দোয়ারাবাজার প্রতিনিধি::
দোয়ারাবাজারে জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা ও সুধী জনের সঙ্গে মতবিনিয়ম সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে সিলেটের বিভাগীয় কমিশনার ড. নাজমারা খানম বলেছেন, নদী ভাঙ্গন তীব্র, রাস্তা-ঘাট গুলোর বেহালবস্থা, শিক্ষায় দীক্ষায় পিছিয়ে থাকলেও বৃহত্তর সিলেটের মধ্যে দোয়ারাবাজারের উপজেলা সম্ভাবনাময় একটি জনপদ। এ উপজেলায় পর্যটনের রয়েছে অপার সম্ভাবনা। তাই জনপ্রতিনিধিদের স্থানীয় সমস্যা গুলো সঠিক ভাবে চিহ্নিত করে তা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষকে অবহিত করতে হবে। পর্যায়ক্রমে জনস্বার্থে উন্নয়ন মুলক কাজ গুলো অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সরকার বাস্তবায়ন করবে। সরকার সব সেক্টরে ব্যাপক উন্নয়ন সাধন করতে আন্তরিক বলেও তিনি মমন্তব্য করেন।
মঙ্গলবার বিকালে উপজেলা বিআরডিবি ভিআইপি হলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তারেক মোহাম্মদ জাকারিয়ার সভাপতিত্বে বিভাগীয় কমিশনার উপরোক্ত কথা বলেছেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মো. সাবিরুল ইসলাম, উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অধ্যক্ষ ইদ্রিস আলী বীরপ্রতিক প্রমুখ।
মতবিনিময় সভায় পান্ডারগাঁও ইউপি চেয়ারম্যান ফারুক আহমদ উপজেলার পর্যটন এলাকা সীমান্তবর্তী বাঁশতলা-হকনগরে স্থলবন্দর স্থাপন, সুরমা নদীতে ব্রিজ নির্মাণ ও আইন শৃংখলা পরিস্থিতির উন্নয়নে পান্ডরখাল বাঁধে একটি পুলিশ ফাঁড়ি স্থাপন করার দাবি জানান। লক্ষ্মীপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমীরুল হক, দোয়ারাবাজার সরকারি ডিগ্রী কলেজের অধ্যক্ষ একরামুল হক, ফরিদ উদ্দিন আহম্মদ মাস্টার উপজেলায় শিক্ষার সার্বিক উন্নয়ন ও হাওরের বোরো ফসল রক্ষায় একাধিক স্লুইসগেট নির্মাণের দাবি করেন। দোহালিয়া ইউপি চেয়ারম্যান কাজী আনোয়ার মিয়া আনু, উপজেলায় নদী ভাঙন প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ, রাস্তা ঘাট সংস্কারে আন্তরিক উদ্যোগ গ্রহণের দাবি করেন। বগুলাবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আরিফুল ইসলাম জুয়েল উপজেলার সীমান্তবর্তী বাগান বাড়ীতে বর্ডার হাট প্রতিষ্ঠা ও সড়ক যোগাযোগের উন্নয়নে পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানান। মতবিনিময় সভায় জনপ্রতিনিধি, সরকারি কর্মকর্তা গন, শিক্ষক, গণমাধ্যম কর্মী, অন্যান্য পেশাজীবিরা উপস্থিত ছিলেন।
এর আগে বিভাগীয় কমিশনার উপজেলার সীমান্তবর্তী মুক্তিযুদ্ধেও স্মৃতি বিজড়িত পর্যটন এলাকা বাঁশতলা-হকনগর শহিদ স্মৃতি সৌধ এলাকা পরিদর্শন করেন। পরে স্থানীয় বাংলাবাজার ইউনিয়ন পরিষদে বিজিডি কার্ডধারীদের মধ্যে চাল বিতরণ উদ্বোধন করেন।