স্টাফ রিপোর্টার::
সুনামগঞ্জের সর্বজন শ্রদ্ধেয় ব্যক্তিত্ব ও বিশিষ্ট বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুকে শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় স্মরণ করেছে বিভিন্ন সংগঠন। ২৪ ফেব্রুয়ারি শুক্রবার প্রয়াতের দ্বিতীয় মৃত্যুবার্ষিকীতে বিভিন্ন সংগঠন তাকে আলাদাভাবে স্মরণ করেছে। স্মরণসভায় বক্তারা বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরুর স্মৃতি রক্ষার দাবি জানিয়ে তার জীবনদর্শন নতুন প্রজন্মের মধ্যে ছড়িয়ে দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন।
শুক্রবার সকালে দৈনিক সুনামকণ্ঠ কনফারেন্স হলে হাঁওর বাচাও আন্দোলন স্মরণসভার আয়োজন করে। স্মরণসভায় বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষজন শ্রদ্ধা ও ভালোবাসায় বীর মুক্তিযোদ্ধাকে স্মরণ করেন। তার আদর্শিক কর্ম ধরে রাখার প্রত্যয় ব্যক্ত করেন নেতৃবৃন্দ।
বক্তারা বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু তার প্রোজ্জ্বল ও গ্রহণযোগ্য ব্যক্তিত্বের কারণে সুনামগঞ্জের এক আদর্শিক প্রতিষ্ঠানে পরিণত হয়েছিলেন। দেশ স্বাধীন করে তিনি পরবর্তীতে দেশ পুনগর্ঠনে নানাভাবে কাজ করেছেন। প্রগতির সারথী হয়ে আমৃত্যু মানুষকে আলোর পথ দেখিয়েছেন।
বক্তারা বলেন, বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু মৃত্যুর আগে হাওরের কৃষকদের দাবি আদায়ের লড়াইয়ে অগ্রসেনানী হিসেবে হাওর বাচাও আন্দোলনের জন্ম দিয়ে কৃষকদের পক্ষে সোচ্চার ছিলেন। এই আন্দোলনের ফলে কৃষকদের ফসলরক্ষায় বিশেষ উদ্যোগ নেয় সরকার। এ কারণে তিনি আমৃত্যু কৃষকদের হৃদয়ে বেচে থাকবেন।
স্মরণসভায় বক্তব্য দেন হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সাধারণ সম্পাদক বিজন সেনরায়, সুকেন্দু সেন, চিত্তরঞ্জন তালুকদার, নির্মল ভট্টাচার্য, আলী হায়দার, আরতি তালুকদার কলি, নাসরিন আক্তার খানম, ইয়াকুব বখত বহলুল, শামস শামীম, আনোয়ারুল হক, ওবায়দুল হক মিলন, শহিদ নূর আহমদ প্রমুখ।
বক্তারা আরো বলেন, বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী একাধারে ক্রিড়াবিদ, সাংস্কৃতিক সংগঠক, গবেষক, লেখক, সাংবাদিক, আইনজীবীই ছিলেননা। এই সমাজরাষ্ট্রের বহুবিধ প্রতিষ্ঠান ছিলেন তিনি। তার জীবন ও কর্ম নতুনদের মধ্যে ছড়িয়ে দিতে হবে।
এদিকে শুক্রবার সন্ধ্যায় শহিদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরিতে বীর মুক্তিযোদ্ধা বজলুল মজিদ চৌধুরী খসরু স্মৃতি পরিষদ আলোচনাসভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় সুধীজন বক্তব্য দেন।