হাওর ডেস্ক::
ভারত তাদের প্রথম নাকে নেওয়ার কোভিড টিকা বাজারে ছাড়ল।
তাদের ভারত বায়োটেকের বানানো এই ইনকোভ্যাক ড্রপ আকারে নাকে দিতে হয়, যা নাসিকা গহ্বরের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কোষগুলোর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা উদ্দীপ্ত করে।
বৃহস্পতিবার প্রজাতন্ত্র দিবসে ভারতে আনুষ্ঠানিকভাবে টিকাটির যাত্রা শুরু হয় বলে হিন্দুস্তান টাইমসের এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে।
গত বছরের সেপ্টেম্বরে চীন শ্বাসের সাহায্যে নেওয়া সম্ভব এমন কোভিড টিকার অনুমোদন দিয়েছিল।
বিজ্ঞানীরা বলছেন, নাকে নেওয়ার টিকা নাসিকা গহ্বর ও এর উপরের শ্বাসনালীর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াবে, কোভিড সাধারণত এই পথ দিয়েই শরীরে প্রবেশ করে।
যুক্তরাজ্য এবং যুক্তরাষ্ট্রের গবেষকরাও নাকে স্প্রের মাধ্যমে দেওয়ার সম্ভব এমন টিকা নিয়ে কাজ করছেন, জানিয়েছে বিবিসি।
গত বছরের নভেম্বরে ভারতের ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ জরুরি পরিস্থিতিতে প্রাপ্তবয়স্কদের জন্য ভিন্নধর্মী বুস্টার ডোজ হিসেবে ইনকোভ্যাকের ব্যবহারে অনুমোদন দেয়।
যারা এর আগে ভারতে বানানো দুটি প্রধান কোভিড টিকা কোভিশিল্ড বা কোভ্যাক্সিনের দুই ডোজ নিয়েছিল, তাদের ক্ষেত্রেই এই ভিন্নধর্মী বুস্টার ব্যবহারে অনুমোদন দেওয়া হয়েছিল।
ডিসেম্বরে কর্তৃপক্ষ ইনকোভ্যাককে মৌলিক টিকা এবং দুই টিকা পরবর্তী সাধারণ বুস্টার হিসেবে ব্যবহারেও ছাড়পত্র দেয়।
সরকারি হাসপাতালে এই টিকার প্রতিটি ডোজ নিতে লাগবে ৩২৫ রুপি, বেসরকারি হাসপাতালে গুণতে হবে দ্বিগুণেরও বেশি, ৮০০ রুপি। এ্ই টিকা নিতে সরকারের অনলাইন প্ল্যাটফর্মে নিবন্ধনও করা যাবে। দুটি ডোজ নেওয়া যাবে ২৮ দিনের ব্যবধানে।
ভারত এখন পর্যন্ত নাগরিকদের কোভিড টিকার ২০০ কোটির বেশি ডোজ দিয়েছে; দেশটির জনসংখ্যার ৭০ শতাংশের বেশিই এরই মধ্যে টিকার অন্তত দুটি ডোজ পেয়েছেন বলে জানাচ্ছে তাদের কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়।
গত বছরে জানুয়রিতে ভারত স্বাস্থ্যসেবা ও সম্মুখসারির কর্মী এবং ষাটোর্ধ্বদের বুস্টার ডোজ দিয়ে তাদের বুস্টার কর্মসূচি শুরু করেছিল। পরে সব প্রাপ্তবয়স্ককেই ওই কর্মসূচির আওতায় আনা হবে। অবশ্য সাম্প্রতিক সময়ে তাদের বুস্টার প্রয়োগের গতি কমে এসেছে।