বিশেষ প্রতিনিধি::
অনিয়ম, দুর্নীতি, অব্যবস্থাপনা, নীতিমালা উপেক্ষা করে প্রকল্প গ্রহণ, অক্ষত-অল্প ক্ষতিগ্রস্ত প্রকল্পে বিপুল বরাদ্দ দিয়ে সরকারের অর্থ তছরুপ এবং বর্ধিত সময়েও ফসলরক্ষা বাঁধের কাজ শেষ করতে না পারায় সুনামগঞ্জের ১২ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাদের কার্যালয় ঘেরাও করে বিক্ষোভ কর্মসূচি পালন করবে সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলন। আগামী ১২ মার্চ থেকে ঘেরাও কর্মসূচি শুরু হবে। ১২ উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় ঘেরাও শেষে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ও ঘেরাও করা হবে।
৯ মার্চ বৃহষ্পতিবার সন্ধ্যায় স্থানীয় সংবাদপত্রে পাঠানো প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে এই ঘেরাও কর্মসূচি ঘোষনা করেন সুনামগঞ্জ হাওর বাঁচাও আন্দোলনের সভাপতি ইয়াবুব বখত বহলুল ও সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল হক মিলন। হাওর বাচাও আন্দোলনের জেলার প্রতিটি উপজেলার নেতৃবৃন্দ বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় কৃষক ও সুধীজন নিয়ে ঘেরাও কর্মসূচি পালন করবেন বলে তারা জানান।
কর্মসূচি সম্পর্কে সভাপতি ইয়াকুব বখত বহলুল বলেন, হাওরবাসীর আন্দোলনের ফলে সরকার সময়োযোগী সিদ্ধান্ত নিয়ে পিআইসির (প্রকল্প বাস্তবায়ন কমিটি) মাধ্যমে কাজ বাস্তবায়ন করছে। কিন্তু এই পিআইসিতে কৃষক থাকার কথা থাকলেও প্রশাসন, পাউবো ও স্থানীয় শীর্ষ জনপ্রতিনিধি ও একটি সিন্ডিকেট মধ্যস্বত্তভোগী দিয়ে পিআইসি আদায় করে নিচ্ছে। তারা ইচ্ছেমতো প্রকল্পের নক্সা করে বরাদ্দ বাড়িয়ে সরকারের অর্থ অপচয় করছে। তিনি বলেন, এবারও ৫৪টি হাওরের ১ হাজার ৭৮টি প্রকল্প গ্রহণ করে ২০৩ কোটি টাকার বরাদ্দ চাওয়া হয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৩০০ প্রকল্পই অক্ষত, অল্প ক্ষতিগ্রস্ত। এতে সরকারের বড় অঙ্কের টাকা লোপাট হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। তিনি আরো বলেন, গত ১৫ ডিসেম্বর কাজ শুরু করার কথা থাকলেও কাজ শুরু হয়েছে ফেব্রুয়ারির মাঝামাঝিতে। যার ফলে নির্ধারিত ২৮ ফেব্রুয়ারি কাজ শেষ হয়নি। পরে আরো এক সপ্তাহ সময় বাড়ানো হলেও এখনো কাজ শেষ হয়নি। প্রকল্প গ্রহণে অনিয়ম ও দুর্নীতির কারণে কাজ শুরু করতে বিলম্ব ও শেষ করতে বিলম্ব হচ্ছে। এতে হাওরের ফসল ঝূকির মুখে আছে।