিফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে হ্যাটট্রিক ১৭ বছর বয়সী পেলের। বিশ্বকাপের ইতিহাসে তখন সর্বকনিষ্ঠ হ্যাটট্রিকম্যান বনে গেলেন তো বটেই, ছড়ালেন বিস্ময়ও। এখানেই থামেননি পেলে, ১৭ বছর বয়সী তরুণ ফাইনালেও দুই গোল করে ব্রাজিলকে জেতালেন বিশ্বসেরার শিরোপা। রাখলেন বাবাকে দেওয়া তার সেই প্রতিশ্রুতি। স্বাভাবিকভাবেই সে বিশ্বকাপের সিলভার বল ও সিলভার বুট দুটো পুরষ্কার জেতেন পেলে। তবে যে নাম এবং সম্মান তিনি জিতেছিলেন, সেটা কোনো পুরষ্কারে পরিমাপ করা সম্ভব নয়।
ইনজুরির কারণে ১৯৬২ সালের বিশ্বকাপটা তেমন ভালো কাটেনি পেলের। তৎকালীন সেরা খেলোয়াড় হিসেবে বিশ্বকাপ শুরু করে প্রথম ম্যাচটা খেলেছিলেন সেরার মতোই। চিলির বিপক্ষে ম্যাচে এক গোল ও এক অ্যাসিস্ট। তবে পরের ম্যাচেই চেকশ্লোভাকিয়ার বিপক্ষে খেলতে নেমে ইনজুরিতে তিনি। এরপর খেলতে পারেননি টুর্নামেন্টের আর একটি ম্যাচেও। তবু পেলের দেখানো পথেই আবারও বিশ্বকাপটা নিজেদের করে নেয় ব্রাজিল।
১৯৬৬ সালের বিশ্বকাপেও ইনজুরির থাবা। প্রথম ম্যাচে বুলগেরিয়ার বিপক্ষে গোল পাওয়ার পর ইনজুরিতে পড়েন মহাতারকা। নামতে পারেননি পরের ম্যাচে। পর্তুগালের বিপক্ষে গ্রুপের শেষ ম্যাচে দলের প্রয়োজনে ইঞ্জুরড পেলেকে নামানো হলে অসংখ্য ফাউলের শিকার হন তিনি। ব্রাজিল হেরে গিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বাদ পড়ে যায়। রাগে ক্ষোভে জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণাও দিয়ে ফেলেন পেলে। কিন্তু এখানেই যে ‘হ্যাপি এন্ডিং’ না সেটা জানা যায় তিন বছর পর।
জাতীয় দলে কিছুটা বিরতি দিয়ে ১৯৬৯ সালে আবার দেশের হয়ে খেলতে নামেন পেলে। বাছাইপর্বের ৬ ম্যাচে করেন ৬ গোল। এরপরই এসে পড়ে পেলের শেষ বিশ্বকাপ। ১৯৭০ সালের বিশ্বকাপে পেলেকে খেলানো হয় প্লে মেকার হিসেবে। এ কারণে তার পা থেকে আসে চারটা গোল। তবে নিজে খুব বেশি গোল না করলেও গোল করিয়েছেন ৭টা। তাতে টুর্নামেন্টের সেরা পুরষ্কারটা নিজের করে নেওয়ার পাশাপাশি দেশের হয়ে জিতে ফেলেন তৃতীয় বিশ্বকাপ ট্রফি। জুলে রিমে ট্রফি হয়ে যায় আজীবনের জন্য ব্রাজিলের।
মাত্র ২৯ বছরে তিনটা বিশ্বকাপের মালিক হন পেলে। বিশ্বকাপের ৯২ বছরের ইতিহাসে এখন পর্যন্ত এ রেকর্ড ভাঙতে পারেনি বিশ্বের কোনো ফুটবলার। নিকট অতীতেও তা সম্ভব কিনা সেটা নিয়েও আছে সন্দেহ!
