জগন্নাথপুর প্রতিনিধি::
সুনামগঞ্জের জগন্নাথপুর উপজেলায় হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ কাজ শেষ হতে আর মাত্র তিন দিন বাকি অথচ এখনো সব প্রকল্পের কাজ শুরু হয়নি। এছাড়াও শুরু হওয়া অধিকাংশ প্রকল্পের কাজে ধীরগতিতে কৃষকরা দুশ্চিন্তায় ভূগছেন । গতকাল শুক্রবার পানি উন্নয়ন বোর্ডের সিলেট অঞ্চলের তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী প্রবীর কুমার গোস্বামী হাওর ঘুরে কাজের অগ্রগতি দেখে অসন্তোষ প্রকাশ করে তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে পিআইসির লোকজনকে নির্দেশ দেন।
কৃষক ও পাউবো সূত্র জানায়, জগন্নাথপুর উপজেলায় এবার ৪৭টি প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির মাধ্যমে ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার কাজ করা হচ্ছে। এসব কাজের জন্য ১০ কোটি টাকা বরাদ্দ পাওয়া গেছে। নিয়ম অনুযায়ী ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করে ২৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে কাজ শেষ করার কথা থাকলেও ২৪ ও ৩৩ নম্বর প্রকল্পের কাজ গতকাল শুক্রবার পর্যন্ত শুরু হয়নি। অপর প্রকল্পের মধ্যে দুই তিনটি ব্যতিত সব প্রকল্পের কাজের অগ্রগতি সন্তোষজনক নয়।
হাওর বাঁচাও আন্দোলন জগন্নাথপুর উপজেলা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক বীর মুক্তিযোদ্ধা নির্মল দাশ বলেন, হাওর ঘুরে কাজের যে গতি দেখলাম তাতে করে একটি প্রকল্পের কাজও নির্ধারিত সময়ে সঠিকভাবে শেষ হওয়ার সম্ভাবনা নেই। তিনি বলেন, নির্ধারিত সময়ে কাজ শেষ না হলে অকাল বন্যার ঝুঁকিতে পড়তে হয়। ঝড়বৃষ্টি শুরু হলে বাঁধের কাজ করা যায় না।
সংগঠনের উপজেলা কমিটির সদস্য সচিব অমিত দেব বলেন, নলুয়ার হাওরে পানি ঢুকার প্রবেশপথ ২৪ নম্বর প্রকল্পের ইকড়ছই স্লুইসগেটের সামনের বেড়িবাঁধ ও ৩৩ নং প্রকল্পের গোপাইখালি ভাঙ্গনে কাজ শুরু না হওয়ায় দুঃখজনক।তিনি বলেন কাজ শেষ হতে আর তিন দিন বাকি এখনো কার্যাদেশ পাননি পিআইসি এ ব্যর্থতা উপজেলা ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার বাস্তবায়ন কমিটি এড়াতে পারে না।
৩৩ নং প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি মিলাদ মিয়া বলেন, আমি এখনো কার্যাদেশ পাইনি। আমাকে বৃহস্পতিবার মৌখিকভাবে জানানো হয়েছে কাজ করার জন্য। কত টাকার কাজ কতটুকু কাজ কিছু জানিনা। একই কথা ২৪ নং প্রকল্পের সভাপতি আব্দুর রাজ্জাকের।
পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ সহকারী প্রকৌশলী হাসান গাজী বলেন, ২৪ ও ৩৩ নম্বর প্রকল্পের কাজ শুরু করতে বলা হয়েছে। কার্যাদেশ দেওয়া হবে। অন্য প্রকল্পের কাজ জোরেশোরে চলছ। শুক্রবার তত্বাবধায়ক প্রকৌশলী হাওর ঘুরে পিছিয়ে পড়া পিআইসির লোকজন কে তিন দিনের মধ্যে কাজ শেষ করতে নির্দেশ দেন।
হাওরের ফসল রক্ষা বেড়িবাঁধ নির্মাণ সংস্কার বাস্তবায়ন উপজেলা কমিটির সভাপতি ইউএনও সাজেদুল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন ধরেননি।