হাওর ডেস্ক::
পররাষ্ট্র মন্ত্রী ড. এ. কে. আব্দুল মোমেন বলেছেন, অন্ন, বস্ত্র, বাসস্থান, শিক্ষা সেবা নিশ্চিত করে আমাদের স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলতে হবে। আর স্মার্ট কৃষিবিদ গড়ার মাধ্যমেই আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ গড়তে পারব। কারন কৃষিবিদরা সর্বক্ষেত্রে তাদের মেধার সাক্ষর রাখতে সক্ষম হয়েছে। বৃহস্পতিবার (১৬ ফেব্রুয়ারি) সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের (সিকৃবি) ২০২১-২০২২ শিক্ষাবর্ষের লেভেল-১, সেমিস্টার-১ এ ভর্তিকৃত নবীণ শিক্ষার্থীদের ওরিয়েন্টেশন-২০২২ অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তৃতায় তিনি এসব কথা বলেন। ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা দপ্তরের পরিচালক অধ্যাপক ড. মোঃ মোস্তফা সামছুজ্জামান এর সভাপতিত্বে এবং সহযোগী অধ্যাপক ড. শামীমা নাসরীন ও সহকারী অধ্যাপক ড. পার্থ প্রতীম বর্মণ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন যুক্তরাজ্য আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আনোয়ারুজ্জামান চৌধুরী ও রূপালী ব্যাংকের সাবেক চেয়ারম্যান ড. আহমদ আল কবির। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন ডিন কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মেহেদী হাসান খান, রেজিস্ট্রার মোঃ বদরুল ইসলাম, প্রভোস্ট কাউন্সিলের আহবায়ক অধ্যাপক ড. শরিফুন্নেছা মুনমুন, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মোঃ মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। ছাত্র প্রতিনিধি হিসেবে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ সিলেট কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় শাখার সভাপতি আশিকুর রহমান ও সাধারণ সম্পাদক মোঃ এমদাদুল হক। নবাগত শিক্ষার্থীদের পক্ষে অনুভূতি ব্যক্ত করেন ইসাবা মেহেজাবিন এবং মনোয়ার মাহাতাব।
প্রধান অতিথির বক্তৃতায় ড. মোমেন বলেন, কৃষিক্ষেত্রে দেশে বৈপ্লবিক অগ্রগতি সাধিত হয়েছে, যার কৃতিত্ব কৃষিবিদদের। তিনি বলেন, বাংলাদেশ অর্থনৈতিক উন্নয়নের রোল মডেল। ২০৩০ সালে বাংলাদেশ দারিদ্রমুক্ত দেশ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হবে। তিনি আরও বলেন, বর্তমান প্রধানমন্ত্রীর দৃঢ় নেতৃত্বে এবং কৃষিবিদদের কল্যাণে দেশে খাদ্যশস্য উৎপাদিত হওয়ায় প্রায় তিন বিলিয়ন ডলারের খাদ্য আমদানি করতে হয় না। যার ফলশ্রুতিতে বৈদেশিক মুদ্রা সাশ্রয় হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় উদ্যোগী হয়ে সরকারী-বেসরকারী সহযোগিতায় সিলেট অঞ্চলের অনাবাদি জমি চাষের আওতায় নিয়ে আসতে হবে। তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ সৃষ্টির মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মানের কৃষিবিদ তৈরি করে বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণে সকলের সহযোগিতা কামনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ডাঃ মোঃ জামাল উদ্দিন ভূঞা নির্মিতব্য বিশ্ববিদ্যালয়ের আধুনিক অডিটরিয়ামটির নাম সিলেটের প্রখ্যাত রাজনীতিবিদ ও সাবেক প্রয়াত অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মোহিতের নামে নামকরণ করা হবে বলে ঘোষণা করেন। এছাড়া উপাচার্য নতুন শিক্ষার্থীদের বিশ্ববিদ্যালয় প্রাঙ্গনে স্বাগত জানিয়ে বলেন, এই ক্যাম্পাসে মাদক, র্যাগিং ও যেকোন প্রকারের যৌন নিপীড়ন নিষিদ্ধ। এসব বিষয়ে যেকোণ অভিযোগ পাওয়া মাত্রই কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে প্রশাসনের পক্ষ থেকে।
সন্ধ্যায় বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন প্রাঙ্গনে স্থাপিত মঞ্চে শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণে সাংস্কৃতিক পরিবেশনা অনুষ্ঠিত হবে। এতে অংশ নিবে বিশ্ববিদ্যালয়ের সংগঠন কৃষ্ণচূড়া সাংস্কৃতিক সংঘ, লুব্ধক থিয়েটার ও মেট্রোনোম মিউজিক্যাল ক্লাব।