স্টাফ রিপোর্টার::
রাজনীতির মাঠে সক্রিয় এবং নেতাকর্মীদের মধ্যে পরিচিত এমন পরীক্ষিত নেতাকর্মীদের দিয়েই যুবলীগের বিভিন্ন সাংগঠনিক ইউনিট গঠনের তৎপরতা শুরু করেছে নব ঘোষিত জেলা যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি। ইতোমধ্যে সদর ও পৌরসভা কমিটি গঠনে মাঠ পর্যায়ে দীর্ঘদিন ধরে রাজনীতিতে সক্রিয় আছেন এমন নেতাদেরই মূল দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। পদ পেয়ে ঘরে বসে পড়ে থাকেন এমন নেতাদের বাদ দিয়ে মাঠের সক্রিয় নেতাদেরই যুক্ত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন জেলার সংশ্লিষ্টরা। আগামীতে যেসব সাংগঠনিক ইউনিটে কমিটি দেওয়া হবে সেখানেও এই বিষয় গুলো বিবেচনা করা হবে বলে দায়িত্বশীলরা জানিয়েছেন। তাছাড়া বিভিন্ন উপজেলায় কমিটি দেওয়ার আগে বিবদমান পক্ষের সঙ্গেও দায়িত্বশীলরা পৃথকভাবে কথা বলে গ্রহণযোগ্য কমিটি দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
জানা গেছে চলতি মাসে সদর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি দেওয়া হয়েছে। দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র লীগের রাজনীতিতে সক্রিয় এবং মাঠে নিয়মিত উপস্থিত আছেন এরকম এক নেতাকেই আহ্বায়ক করা হয়েছে। আহ্বায়ক শাহাব উদ্দিন আহমদ দীর্ঘদিন ধরে ছাত্র লীগের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত থেকে শহরে নিয়মিত কর্মসূচি পালন করেছেন। ছাত্রলীগের প্রতিটি কর্মসূচিতেই তিনি অগ্রপথিক হয়ে দায়িত্ব পালন করেন বলে নেতাকর্মীরা জানান। তাছাড়া সুনামগঞ্জ ছাত্র লীগেও তার অনুগত একটি বড় অংশ রয়েছে। সাংগঠনিক তৎপরতায় এগিয়ে থাকা এই নেতাকেই সদরের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। তাছাড়া পৌর যুবলীগের কমিটিতে আহ্বায়ক হিসেবে যিনি দায়িত্ব পেয়েছেন তিনিও রাজপথের সক্রিয় নেতা। কাউন্সিলর আবাবিল নূর দীর্ঘদিন ধরে শহরে আওয়ামী লীগের সক্রিয় রাজনীতিতে যুক্ত।
জেলা যুবলীগের নির্ভরযোগ্য একটি সূত্র জানিয়েছে, বিশ্বম্ভরপুর ও জামালগঞ্জ উপজেলা কমিটি গঠনের তোড়জোড় শুরু হয়েছে। শিঘ্রই বিশ্বম্ভর কমিটি দেওয়া হবে বলে যুবলীগের একটি সূত্র জানিয়েছে। সদর এবং পৌরসভা যুবলীগের কমিটির মতো যারা রাজপথে সক্রিয় এবং জনপ্রিয় সেই নেতাদেরই খোঁজা হচ্ছে। ঘরে বসে পদ নিয়ে অতীতে রাজনীতি করেছেন এমন নেতাদের হাতে দায়িত্ব দেওয়া হবেনা। যারা দলের দুঃসময়ে বুক চিতিয়ে রাজনীতি করে কর্মী-সমর্থকদের প্রেরণা জোগাবে তাদের হাতেই দায়িত্ব দেওয়া হবে। জানা গেছে এই তিন উপজেলার সক্রিয় অনেকেই দায়িত্ব পেতে তোড়জোড় শুরু করেছেন। তিন উপজেলার দায়িত্বশীল নেতাসহ জেলা কমিটির আহ্বায়কের সঙ্গেও তারা যোগাযোগ বাড়িয়ে দিয়েছেন।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের সিনিয়র সদস্য অ্যাডভোকেট কল্লোল তালুকদার চপল বলেন, জননেত্রী শেখ হাসিনার উন্নয়ন দর্শন, আওয়ামী লীগের মৌলিক আদর্শ যারা এগিয়ে নিতে রাজপথে নিরলস কাজ করছে তাদেরকেই যুবলীগের নেতৃত্বের জন্য খোঁজা হচ্ছে। যারা ঘরে বসে পদ নিয়ে বসে থাকে, দলের দুঃসময়ে হাল ধরেনা এমন নেতৃত যুবলীগে কাঙ্খিত নয়। জেলার দায়িত্বশীল নেতারা রাজপথের সক্রিয় নেতাদেরই নেতৃত্ব দেওয়ার জন্য খোঁজছেন।
সদর উপজেলা যুবলীগের আহ্বায়ক শাহাবুদ্দিন আহমদ বলেন, যুবলীগ এখন সাংগঠনিকভাবে গতি পেয়েছে। তারুণ্যের অহঙ্কার ও আওয়ামী লীগের রাজনৈতিক আদর্শ ও উন্নয়ন দর্শনের প্রতি বিশ্বস্থ নেতা খায়রুল হুদা চপলকে পেয়ে আমরা উজ্জীবিত।
সুনামগঞ্জ জেলা আওয়ামী যুবলীগের আহ্বায়ক খায়রুল হুদা চপল বলেন, ঘরকুণো নয় রাজপথের পরীক্ষিত ও সক্রিয় নেতাদেরই আমরা খুঁজছি। যাদের বলিষ্ট নেতৃত্বে যুবলীগ সুনামগঞ্জ জেলায় বিস্তৃত ও শক্তিশালী হবে। পরীক্ষিত ও রাজপথের সক্রিয় নেতাদের বের করে আনতে আমরা কাজ করছি। দলীয় গ্রুপিং থাকলেও এসব নেতাদের বাদ পড়ার কোন কারণ নেই। বরং আমরা বিবদমান নেতাকর্মীদের সঙ্গে পৃথকভাবে কথা বলে সবাইকে নিয়েই প্রতিটি সাংগঠনিক ইউনিট কমিটি গঠনের সিদ্ধান্ত নিয়েছি।