ফুটবলটা যেন তার কাছে শিল্পীর রঙ তুলির মতো। এই বল দিয়েই পুরো ক্যারিয়ারটা শিল্প কর্ম করে গেছেন ব্রাজিলিয়ান নাসিমেন্তো। ২০০০ সালে আইএফএফএইচএস (International Federation of Football History & Statistics) এর তত্ত্বাবধানে সাবেক খেলোয়াড় আর সাংবাদিকদের ভোটে বিংশ শতাব্দীর সেরা খেলোয়াড় নির্বাচন করা হয়। তাতে ১৭০৫ ভোট পেয়ে সেরা হন পেলে, দ্বিতীয় হওয়া ইয়োহান ক্রুইফের সঙ্গে তার ব্যবধানটা ছিল ৪০২ ভোটের।
ফুটবল ইতিহাসে বিশ্বের সেরা খেলোয়াড় কে, এটা নিয়ে আছে বিভিন্ন তর্ক বিতর্ক। তবে বিশ্বকাপের ইতিহাসে যে পেলেই সেরা এটা মানেন সবাই। কারণ মাত্র ২৯ বছরে বিশ্বকাপের চার আসর খেলে চারটাতেই গোল করা এবং তিনটিতে শিরোপা ছিনিয়ে নেওয়া বিশ্বকাপের ইতিহাসেই বিরল এক ঘটনা হয়ে থাকবে শতাব্দীর পর শতাব্দী।
ফুটবলে পেলের অবদান আরেকটা একটা ঘটনা থেকে সহজেই জানা যায়। পেলের সময়কালে ইউরোপিয়ান নন এমন খেলোয়াড়দের ব্যালন ডি অর পুরষ্কার দেওয়া হতো না। তবে ২০১৬ সালে অদ্ভুত এক কান্ড করে বসে পুরষ্কার কমিটি। ১৯৯৫ সালের আগ পর্যন্ত ইউরোপের বাইরের খেলোয়াড়দের বিবেচনায় এনে পুরষ্কারের একটি তালিকা করে ব্যালন ডি অর কমিটি। সেখানে ১৯৫৮ থেকে ১৯৭০ পর্যন্ত মোট ৭ বার ব্যালন বিজয়ী ঘোষণা করা হয় পেলেকে, যা এখন পর্যন্ত ফুটবল ইতিহাসের সর্বোচ্চ ব্যালন ডি অর জয়ী লিওনেল মেসির সমান।
মাঠের ফুটবলে পেলে যেমন দ্যুতি ছড়িয়েছেন, মাঠের বাইরেও তার আলো পেয়েছে গোটা বিশ্ব। ১৯৬৭ সালে নাইজেরিয়ায় গৃহযুদ্ধ থামিয়ে দিয়েছিলেন ফুটবলের এই কিংবদন্তি। সেসময় শুধু পেলেকে দেখার জন্য ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করেছিল গৃহযুদ্ধে জড়িত দলগুলো। ফুটবলের বাইরে টিভির পর্দাতেও ছিলেন পেলে। বিভিন্ন টিভি অনুষ্ঠানে নিয়মিতভাবে অতিথি হওয়ার পাশাপাশি সিনেমা ও টেলিভিশন ধারাবাহিকেও কাজ করেছেন তিনি। হলিউডের সিনেমা এসকেপ টু ভিক্টোরিতে এক যুদ্ধবন্দীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনি।
মানুষ পেলেও যেন ছিলেন সবার আপন। অভাব অনটনে বড় হওয়া পেলে খেলোয়াড় থাকা অবস্থায়ই দরিদ্র শিশুদের জন্য গড়েন ফাউন্ডেশন। এরপর ইউনিসেফ ও জাতিসংঘের দূতও হয়েছেন তিনি। পেলেকে সম্মান জানাতে ২০০১ সালে ব্রাজিল ফুটবলে দুর্নীতির বিচার করতে পেলে ল নামে একটি আইন চালু হয়। ১৯৯৯ সালে নিউ ইয়র্কের টাইম ম্যাগাজিন প্রকাশিত বিংশ শতাব্দীর সেরা ১০০ জন মানুষের তালিকায় ছিলেন পেলে।
জীবনের সবটুকু নির্যাস উপভোগ করে শেষ বয়সে এসে ক্যান্সারে আক্রান্ত হন পেলে। তবে মরণব্যধির সঙ্গেও লড়াইটা কম করেননি। অবশেষে হার মানলেন ২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর। তবে পেলে ধরার মায়া ত্যাগ করলেও ‘মৃত্যু’ হয়নি তার।
কারণ ভক্তদের হৃদয়ে তো অনেক আগেই অমরত্ব গড়ে নিয়েছেন তিনি। আর শতাব্দীর পর শতাব্দী মনে রাখার মতো অর্জন কুড়িয়ে নেওয়া এমন তারকাদের কি কখনো মৃত্যু হয়? তাই পেলে না থেকেও ধরার বুকে থাকবেন চিরকাল।